সৌদি আরবে ইসলামের প্রাথমিক যুগের ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের ধ্বংসযজ্ঞ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সৌদি আরবের মদিনায় জান্নাতুল বাকি সমাধিক্ষেত্র

ইসলামের প্রাথমিক যুগের সাথে সম্পৃক্ত ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের ধ্বংসযজ্ঞ সৌদি আরবে একটি চলমান ঘটনা যা মূলত পশ্চিম সৌদি আরবের হেজাজ অঞ্চলে ঘটেছে, বিশেষ করে ইসলামের দুটি পবিত্র শহর মক্কামদিনার আশেপাশে।[১] সৌদি সরকার কর্তৃক মসজিদ, সমাধিস্থল, বাড়িঘর এবং ইসলামের পয়গম্বর মুহাম্মাদ, তাঁর সঙ্গীসাথীইসলামের প্রাথমিক ইতিহাসের অনেক মৌলিক ব্যক্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক স্থানসমূহ ধ্বংস করা হয়েছে৷[১][২] সৌদি আরবে সংঘটিত অনেক ধ্বংসযজ্ঞ আনুষ্ঠানিকভাবে মক্কার মসজিদ আল-হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর ক্রমাগত সম্প্রসারণের অংশ এবং হজ্জব্রত পালনকারী মুসল্লিদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে উপযোজিত করার জন্য তাঁদের সহায়ক পরিষেবা সুবিধা প্রদানের অংশ।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আরব উপদ্বীপের বেশিরভাগ অংশ রাজনৈতিকভাবে ১৯৩২ সালের মধ্যে তৃতীয় ও বর্তমান সৌদ রাষ্ট্র সৌদি আরব রাজ্যে একীভূত হয়েছিল। বাদশাহ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের নেতৃত্বে সামরিক অভিযান ও তাঁর বেদুইন সেনাবাহিনী হেজাজ জয় করে এবং শাসক হাশিমি গোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করে। নতুন নাজদি শাসক যাযাবর আরবরা মূলত নিজেদেরকে একটি অত্যন্ত পরিশীলিত সমাজের স্থিতিশীলতায় পেয়েছিল। আরবে মজলিস আশ-শুরা (পরামর্শদাতা পরিষদ) পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে একটি সমন্বিত রাজনৈতিক কাঠামো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিদ্যমান ছিল। একটি কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক সংস্থা একটি বার্ষিক বাজেট পরিচালনা করে যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর ব্যয় বরাদ্দ করে।[৪] একইভাবে নাজদ ও হেজাজের ধর্মীয় বুনন ছিল ব্যাপকভাবে ভিন্ন। ঐতিহ্যবাহী হেজাজি সাংস্কৃতিক রীতিনীতি ও আচার-অনুষ্ঠানগুলো ছিল প্রায় সম্পূর্ণ ধর্মীয় প্রকৃতির। হেজাজি ইসলামের গোত্রীয় প্রথাগুলোর মধ্যে ছিল মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারসঙ্গীদের সম্মানে দিবস উদযাপন, মৃত ওলিদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাঁদের সাথে সম্পর্কিত সমাধি ও পবিত্র স্থান যিয়ারত করা।[৫] হেজাজের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব স্থানীয়দের থেকে নাজদি ওয়াহাবি মুসলিমদের হাতে চলে যাওয়ায় ওয়াহাবি ওলামারা হেজাজের স্থানীয় ধর্মীয় রীতিনীতিগুলোকে ভিত্তিহীন কুসংস্কার হিসেবে দৃষ্টিপাত করেন; যা সংহিতাবদ্ধ ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞাকে (হারাম) অগ্রাহ্য করে, যেটি ধর্মের বিকৃতি ও ধর্মদ্রোহের বিস্তার হিসেবে বিবেচিত হত।[৬] এরপর যা ঘটলো তা হলো মুহাম্মাদের পরিবার ও সঙ্গীদের সাথে সম্পর্কিত ভৌত অবকাঠামো, সমাধি, মাজার, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থান অপসারণ।[৭]

১৯শ শতকে[সম্পাদনা]

১৮০১ ও ১৮০২ সালে আবদুল আজিজ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে সৌদের অধীনে সৌদিরা আজকের ইরাকে অবস্থিত শিয়া পবিত্র শহর কারবালানাজাফ আক্রমণ করে ও দখল করে নেয়, কিছু শিয়া মুসলিমদের হত্যা করে এবং মুহাম্মাদের নাতি ও তাঁর জামাতা আলী ইবনে আবি তালিবের পুত্র হোসাইন ইবনে আলীর সমাধি ধ্বংস করে। ১৮০৩ ও ১৮০৪ সালে সৌদিরা মক্কা ও মদিনা দখল করে নেয় এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন ও বিভিন্ন পবিত্র মুসলিম স্থান ও উপাসনালয় ধ্বংস করে, উদাহরণস্বরূপ, মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমার সমাধির উপরে নির্মিত মাজার। এমনকি তাঁরা মুহাম্মদের সমাধিকে "পৌত্তলিক" আখ্যা ধ্বংস করবার বাসনাও ব্যক্ত করেছিল। ঘটনাটি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।[৮][৯][১০] মক্কায় জান্নাতুল মুয়াল্লা কবরস্থানে অবস্থিত মুহাম্মাদের প্রথম স্ত্রী খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদের সমাধিসহ মুহাম্মাদের অন্যান্য আত্মীয়দের সমাধিগুলো ভেঙে ফেলা হয়।[১১] ১৮০৬ সালে প্রথম সৌদ রাষ্ট্রের ওয়াহাবি সেনাবাহিনী মদিনা দখল করে নেয় এবং জান্নাতুল বাকি কবরস্থানের অনেকগুলো কাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে গুড়িয়ে দেয়।[১২] এই কবরস্থানটি মসজিদে নবাবি সংলগ্ন বিশাল সমাধিস্থল যেখানে মুহাম্মাদের পরিবারের অনেক সদস্য, ঘনিষ্ঠ সহচর ও ইসলামের প্রাথমিক যুগের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বের দেহাবশেষ রয়েছে। উসমানীয় তুর্কিরা আল-বাকি কবরস্থানের কবরগুলোর উপর বিস্তৃত সমাধিসৌধ নির্মাণ করেছিল। উসমানীয় তুর্কিওরা নিজেরাই ইসলামের আরও সহনশীল ও কখনো কখনো ইসলামের আধ্যাত্মিক ধারার অনুশীলন করতো। সৌদ সেনাবাহিনী এগুলোকে সম্পূর্ণরূপে সমতল করে দেয়। শহর জুড়ে মসজিদগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং মুহাম্মদের সমাধি ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টাও চালানো হয়।[১৩] কিন্তু এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যাপক সোচ্চার সমালোচনার ফলে অবশেষে এই স্থানের কোনো ধ্বংসযজ্ঞ পরিত্যাগ করা হয়। এই অঞ্চলে তুর্কি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক দাবিসমূহ উসমানীয়-সৌদি যুদ্ধের (১৮১১-১৮১৮) সূচনা করে যেখানে সৌদি পরাজয়ের ফলে ওয়াহাবি মতাদর্শী গোত্ররা হেজাজ থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। তুর্কি বাহিনী এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করে এবং পরবর্তীকালে ১৮৪৮ থেকে ১৮৬০ সালের মধ্যে পবিত্র স্থানগুলোর ব্যাপক পুনর্নির্মাণ আরম্ভ করে, এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই উসমানীয় নকশা ও কারুকার্যের সর্বোত্তম উদাহরণ ব্যবহার করে পুনর্নির্মিত হয়।[১৪]

২০শ শতকে[সম্পাদনা]

১৯২৬ সালে ধ্বংসযজ্ঞের পূর্বে আল-বাকি কবরস্থান
১৯২৬ সালের ধ্বংসযজ্ঞের পর কবরস্থানটি। দূরে মসজিদে নববী দৃশ্যমান, ছবিটি পশ্চিম দিকে মুখ করে তোলা
প্যানোরামায় কবরস্থান দেখাচ্ছে, ফটোগ্রাফারের পিছনে কিবলা, ছবিটি উত্তর দিকে মুখ করে তোলা
সৌদি আরবের আল-বাকি কবরস্থানে ইমাম জয়নুল আবিদীনের অপবিত্র কবর

২১ এপ্রিল ১৯২৫ তারিখে মদিনার আল-বাকি কবরস্থানের সমাধি ও গম্বুজগুলো[১৪] এবং একইভাবে মুহাম্মাদের পরিবারের সদস্য ও বংশধরদের চিরনিদ্রা স্থলগুলোর সঠিক অবস্থানের নির্দেশক চিহ্নগুলো আবার সমতল করে দেওয়া হয়, যেমনটি আজ দেখা যায়। বিখ্যাত কবি ইমাম আল-বুসিরি কর্তৃক মুহাম্মদের প্রশংসায় রচিত ১৩শ শতকের গীতিকাব্য কাসিদা-ই-বুরদার কিছু অংশ মুহাম্মাদের সমাধিতে খোদাই করা ছিল, যা রঙ করে ঢেকে দেওয়া হয়। এই ধ্বংসযজ্ঞের সময় লক্ষ্যবস্তু করা নির্দিষ্ট স্থানগুলোর মধ্যে ছিল উহুদ যুদ্ধের শহিদদের সমাধি, যাঁদের মধ্যে ছিলেন মুহাম্মাদের চাচা ও তাঁর অন্যতম প্রিয় অনুসারী বিখ্যাত সাহাবি হামযা ইবনে আবদুল মুত্তালিবের সমাধি, মুহাম্মাদের কন্যা ফাতিমাতুজ জুহরার মসজিদ, দুটি বাতিঘরের মসজিদের (মানারাতাইন) পাশাপাশি কুব্বাত আল-সানায়া,[১৪] উহুদ যুদ্ধের সময় প্রাপ্ত আঘাতে ভেঙে যাওয়া মুহাম্মাদের পবিত্র ছেদন দাঁতের সমাধি হিসেবে নির্মিত কপোলা। এই সময়ে মদিনায় মুহাম্মাদের পুত্র ইব্রাহিমের জন্মস্থান ও তাঁর মা মারিয়ার বাড়ি মাশরুবাত উম্মে ইব্রাহিম, সেইসাথে মুসা আল-কাজিমের মা হামিদা আল-বারবারিয়ার সংলগ্ন সমাধিস্থল ধ্বংস করা হয়।[১৪] জায়গাটিকে পরবর্তীতে প্রশস্ত করা হয় এবং আজ এটি মসজিদের পাশে বিশাল মার্বেল বিহারভূমির অংশ। সৌদি আরবের সরকার নিযুক্ত-স্থায়ী ওলামা কমিটি এই ধরনের কাঠামো সম্পর্কিত যেকোনো ধর্মীয় আচারকে "শিরকের প্রতি ধাবনকারী অন্ধভক্তি" হিসেবে উল্লেখ করে একগুচ্ছ ইসলামি বিধান আরোপ করে এগুলোকে ভেঙে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেছে।[১৫]

২১শ শতকে[সম্পাদনা]

একবিংশ শতকে বিলাসবহুল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি সৌদি কর্তৃপক্ষের দ্বারা মক্কা ও মদিনায় ঐতিহাসিক স্থান ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যেহেতু মক্কামদিনায় বার্ষিক হজ্জব্রত সম্পাদনের জন্য বছরের পর বছর বৃহত্তর জনসমাগম ঘটে থাকে, তাই সৌদি কর্তৃপক্ষের নিকট হজ-সম্পর্কিত অবকাঠামো তৈরির জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদের আশেপাশে পূর্বে নির্মিত আবাসিক এলাকার বিশাল অংশকে ধ্বংস করা প্রয়োজনীয় বলে প্রতীয়মান হয়। ২০১০ সালে ডেভেলপাররা শহরটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্প্রসারণ প্রকল্পে আনুমানিক ১৩০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।[১৬]

অধিক সংখ্যক হাজীকে সামাল দিতে পারে এমন সুযোগ-সুবিধার জন্য ব্যাপক চুক্তি হয়। কিন্তু কেউ কেউ এমন একটি স্থানে উচ্চমানের হোটেল ও কনডোমিনিয়াম টাওয়ার, রেস্তোরাঁ, শপিং সেন্টার এবং স্পা-এর উন্নয়নের[১৭] ফলে অতি-বাণিজ্যিকীকরণের সমালোচনা করেন, কেননা তাঁরা এই স্থানটিকে মুসলিমদের জন্য ঐশ্বরিকভাবে নির্ধারিত একটি তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচনা করেন।

অনেকে বিশ্বাস করেন যে মক্কা ও মদিনায় পুঁজি বিনিয়োগের এই দ্রুত প্রবাহের চূড়ান্ত কারণ সৌদি কর্তৃপক্ষের অর্থ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সমালোচকরা যুক্তি দেন যে এই আর্থিক কেন্দ্রবিন্দু ওয়াহাবি রাষ্ট্রীয় নীতিমালার সঙ্গে কাজ করে।[১৮] ওয়াহাবি নীতিমালা পবিত্র শহরগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্যের একটি বিশাল অপসারণকে সমর্থন করে, যার ফলে ওয়াহাবি মতবাদের বিরুদ্ধে অনুশীলনকে উৎসাহিত করে এমন যেকোনো উপাদানকে মুছে দেওয়া হয়।

দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর মতে, বাইতুল মাওলিদ যেখানে মুহাম্মাদ জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে কথিত আছে, সেখানে মক্কায় বহু বিলিয়ন পাউন্ড নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে একটি বিশাল রাজপ্রাসাদ নির্মাণ হতে চলেছে, যার ফলে বাইতুল মাওলিদসহ শত শত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস করা।[১৯]

সৌদিরা প্রথম সৌদি রাষ্ট্রের ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজধানী দিরিয়াকে একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণে পরিণত করছে।[২০][২১]

ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

নিম্নে ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানসমূহের একটি সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হলো:

মসজিদ[সম্পাদনা]

কবর ও সমাধি[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক সামরিক কাঠামো[সম্পাদনা]

  • আজিয়াদ কেল্লা, ১৯শ-শতকের উসমানীয় দূর্গ যেটি গুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং এর স্থানে আবরাজ আল-বাইত নির্মাণ করা হয়।[২৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Wahhābī (Islamic movement)"Encyclopædia BritannicaEdinburgh: Encyclopædia Britannica, Inc.। ৯ জুন ২০২০। ২৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০Because Wahhābism prohibits the veneration of shrines, tombs, and sacred objects, many sites associated with the early history of Islam, such as the homes and graves of companions of Muhammad, were demolished under Saudi rule. Preservationists have estimated that as many as 95 percent of the historic sites around Mecca and Medina have been razed. 
  2. "Medina: Saudis take a bulldozer to Islam's history"The Independent। ২৬ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৪ 
  3. "'Cultural genocide of Islamic heritage' in Saudi Arabia riles Sunni Sufis"The Times of India। ১১ এপ্রিল ২০১৩। ১১ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Yamani, Mai (২০০৯)। "Devotion"। Cradle of Islam। London: I.B. TAURIS। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 978-1-84511-824-2 
  5. Yamani, Mai (২০০৯)। "Devotion"। Cradle of Islam। London: I.B. TAURIS। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-1-84511-824-2 
  6. Rentz, George S. (২০০৪)। "Devotion"। The Birth of the Islamic Reform Movement in Saudi Arabia। London: Arabian Publishing Ltd.। পৃষ্ঠা 139। আইএসবিএন 0-9544792-2-X 
  7. Angawi, Dr.Sami (ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০০২)। "A NewsHour with Jim Lehrer Transcript"। PBS NewsHour Online Transcript। অক্টোবর ২৪, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৯, ২০১০ 
  8. Ahmed, Irfan (July 2006). "The Destruction of Holy Sites in Mecca and Medina" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-০১-২৬ তারিখে. Spirit themag. Issue 1.
  9. Nibras Kazimi, A Paladin Gears Up for War ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৮-০৩-০৪ তারিখে, The New York Sun, November 1, 2007
  10. John R Bradley, Saudi's Shi'ites walk tightrope, Asia Times, March 17, 2005
  11. "The American Muslim (TAM)"। Theamericanmuslim.org। ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৪ 
  12. "The Saud Family and Wahhabi Islam"। Countrystudies.us। ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৪ 
  13. Anthony H. Cordesman (২০০৩)। Saudi Arabia enters the 21st century। Praeger (April 21, 2003)। আইএসবিএন 978-0-275-98091-7। জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১২, ২০১৫The tension between Saudi Shi'ite and Wahhabi is especially intense because Saudi "Wahhabis" actively reject all veneration of man, even the prophet. At one point, they attempted to destroy Muhammad's tomb in Medina. In contrast, the Saudi Shi'ites are "Twelvers", a branch of Islam that venerates the Prophet's son-in-law Ali, and believes that the leadership of Islam must pass through Ali's line. They venerate each of the past imams, and make pilgrimages to their tombs. 
  14. Irfan Ahmed, The Destruction of Holy Sites in Mecca and Medina, page 1 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১১-০৭-১৩ তারিখে, Islamica Magazine, Issue 15.page 71. Accessed online October 29, 2010.
  15. "Fatwas of the Permanent Committee"। Official KSA Rulings। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৪ 
  16. Abou-Ragheb, Laith (জুলাই ১২, ২০০৫)। "Dr.Sami Angawi on Wahhabi Desecration of Makkah"। Center for Islamic Pluralism। জুলাই ২২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৮, ২০১০ 
  17. "Makkah Hotels: Makkah Hotel at Fairmont"। Fairmont.com। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  18. Laessing, Ulf (নভেম্বর ১৮, ২০১০)। "Mecca goes Upmarket"। Reuters। নভেম্বর ২১, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১, ২০১০ 
  19. "Mecca under threat: Outrage at plan to destroy the 'birthplace' of the Prophet Mohamed and replace it with a new palace and luxury malls"The Independent। ১৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৪ 
  20. Hubbard, Ben (৩১ মে ২০১৫)। "Saudis Turn Birthplace of Wahhabism Ideology Into Tourist Spot"The New York Times 
  21. Estimo Jr, Rodolfo (৫ জানুয়ারি ২০১৭)। "Diriyah on course to become world-class tourist spot"Arab News। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৭ 
  22. History of the Cemetery of Jannat al-Baqi ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৩-১০-১৭ তারিখে, History of the Shrines, Al-Islam.org (Ahlul Bayt Digital Islamic Library Project). Accessed online 16 December 2008.
  23. Salah Nasrawi,"Mecca's ancient heritage is under attack – Developments for pilgrims and the strict beliefs of Saudi clerics are encroaching on or eliminating Islam's holy sites in the kingdom" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৬-১২-২৪ তারিখে, Los Angeles Times, September 16, 2007. Accessed online 16 December 2008.
  24. Power, Carla (November 14, 2014). "Saudi Arabia Bulldozes Over Its Heritage" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৪-১১-১৪ তারিখে. Time.
  25. "Why is Saudi Arabia destroying the cultural heritage of Mecca and Medina?"। The Art Newspaper। ১৯ নভেম্বর ২০১৫। ২৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  26. "Historic Makkah fortress demolished"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০২-০১-০৯। ২০২১-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-০৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]