লাইবেরিয়া জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লাইবেরিয়া
দলের লোগো
ডাকনামএকক তারা
অ্যাসোসিয়েশনলাইবেরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনক্যাফ (আফ্রিকা)
প্রধান কোচপিয়াত জেমস বাটলার
অধিনায়কউইলিয়াম জেবোর
সর্বাধিক ম্যাচজো নাগবে (৭৭)
শীর্ষ গোলদাতাজর্জ উইয়াহ (১৮)
মাঠস্যামুয়েল কানিয়ন স্পোর্টস কমপ্লেক্স
ফিফা কোডLBR
ওয়েবসাইটwww.liberiafa.com
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৪৯ হ্রাস ৪ (৩১ মার্চ ২০২২)[১]
সর্বোচ্চ৬৬ (জুলাই ২০০১)
সর্বনিম্ন১৬৪ (অক্টোবর–নভেম্বর ২০১০)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১২৮ হ্রাস ১০ (৩০ এপ্রিল ২০২২)[২]
সর্বোচ্চ৬৭ (মার্চ ২০০১)
সর্বনিম্ন১৫১ (ফেব্রুয়ারি ২০০৯)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
ফ্রান্স কোত দিভোয়ার ০–২ লাইবেরিয়া 
(আবিজান, কোত দিভোয়ার; ১৯৫৪)
বৃহত্তম জয়
 লাইবেরিয়া ৫–০ জিবুতি 
(মনরোভিয়া, লাইবেরিয়া; ২৯ মার্চ ২০১৬)
বৃহত্তম পরাজয়
 ঘানা ৬–০ লাইবেরিয়া 
(ঘানা; ৬ এপ্রিল ১৯৭৫)
আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্স
অংশগ্রহণ২ (১৯৯৬-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (১৯৯৬, ২০০২

লাইবেরিয়া জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Liberia national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে লাইবেরিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম লাইবেরিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা লাইবেরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬২ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৫৪ সালে, লাইবেরিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; কোত দিভোয়ারের আবিজানে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে লাইবেরিয়া কোত দিভোয়ারকে ২–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

৫০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট স্যামুয়েল কানিয়ন ডো স্পোর্টস কমপ্লেক্সে একক তারা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন পিয়াত জেমস বাটলার এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় উইলিয়াম জেবোর

লাইবেরিয়া এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সে লাইবেরিয়া এপর্যন্ত ২ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার প্রত্যেকবার শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেছে।

জর্জ উইয়াহ, মাস সার জুনিয়র, কেলভিন সেবউই, উইলিয়াম জেবোর এবং জো নাগবের মতো খেলোয়াড়গণ লাইবেরিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০১ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে লাইবেরিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৬৬তম) অর্জন করে এবং ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৬৪তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে লাইবেরিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৬৭তম (যা তারা ২০০১ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৫১। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
৩১ মার্চ ২০২২ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৪৭ বৃদ্ধি  হংকং ১০৫৩.৩৯
১৪৮ বৃদ্ধি  বতসোয়ানা ১০৫১.৫৯
১৪৯ হ্রাস  লাইবেরিয়া ১০৫০.৫
১৫০ অপরিবর্তিত  আফগানিস্তান ১০৪৯.৭৭
১৫১ অপরিবর্তিত  ইয়েমেন ১০৪৬.২৬
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
৩০ এপ্রিল ২০২২ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১২৬ হ্রাস ১৬  মাদাগাস্কার ১৩২৭
১২৭ হ্রাস  লিথুয়ানিয়া ১৩২৪
১২৮ হ্রাস ১০  লাইবেরিয়া ১৩২১
১২৮ বৃদ্ধি  তানজানিয়া ১৩২১
১৩০ হ্রাস ২৯  জিম্বাবুয়ে ১৩১৮

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২ উত্তীর্ণ হয়নি
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ প্রত্যাহার প্রত্যাহার
ফ্রান্স ১৯৯৮ উত্তীর্ণ হয়নি ১২
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১০ ১১
জার্মানি ২০০৬ ১২ ২৯
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১২
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৫৮ ১৫ ১২ ৩১ ৩৯ ৭৮

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ৩১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২২ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ৩০ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]