লখিমী
লখিমী Lakhimi | |
---|---|
পরিচালক | ভবেন দাস |
প্রযোজক | লখিমী প্রোডাকশন |
চিত্রনাট্যকার | ভবেন দাস |
কাহিনিকার | ভবেন দাস |
শ্রেষ্ঠাংশে | প্রবীন ফুকন বিমলা বরুয়া |
সুরকার | ব্রজেন বরুয়া |
চিত্রগ্রাহক | নলীন দূবরা |
সম্পাদক | গোবিন্দলাল চ্যাটার্জী |
মুক্তি | ১৯৫৬ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | অসমীয়া |
লখিমী (ইংরেজি: Lakhimi) ১৯৫৬তে মুক্তি লাভ করা একটি অসমীয়া ছায়াছবি। প্রযোজনা লখিমী প্রোডাকশনের। কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা ভবেন দাস-এর।[১] ছবির পরিচালক ভবেন দাস কামরূপ জেলার রামপুর গাঁওয়ের সন্তান ছিলেন। তিনি অনেকগুলি অসমীয়া, বাংলা ছবির সাথে জড়িত ছিলেন। 'কানামাছি' নামে বাংলা ছবি একটি পরিচালনা করে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।[২]
কাহিনী[সম্পাদনা]
মধু মাস্টারের আদরের বৌমা লখিমীকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সহজ-সরল জীবনের হাসি-কান্নার অপরূপ ছবি ছায়াছবিটির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করা হয়েছে।[২] বিয়ের পরে স্বামীহারা হওয়া লখিমী দেওর মাতৃহীন ভবনাথ এবং শ্বশুর মধু মাস্টারকে অন্তরের সাথে পরিচর্যা করতেন। সেইজন্যই লখিমীর প্রতি ঈর্ষাতুর হয়ে পড়ে মধু মাস্টারের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী, অর্থাৎ লখিমীর মাসীশাহু। মাসীশাহু চক্রান্ত করে লখিমীর সাথে ভবনাথের অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে রটনা করে। ঘটনা এতদূর গড়ায় যে তিনি মায়ের বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হন। ভবনাথ পরদিনই বৌদিক ফিরিয়ে আনতে যায়। কিন্তু তিনি ফিরে আসেন না। অন্যদিকে ভবনাথের ছোটবেলার সাথী বকুলীও মাসীশাহুর চক্রান্তে ভবনাথের থেকে দূরে চলে যায়। লখিমীও মায়ের ঘরে থাকতে পারল না।[১]
অবশেষে মাসীশাহুর ভুলের অনুশোচনা হল এবং বৌমাকে সাদরে ঘরে ফেরালেন। ভবনাথও মাতৃসম বৌদিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনল।[১]
অভিনয় শিল্পী[সম্পাদনা]
- প্রবীন ফুকন (মধু মাস্টার)
- বিমলা বরুয়া (লখিমী)
- জ্ঞানদা কাকতি
- পূর্ণিমা বরুয়া
- ডাঃ তারিণীমোহন বরুয়া
- কল্পনা বরুয়া (শিশু শিল্পী)
- দুর্গেশ্বর বরঠাকুর, হীরেণ চৌধুরী, রাণু ডেকা, বিমল নাথ, তরুণ নাথ[১][২]
সঙ্গীত[সম্পাদনা]
লখিমীর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ব্রজেন বরুয়া। গান লিখেছেন কেশব মহন্তইল।[৩]
ক্রমিক নং | গানের শীর্ষক | গীতিকার | কণ্ঠ |
---|---|---|---|
১ | বান্ধৈ পার কৈ দে, ইকরারে পজাটি মোর মনতে জিলিকে | কেশব মহন্ত | রমেন বরুয়া |