বিষয়বস্তুতে চলুন

পেরিয়া তিরুমাতাল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পেরিয়া তিরুমাতাল
রাম-সীতার বনবাসের চিত্রকর্ম,১৮ শতাব্দী, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, নয়াদিল্লি
তথ্য
ধর্মহিন্দুধর্ম
রচয়িতাতিরুমঙ্গাই আলবার
ভাষাতামিল
যুগখ্রিষ্টীয় ৯ম-১০ম শতাব্দী
শ্লোক৭৮

পেরিয়া তিরুমাতাল (তামিল: பெரிய திருமடல் ) তিরুমঙ্গাই আলবরের লেখা তামিল হিন্দু সাহিত্যকর্ম। তিরুমঙ্গাই আলবর ছিলন শ্রী বৈষ্ণবধর্মের দ্বাদশ আলবরের একজন।[] রচনাটি নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম নামক স্তোত্রসংকলনের একটি অংশ।[] পেরিয়া তিরুমাতালে ৭৮টি স্তোত্র রয়েছে যাকে পশুরম বলা হয়।[]

স্তবগান

[সম্পাদনা]

মূলভাব

[সম্পাদনা]

সিরিয় তিরুমাতাল নামক সমভাগী কাব্যের পাশাপাশি পেরিয়া তিরুমাতালে সঙ্গম সাহিত্যের একটি কাব্যিক কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে যার নাম মাতাল। এটি একটি প্রাচীন তামিল প্রথাকে উল্লেখ করে যেখানে একজন প্রেমিক ব্যক্তি খাদ্য, পানীয়, স্নান, নিদ্রা ও অন্যান্য দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ পরিত্যাগ করে তার প্রিয়তমের হৃদয় জয় করার চেষ্টা করে ও তার প্রিয়তমার গান গাইতে গাইতে পথে ঘুরে বেড়ায়। শেষ পর্যায়ে, ব্যক্তিটি তার প্রিয়জনের সমক্ষে নিজের জীবন পর্যন্ত দিতে ইচ্ছা করে। প্রথাটি আবেগমণ্ডিত ছিল, তাই ঐতিহ্যগতভাবে শেষ পর্যায়ে, রমণীটি পুরুষের ভক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে বিবাহ করতে সম্মত হয়। এই স্তবগানে, তিরুমঙ্গাই আলবর একজন গোপিকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন যিনি কৃষ্ণের দুধ-দাসী প্রেমিকা,এবং কৃষ্ণের হৃদয় জয় করার জন্য মাতাল গান করেন। এর মাধ্যমে, তিনি দক্ষিণ তামিল গোষ্ঠীর বিপরীতে শ্রী বৈষ্ণবধর্মের উত্তর সংস্কৃত গোষ্ঠীর প্রতি তার আনুগত্যের কথা উল্লেখ করে মহিলাদের প্রথা পালনের অনুমতি না দেওয়ার নিয়ম ভঙ্গ করেন।[][]

পেরিয়া তিরুমাতালের এক স্তবকে রাম সীতার নির্বাসন কিংবদন্তির উল্লেখ করে বলা হয়েছে:[]

পিতার নির্দেশে যোদ্ধা রাজা অটলভাবে রাজ্য ত্যাগ করলেন,

সকল নগরবাসী ক্রন্দনজড়িত হৃদয়ে তার অনুসরণ করল,
তাদের নিজের দেশও ত্যাগ করে চলে গেল এবং
ক্ষুধিত উদর সম্বল করে উষর মরুভূমি অতিক্রম করল,
শুষ্ক পাথুরে পর্বত পেরিয়ে যেখানে গরম ঝোড়ো হাওয়া বাঁশকে ভগ্ন করে,
তিনি মৃত্যু-ভয় সঙ্কুল রাক্ষসদের ভয়ঙ্কর বনে প্রবেশ করলেন,
তিনি পুষ্পদলসম কোমল পায়ে জ্বলন্ত রৌদ্রতাপে বন্ধফলক পাথরের উপর দিয়ে হেঁটেছিলেন।

রাজা রামের পেছনে রাজহংসসন্নিভ বৈদেহী দেবীও কি হাঁটেন নি?

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. RAMANUJAN, S. R. (১৩ আগস্ট ২০১৪)। THE LORD OF VENGADAM (ইংরেজি ভাষায়)। PartridgeIndia। পৃ. ৯৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৮২৮-৩৪৬২-৮
  2. Cutler, Norman (২২ মে ১৯৮৭)। Songs of Experience: The Poetics of Tamil Devotion (ইংরেজি ভাষায়)। Indiana University Press। পৃ. ৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৫৩-১১৪১৯-৮
  3. Venkataraman, M. (৩১ মে ২০২২)। ALWARS: THE VAISHNAVITE SAINTS (ইংরেজি ভাষায়)। Venkataraman M। পৃ. ৪৭।
  4. Padmaja, T. (২০০২)। Temples of Kr̥ṣṇa in South India: History, Art, and Traditions in Tamilnāḍu (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃ. ৫৯–৬০। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০১৭-৩৯৮-৪
  5. Flood, Gavin (১৫ এপ্রিল ২০০৮)। The Blackwell Companion to Hinduism (ইংরেজি ভাষায়)। John Wiley & Sons। পৃ. ৫৭৪। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৭০-৯৯৮৬৮-৭
  6. Makarand Joshi। The Sacred Book Of Four Thousand 01 Nalayira Divya Prabandham Sri Rama Bharati 2000। পৃ. ৭৩১–৭৩২।