সিরিয় তিরুমাতাল
সিরিয় তিরুমাতাল | |
---|---|
তথ্য | |
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
রচয়িতা | তিরুমঙ্গাই আলবার |
ভাষা | তামিল |
যুগ | ৯ম–১০ম শতাব্দী খ্রিস্টাব্দ |
শ্লোক | ৪০ |
সিরিয় তিরুমাতাল (তামিল: சிறிய திருமடல்) তিরুমঙ্গাই আলবরের লেখা একটি তামিল হিন্দু সাহিত্য রচনা। তিরুমঙ্গাই ছিলেন শ্রী বৈষ্ণবধর্মের দ্বাদশ আল্বরের একজন। [১] রচনাটি নালায়ীরা দিব্য প্রবন্ধম স্তোত্রসংকলনের একটি অংশ। [২] এই রচনার চল্লিশটি স্তোত্রে [৩] লেখক পালনের দেবতা বিষ্ণুর প্রতি তাঁর ভক্তি ও প্রেম প্রকাশ করেছেন। সেইসাথে সাতাশটি স্থানের তালিকাও প্রদান করেছেন যেখানে তিনি দেবতার পূজা করার অভিলাষ প্রকাশ করেন। [৪]
স্তোত্রগান
[সম্পাদনা]মূলভাব
[সম্পাদনা]পেরিয়া তিরুমাতাল নামক সমধর্মী কবিতার সাথে সিরিয় তিরুমাতাল সঙ্গম সাহিত্যের একটি কাব্যিক কৌশল ব্যবহার করে থাকে। একে "মাতাল" বলা হয়। এটি একটি প্রাচীন তামিল প্রথাকে নির্দেশ করে যেখানে একজন প্রেমিক খাদ্য ও পানীয়, স্নান, ঘুম এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কার্যকলাপ পরিত্যাগ করে তার প্রিয়তমের হৃদয় জয় করার চেষ্টা করে ও পথে পথে ঘুরে প্রেয়সীর গান করে বেড়ায়। শেষ পর্যন্ত, প্রেমিক তার প্রিয়জনের সম্মুখে নিজের প্রাণ ত্যাগ করতে চায়। প্রথাটি ছিল আবেগপূর্ণ, তাই ঐতিহ্যগতভাবে শেষ পর্যায়ে, প্রেমিকা প্রেমিকের ভক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়। এই স্তবগানে, তিরুমঙ্গাই আলবর একজন গোপিকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, যিনি কৃষ্ণের দুধ-দাসী প্রেমিকা, এবং কৃষ্ণের হৃদয় জয় করার জন্য একটি "মাতাল" গীতি গান করেন। এটি করার মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ তামিল গোষ্ঠীর বিপরীতে শ্রী বৈষ্ণবধর্মের উত্তর সংস্কৃত গোষ্ঠীর প্রতি তার আনুগত্যের কথা উল্লেখ করে মহিলাদের প্রথা পালনের অনুমতি না দেওয়ার নিয়ম ভঙ্গ করেন। [৫]
শিরিয় তিরুমাতালের একটি স্তবক গজেন্দ্র মোক্ষের কিংবদন্তি বর্ণনা করেছে যেখনে বিষ্ণু কুমিরের চোয়াল থেকে একটি হাতিকে উদ্ধার করেছিলেন:[৬]
যখন সেই বিশালাকায় হাতি দাঁড়িয়েছিল পদ্মপুষ্করিণীতে,
এবং গ্রাসকারী কুমিরের সাথে যুদ্ধ করছিল, তখন সে এই বলে তার দীর্ঘ শুঁড় দিয়ে একটি পদ্ম নিবেদন করেছিল,
"হে নারায়ণ! হে শ্যামবর্ণ প্রভু! হে শেষশায়ী!
আমার সাহায্যে এগিয়ে আসুন! আমাকে রক্ষা করুন!"
প্রভু তা শুনে এলেন, এবং চক্র দিয়ে কুমিরের চোয়াল দুই টুকরো করলেন,এবং আর্ত হাতিকে মুক্ত করলেন।
— তিরুমঙ্গাই আলবর
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Cheran, R.; Ambalavanar, Darshan (২০০৭)। History and Imagination: Tamil Culture in the Global Context (ইংরেজি ভাষায়)। TSAR Publications। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 978-1-894770-36-1।
- ↑ Cutler, Norman (১৯৮৭-০৫-২২)। Songs of Experience: The Poetics of Tamil Devotion (ইংরেজি ভাষায়)। Indiana University Press। পৃষ্ঠা 3। আইএসবিএন 978-0-253-11419-8।
- ↑ Pārttacārati, Intirā (২০০২)। Vaisnavisam in Tamil Literature Between the 7th and 9th Centuries (ইংরেজি ভাষায়)। International Institute of Tamil Studies। পৃষ্ঠা 35।
- ↑ RAMANUJAN, S. R. (২০১৪-০৮-১৩)। THE LORD OF VENGADAM (ইংরেজি ভাষায়)। PartridgeIndia। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 978-1-4828-3462-8।
- ↑ Padmaja, T. (২০০২)। Temples of Kr̥ṣṇa in South India: History, Art, and Traditions in Tamilnāḍu (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 59–60। আইএসবিএন 978-81-7017-398-4।
- ↑ Makarand Joshi। The Sacred Book Of Four Thousand 01 Nalayira Divya Prabandham Sri Rama Bharati 2000। পৃষ্ঠা 724।