রাজতন্ত্রী ইরান
রাজতন্ত্রী ইরান রাষ্ট্রa | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৯২৫–১৯৭৯ | |||||||||
জাতীয় সঙ্গীত: (১৯২৫–১৯৩৩) سلامتی دولت علیهٔ ایران সালামতি-য়ে দৌলাত-এ 'আলিইয়ে-য়ে ইরান "মহৎ ইরান রাষ্ট্রকে সালাম" (১৯৩৩–১৯৭৯) سرود شاهنشاهی ایران সোরুদ-এ শাহেনশাহি-য়ে ইরআন[৪] "ইরানের রাজসঙ্গীত" | |||||||||
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | তেহরান | ||||||||
সরকারি ভাষা | ফারসি | ||||||||
ধর্ম | শিয়া ইসলাম (সরকারি)[ক] ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র (কার্যত)[খ] | ||||||||
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | ফারসি (২১ মার্চ ১৯৩৫ পর্যন্ত) ইরানি (২২ মার্চ ১৯৩৫ থেকে) | ||||||||
সরকার | এককেন্দ্রিক সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (বিধিসম্মত)[গ] এককেন্দ্রিক সংসদীয় আধা-সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (কার্যত)[ঘ]
| ||||||||
শাহ | |||||||||
• ১৯২৫–১৯৪১ | রেজা শাহ পহলভি | ||||||||
• ১৯৪১–১৯৭৯ | মোহাম্মদ রেজা পহলভি | ||||||||
প্রধানমন্ত্রী | |||||||||
• ১৯২৫–১৯২৬ (প্রথম) | মোহাম্মদ আলী ফরৌগী | ||||||||
• ১৯৭৯ (শেষ) | শাপুর বখতিয়ার | ||||||||
আইন-সভা | জাতীয় সমাবেশ (একদলীয় আইনসভা হিসেবে; ১৯২৫–১৯৪৯) সিনেট (দ্বিকক্ষীয় আইনসভা হিসেবে; ১৯৪৯–১৯৭৯) | ||||||||
• উচ্চকক্ষ | সিনেট | ||||||||
জাতীয় পরামর্শ পরিষদ | |||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | যুদ্ধকালীন সময় • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ • স্নায়ুযুদ্ধ | ||||||||
• পহলভি রাজবংশের গণপরিষদে ভোট | ১৫ ডিসেম্বর ১৯২৫ | ||||||||
২৫ আগস্ট – ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ | |||||||||
• জাতিসংঘে যোগদান | ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ | ||||||||
১৯ আগস্ট ১৯৫৩ | |||||||||
২৬ জানুয়ারি ১৯৬৩ | |||||||||
১৯৭৯ | |||||||||
জিডিপি (পিপিপি) | ১৯৭২ আনুমানিক | ||||||||
• মাথাপিছু | মার্কিন $৫৭১ (২০২৩ অনুযায়ী $৪,১২৩.৩৮)[ক][৪] | ||||||||
মুদ্রা | রিয়াল (ریال) (আইআরআর)[৪] | ||||||||
| |||||||||
|
পহলভি ইরান বা দাপ্তরিকভাবে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত রাজতন্ত্রী পারস্য ও তারপরে রাজতন্ত্রী ইরান[৪] ১৯২৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত পহলভি রাজবংশের শাসনাধীন ইরানীয় রাষ্ট্র ছিল।
এটি ১৯২৫ সালে গঠিত হয় যেটি ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এরপর ইসলামি বিপ্লবের ফলে পহলভি রাজবংশ উৎখাত হয়, ঘটনাটি ইরানে ধারাবাহিক রাজতান্ত্রিক শাসন বিলুপ্ত করে বর্তমান ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরান প্রতিষ্ঠা করে। পহলভি রাজবংশ ১৯২৫ সালে কশাক ব্রিগেডের প্রাক্তন ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রেজা শাহ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। তার শাসনকাল ১৯৪১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়, এরপর তিনি ইঙ্গো-সোভিয়েত আক্রমণের ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মিত্রদের চাপে ত্যাগ করতে বাধ্য হন। সাম্রাজ্যের সিংহাসন তখন তার পুত্র মোহাম্মদ রেজা পাহলভির আওতাধীন হয় যিনি সর্বশেষ ইরানের শাহ ছিলেন।
কাজার রাজবংশের হয়ে ইরানের শেষ শাসক আহমদ শাহ কাজার যুক্তরাজ্য ও সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর সীমাবদ্ধতা বন্ধ করতে অক্ষম প্রমাণিত হওয়ার পর পহলভিরা ক্ষমতায় আসে, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার অবস্থান অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে ও ফ্রান্সে থাকাকালীন সংসদে ক্ষমতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অপসারণ করা হয়। ইরানের মজলিশ ১২ ডিসেম্বর ১৯২৫ সালে একটি গণপরিষদ হিসেবে অধিবেশন আহবান করে যুবক আহমদ শাহ কাজারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রেজা শাহকে পারস্য সাম্রাজ্যের নতুন শাহ হিসাবে ঘোষণা করে। ১৯৩৫ সালে রেজা শাহ বিদেশী প্রতিনিধিদের আনুষ্ঠানিক চিঠিপত্রে দেশটিকে সম্বোধন করার সময় পারস্য নামটির পরিবর্তে ইরান নাম ব্যবহার করতে বলেন।
১৯৫৩ সালে সংঘটিত যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ইরানি অভ্যুত্থানের পরে মোহাম্মদ রেজা পহলভির শাসন আরও স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে ও স্নায়ুযুদ্ধের সময় পশ্চিমা ব্লকের সাথে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত হয়। বৈদেশিক নীতির এই পুনর্বিন্যাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে দেশটি সোভিয়েত মতাদর্শগত সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে একটি বাঁধা হিসেবে কাজ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হয়ে ওঠে, এটি শাহকে এযাবৎকালের নজিরবিহীন আর্থ-সামাজিক কর্মসূচী কার্যকর করার জন্য রাজনৈতিক রসদ দেয় যা শ্বেত বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের জীবনের সব দিক থেকে পরিবর্তন আনে। ফলস্বরূপ, স্বাক্ষরতা, স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান সহ সমস্ত সূচকে ইরান অসাধারণ সাফল্যের অভিজ্ঞতা লাভ করে। যাইহোক, ১৯৭৮ সালের মধ্যে শাহ ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষের সম্মুখীন হন যেটি ধর্মীয় নেতা রুহুল্লাহ খোমেইনীর নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ জনপ্রিয় বিপ্লবী আন্দোলনে পরিণত হয়। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে মোহাম্মদ রেজা পহলভি তার নিজ পরিবারের সাথে নির্বাসনে চলে যাওয়ার ঘটনা এমন একটি ধারাবাহিক ঘটনার জন্ম দেয় যা দ্রুত রাজতন্ত্রের অবসান ঘটায় ও ৩১ মার্চ ১৯৭৯ সালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৮০ সালে মোহাম্মদ রেজা পহলভির মৃত্যুর পর তার পুত্র রেজা পহলভি এখন নির্বাসিত পরিবারের সিংহাসনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ মূল্যমান $৪,১২৩.৩৮ (২০২৩ অনুযায়ী)
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Flags of the World: Iranian Empire (Pahlavi Dynasty, 1964–)"। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১০।
- ↑ Whitney Smith (১৯৮০), Flags and Arms across the World, McGraw-Hill, আইএসবিএন 978-0-07-059094-6
- ↑ "The Imperial Standards of Iran"।
- ↑ ক খ গ ঘ The Statesman's Year-Book 1978–79, Springer, ২০১৬, পৃষ্ঠা 674–682, আইএসবিএন 9780230271074
- ↑ "Iran between Islamic Nationalism and Secularism"।
- ↑ Parker Richards (২৯ জানুয়ারি ২০১৬)। "Pahlavi, Elie Wiesel, Rev. King to Be Honored for Promoting Peace"। Observer। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৭।
ইরানের রাষ্ট্র | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী মহৎ পারস্য রাষ্ট্র |
রাজতন্ত্রী ইরান রাষ্ট্র ১৯২৫–১৯৭৯ |
উত্তরসূরী ইরানের অস্থায়ী সরকার |