বিষয়বস্তুতে চলুন

জার্মান ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য

স্থানাঙ্ক: ৫২°৩১′ উত্তর ১৩°২৪′ পূর্ব / ৫২.৫১৭° উত্তর ১৩.৪০০° পূর্ব / 52.517; 13.400
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জার্মান ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য

Deutsches Kolonialreich
১৮৮৪–১৯২০
জার্মানের জাতীয় পতাকা
পতাকা
জার্মানের
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জার্মান উপনিবেশ ও প্রোটেক্টরয়েটসমূহ, ১৯১৪
জার্মান উপনিবেশ ও প্রোটেক্টরয়েটসমূহ, ১৯১৪
অবস্থাঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য
রাজধানীবার্লিন
প্রচলিত ভাষাজার্মান
স্থানীয়:

সোয়াহিলি, আরবি (পূর্ব আফ্রিকার উপনিবেশসমূহ)
ওশিওয়াম্বো, আফ্রিকান্স (দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা)
বান্টু (টোগোল্যান্ড অ্যান্ড ক্যামেরুন)

সিংতাও চীনামান্ডারিন চীনা (তিয়ানজিন ও কিয়াউৎসচৌ উপসাগর)
পাপুয়ান ভাষাসমূহ (জার্মান নিউ গিনি)
সামোয়ান (জার্মান সামোয়া)
ইতিহাস 
১৮৮৪
১৮৮৮
১৮৯০
১৮৯৯
১৯০৪
১৯০৫
১৯১৯
 বিলুপ্ত
১৯২০
আয়তন
১৯১২[] (মূল জার্মান সাম্রাজ্য অন্তর্ভুক্ত নয়)২৬,৫৮,১৬১ বর্গকিলোমিটার (১০,২৬,৩২২ বর্গমাইল)
জার্মানির ঔপনিবেশিক পতাকা হাতে এক পূর্ব আফ্রিকান আসকারি সৈন্য

জার্মান ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য (জার্মান: Deutsches Kolonialreich) গড়ে উঠেছিল জার্মান সাম্রাজ্যের বৈদেশিক উপনিবেশ, আশ্রিত রাজ্য ও অঞ্চল নিয়ে। ১৮৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে একত্রীভূত হওয়ার সময় এই সময়কালে সাম্রাজ্যের চ্যান্সেলর ছিলেন অটো ফন বিসমার্ক। পূর্ববর্তী শতাব্দীগুলিতেও পৃথক পৃথক জার্মান রাজ্যগুলির দ্বারা উপনিবেশ স্থাপনের সাময়িক প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল, কিন্তু ১৮৮৪ সালেই প্রথম আফ্রিকার জন্য অগ্রসরণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ উপনিবেশ স্থাপন শুরু হয়। আফ্রিকার যে সব এলাকায় তখনও উপনিবেশ স্থাপিত হয়নি, সেগুলি অধিকার করে জার্মানি ব্রিটিশফরাসি সাম্রাজ্যের পরে সমকালীন যুগের তৃতীয় বৃহত্তম ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যটি গড়ে তোলে।[] জার্মান ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশ নিয়ে, যার অন্তর্গত ছিল অধুনা বুরুন্ডি, রোয়ান্ডা, তানজানিয়া, নামিবিয়া, ক্যামেরুন, গ্যাবোন, কঙ্গো, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, চাদ, নাইজেরিয়া, টোগো, ঘানা, নিউ গিনি ও অসংখ্য পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় / মাইক্রোনেশীয় দ্বীপপুঞ্জ।

১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনাতেই জার্মানি নিজের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহেই মিত্র বাহিনী জার্মানির সকল উপনিবেশে সামরিক অভিযান চালায়। যদিও প্রত্যন্ত কয়েকটি এলাকার ঔপনিবেশিক সামরিক ইউনিটগুলি তুলনামূলকভাবে দীর্ঘকাল কর্তৃত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়: জার্মান দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা আত্মসমর্পণ করে ১৯১৫ সালে, ক্যামেরুন ১৯১৬ সালে এবং জার্মান পূর্ব আফ্রিকা ১৯১৮ সালে।

যুদ্ধে জার্মানির পরাজয় ঘটলে ভার্সাই চুক্তি বলে জার্মানির ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং প্রতিটি উপনিবেশ এক-একটি বিজয়ী শক্তির তত্ত্বাবধানে (মালিকানায় নয়) সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ম্যান্ডেটে পরিণত হয়। ১৯১৯ সালে জার্মান ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য বিলুপ্ত হয়।[] হারানো উপনিবেশগুলি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও করেছিল। সেই যুগে অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন যে, জার্মান তৃতীয় রাইখের একটি উদ্দেশ্যই ছিল তাই।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Statistische Angaben zu den deutschen Kolonien নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  2. Diese deutschen Wörter kennt man noch in der Südsee, von Matthias Heine "Einst hatten die Deutschen das drittgrößte Kolonialreich[...]"
  3. Biskup, Thomas; Kohlrausch, Martin। "Germany 2: Colonial Empire"Credo Online। Credo Reference।
  4. Townsend, Mary (Jun 1938). "The German Colonies and the Third Reich". Political Science Quarterly. 53 (2): 186-206.

উল্লেখপঞ্জি

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

জার্মান ভাষায়

[সম্পাদনা]

ফরাসি ভাষায়

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]