সাসানীয় সাম্রাজ্য
এরানশাহর | |
---|---|
২২৪–৬৫১ | |
Derafsh Kaviani
(প্রতীক পতাকা) সিমুর্ঘ
(প্রতীক) | |
![]() খসরু II-এর শাসনামলে (আনু. 620) সাসানীয় সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ বিস্তৃতির মানচিত্র। | |
রাজধানী | |
সরকারি ভাষা | মধ্য পার্সীয় ভাষা[২] |
ধর্ম | |
সরকার | জমিদার ভিত্তিক রাজতন্ত্র[৩] |
শাহানশাহ | |
• ২২৪–২৪১ | আর্দাশির I (প্রথম) |
• ৬৩২–৬৫১ | ইয়াজদেগার্দ III (শেষ) |
ঐতিহাসিক যুগ | প্রাচীন যুগের অন্তিম পর্ব |
২৮ এপ্রিল ২২৪ | |
২৬০ | |
৫২৬–৫৩২ | |
৬০২–৬২৮ | |
৬২৮–৬৩২ | |
১৬–১৯ নভেম্বর ৬৩৬ | |
৬৪২ | |
৬৫১ | |
আয়তন | |
৫৫০[৫][৬][৭] | ৩৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৪,০০,০০০ বর্গমাইল) |
৬২০ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] | ৫০,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (১৯,০০,০০০ বর্গমাইল) |
সাসানীয় সাম্রাজ্য (/səˈsɑːniən,
চার শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টিকে থাকা সাসানীয় শাসনের মেয়াদ প্রাচীন ইরানে আর্শাকীয়দের পরে দ্বিতীয় দীর্ঘতম।[১১][১২]
আর্দাশির I এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যখন আর্শাকীয়দের প্রভাব অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুর চাপে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। সাসান বংশের লক্ষ্য ছিল আহেমেনীয়দের গৌরব ফিরিয়ে আনা এবং ইরানের সীমান্ত বিস্তৃত করে জাতীয় ঐক্য দৃঢ় করা। ২২৪ সালে হরমোজদগানের যুদ্ধে আর্তাবানুস IV-কে পরাজিত করার পর, তারা রোমানদের সঙ্গে পূর্বসূরিদের তুলনায় আরও সক্রিয় প্রতিযোগিতায় নামে। এর ফলে রোমান-ইরানি যুদ্ধ-এর একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে আর্দাশিরের রাজবংশ ইরানকে অন্তিম প্রাচীন যুগে একটি প্রধান শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।[১৩][১৪][১৫]
সাম্রাজ্যের সর্বোচ্চ বিস্তারের সময় সাসানীয়রা আধুনিক ইরান, ইরাক, আরব উপদ্বীপের (বিশেষত পূর্ব ও দক্ষিণ অঞ্চল), ককেশাস, লেভান্ট, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে রাখে।[১৬] সাম্রাজ্যের প্রথম দুই বছর বাদে কতেসিফোন ছিল রাজধানী, যা পূর্বে আর্শাকীয়রাও ব্যবহার করেছিল। ওই দুই বছরে ইস্তাখর সাময়িকভাবে রাজধানী ছিল।
ইরানি সভ্যতার ইতিহাসে এটি ছিল এক গৌরবময় অধ্যায়।[১৭] সাসানীয় শাসনব্যবস্থা ছিল জটিল ও কেন্দ্রীভূত। এই সময় জরথ্রুস্টবাদকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করা হয় এবং এটি একত্রীকরণ ও বৈধতার ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[১৮] এই সময় অসংখ্য বিশাল স্থাপনা, জনকল্যাণমূলক নির্মাণকাজ এবং সংস্কৃতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
সাসানীয়দের অধীনে ইরানি সংস্কৃতির প্রভাব সাম্রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম ইউরোপ,[১৯] পূর্ব আফ্রিকা[২০] এবং চীন ও ভারতের মতো দূরবর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।[২১] এই সময় ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যযুগীয় শিল্পকলার উপরও এর প্রভাব পড়ে।[২২]
ইসলামের উত্থান-এর পর মুহাম্মদ এবং পরবর্তীতে রাশিদুন খলিফাদের নেতৃত্বে মুসলিম বিজয় অভিযান শুরু হলে, সাসানীয় সাম্রাজ্য ধীরে ধীরে পতিত হয়। মুসলিমদের ইরান দখল দেশটির ইতিহাসে এক বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তবে এই ইসলামীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাসানীয় শিল্প, স্থাপত্য, সঙ্গীত, মধ্য পার্সীয় সাহিত্য ও দর্শন ধীরে ধীরে নতুন গঠিত ইসলামী সংস্কৃতিতে মিশে যায়। ফলে ইরানি সংস্কৃতি, জ্ঞান ও চিন্তার বিকাশ অব্যাহত থাকে এবং তা উদীয়মান মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।[২৩]
নাম
[সম্পাদনা]সরকারিভাবে সাসানীয় সাম্রাজ্যকে বলা হতো "ইরানিদের সাম্রাজ্য" (মধ্য পার্সীয়: 𐭠𐭩𐭥𐭠𐭭𐭱𐭲𐭥𐭩 Ērānšahr; পার্থীয়: 𐭀𐭓𐭉𐭀𐭍𐭇𐭔𐭕𐭓 Aryānxšahr; গ্রিক: Ἀριανῶν ἔθνος Arianōn Ethnos)।[খ] এই শব্দটির প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় শাপুর I-এর তিনভাষিক কাবা-য়ে জারতুশ্ত অভিলেখে। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন: "আমি ইরানিদের সাম্রাজ্যের অধিপতি।"[গ][২৫]
তবে প্রচলিতভাবে, এই সাম্রাজ্য এবং সাসানীয় রাজবংশ উভয়কেই সাসান-এর নামে চিহ্নিত করা হয়। ইংরেজিতে এই নাম বিভিন্নভাবে লেখা হয়েছে, যেমন: Sassanian Empire, Sasanid Empire এবং Sassanid Empire।
সরকার
[সম্পাদনা]সাসানীয়রা পার্থিয় আরশাকীয়দের নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে একটি সাম্রাজ্য স্থাপন করে, যার রাজধানী ছিল আসোরিস্তান প্রদেশের ক্তেসিফনে। এই সাম্রাজ্য পরিচালনায় সাসানীয় শাসকরা শাহানশাহ (রাজাদের রাজা) উপাধি গ্রহণ করতেন। তারা কেবল কেন্দ্রীয় শাসকই নন, বরং জাতীয় ধর্মের প্রতীক পবিত্র অগ্নির রক্ষক হিসেবেও বিবেচিত হতেন। সাসানীয় মুদ্রায় এটি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়—সেখানে রাজা তাঁর মুকুট ও রাজদণ্ডসহ সম্মুখভাগে এবং পেছনের দিকে পবিত্র অগ্নি চিত্রিত থাকে।[২৬] সাসানীয় রাণীদের উপাধি ছিল banbishnan banbishn (রাণীদের রানী)।
ছোট পরিসরে কিছু অঞ্চল ছিল স্থানীয় সম্ভ্রান্ত পরিবারভুক্ত ক্ষুদ্র শাসকদের অধীনে, যাদের বলা হতো shahrdar এবং যারা সরাসরি শাহানশাহ-এর তত্ত্বাবধানে থাকতেন। প্রদেশগুলোর বিভিন্ন জেলা পরিচালনা করতেন একজন শাহরাব এবং একজন মোবেদ (প্রধান পুরোহিত)। মোবেদরা ভূমি সংক্রান্ত ও অন্যান্য আইনি বিষয়ে দায়িত্ব পালন করতেন।[২৭] সাসানীয় শাসনব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত, যার মধ্যে ছিল বিস্তৃত নগর পরিকল্পনা, কৃষি উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি।[২৮] রাজাদের অধীনে একটি শক্তিশালী আমলাতন্ত্র প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনা করত। এই প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ছিলেন wuzurg framadar (মন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী)। এই কাঠামোর মধ্যে জোরোয়াস্ট্রিয় পুরোহিতগণ অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। সম্রাটের পরে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন প্রধান কর্মকর্তারা: mowbedan mowbed (পুরোহিত সম্প্রদায়ের প্রধান), spahbed (সেনাপতি), হুতুখশবেদ (বণিক ও ব্যবসায়ীদের সংগঠনের প্রধান) এবং wastaryoshan-salar (কৃষিমন্ত্রী এবং কৃষকদের প্রধান)।[২৯]
যদিও সাসানীয়রা আনুষ্ঠানিকভাবে একনায়ক শাসক ছিলেন, তবুও তারা সাধারণত তাদের মন্ত্রীদের পরামর্শ গ্রহণ করতেন। দশম শতাব্দীর মুসলিম ঐতিহাসিক আল-মাসুদি সাসানীয় শাসকদের "উৎকৃষ্ট প্রশাসন, সুসংগঠিত নীতি, প্রজাদের প্রতি যত্ন ও তাদের রাজ্যের সমৃদ্ধি"র প্রশংসা করেছিলেন। সাধারণত রাজ্য উত্তরাধিকারসূত্রে হস্তান্তর হতো, তবে রাজা প্রয়োজনে ছোট ছেলেকে উত্তরাধিকারী করতে পারতেন। কখনও কখনও রাণীরা সর্বোচ্চ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। কোনো প্রত্যক্ষ উত্তরাধিকারী না থাকলে, অভিজাত ও ধর্মগুরুরা রাজপরিবারের মধ্য থেকে একজন শাসক মনোনীত করতেন।[৩০]
সাসানীয় অভিজাত শ্রেণি ছিল পার্থিয় পুরনো গোত্র, পারস্য অভিজাত পরিবার এবং অধীনস্ত অঞ্চলগুলোর সম্ভ্রান্তদের সংমিশ্রণ। পার্থিয় রাজবংশের পতনের পর বহু নতুন সম্ভ্রান্ত পরিবার আবির্ভূত হয়েছিল, তবে কিছু প্রভাবশালী সাত পার্থিয় গোত্র-এর প্রভাব রয়ে গিয়েছিল। আরদাশির I-এর দরবারে কারেন, সুরেন এবং Varazes ও Andigans পরিবারের সদস্যরা উচ্চ মর্যাদা লাভ করতেন। পাশাপাশি Merv, Abarshahr, কিরমান, সাকাস্তান, আইবেরিয়া ও Adiabene-এর রাজারা, যারা অভিজাত শ্রেণিতে গন্য হতেন, শাহানশাহ-এর দরবারে উপস্থিত হতেন। সুরেন, কারেন ও ভারাজ পরিবারগুলোর বিস্তৃত এলাকা আধা-স্বাধীনভাবে সাসানীয় সাম্রাজ্যের অংশে পরিণত হয়েছিল। ফলে এসব সম্ভ্রান্ত পরিবার নিজেরাই শাসক থাকলেও শাহানশাহ-এর অধীনস্থ ছিলেন।
সাধারণভাবে, ইরানীয় wuzurgan (অভিজাত) পরিবারগুলোর সদস্যরাই ছিল সাম্রাজ্যের প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে, যেমন সীমান্ত প্রদেশগুলোর গভর্নর (marzban) হিসেবে। অধিকাংশ পদ পৈতৃক ছিল এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই পরিবারের হাতে ছিল। সবচেয়ে অভিজ্ঞ মারজবানদের রৌপ্য সিংহাসনের অনুমতি ছিল, আর সবচেয়ে কৌশলগত সীমান্ত প্রদেশের মারজবানদের স্বর্ণের সিংহাসন পর্যন্ত অনুমোদিত ছিল।[৩১] যুদ্ধ অভিযানে আঞ্চলিক মারজবানরা সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন, আর অপেক্ষাকৃত নিম্নপদস্থ spahbed-রা একটি ফিল্ড আর্মির নেতৃত্ব দিতেন।[৩২]
সাংস্কৃতিকভাবে, সাসানীয়রা একটি সামাজিক শ্রেণিবিন্যাস চালু করেছিল। এই ব্যবস্থা জোরোয়াস্ট্রিয় ধর্ম দ্বারা সমর্থিত ছিল, যা রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও অন্যান্য ধর্মগুলোর প্রতি সহনশীলতা ছিল বলে ধারণা করা হয়, তবে এই দাবির ওপর বিতর্ক রয়েছে।[৩৩] সাসানীয় সম্রাটরা সচেতনভাবে পারস্য ঐতিহ্য পুনর্জাগরণের চেষ্টা করতেন এবং গ্রিক সাংস্কৃতিক প্রভাব মুছে ফেলতে চাইতেন।[২৮]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]

সাসানীয় সাম্রাজ্যের অধিকাংশ জনগণ কৃষক হওয়ায় অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল কৃষিকাজ ও চাষাবাদ। খুজিস্তান ও ইরাক ছিল এই খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ। নাহরাভান খাল ছিল সাসানীয় সেচব্যবস্থার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ, যার অনেক নিদর্শন এখনো ইরানে বিদ্যমান। পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী যাযাবরদের মাধ্যমে কাঠ সংগ্রহ হতো। সাসানীয় শাসনব্যবস্থা কেন্দ্রীয়ভিত্তিক হওয়ায় এই যাযাবর ও পাহাড়ি অধিবাসীদের ওপর কর আরোপ সম্ভব হয়েছিল। খসরু প্রথম-এর শাসনামলে আরও জমি কেন্দ্রীয় শাসনের আওতায় আনা হয়।[৩৪]
সাসানীয় যুগে দুটি বাণিজ্যপথ ব্যবহৃত হতো: একটি ছিল উত্তরে, বিখ্যাত সিল্ক রুট; আরেকটি অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত, দক্ষিণ উপকূল ঘেঁষা পথ। Susa, Gundeshapur ও Shushtar-এর কারখানাগুলো রেশম উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল এবং এগুলো চীনা কারখানার সমকক্ষ ছিল। সাসানীয় শাসকেরা গ্রামাঞ্চলের জনগণের প্রতি উদারতা প্রদর্শন করতেন, যার ফলে দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্য মজুদ রাখা সম্ভব হতো।[৩৪]
শিল্প ও বাণিজ্য
[সম্পাদনা]
সাসানীয় শাসনে পারস্যের শিল্প উৎপাদন গৃহভিত্তিক থেকে শহরকেন্দ্রিক রূপে বিকশিত হয়। নানা রকমের বণিক সংগঠন গঠিত হয়েছিল। ভালো মানের রাস্তা ও সেতু, যা সুরক্ষিতভাবে পাহারায় রাখা হতো, ক্তেসিফনকে বিভিন্ন প্রদেশের সাথে যুক্ত করত। পারস্য উপসাগরে বন্দর নির্মাণ করা হয়েছিল যাতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ হয়।[৩০] সাসানীয় বণিকরা দূর-দূরান্তে বাণিজ্য বিস্তার করেন এবং ধীরে ধীরে ভারত মহাসাগরের লাভজনক বাণিজ্যপথ থেকে রোমানদের সরিয়ে দেন।[৩৫] সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারে জানা যায়, সাসানীয়রা বাণিজ্যপণ্যের গায়ে বিশেষ লেবেল ব্যবহার করত—যা ছিল একধরনের ব্র্যান্ডিং এবং মান নির্ধারণের কৌশল।[৩৬]
খসরু প্রথম সাসানীয়দের ব্যাপক বাণিজ্যজালকে আরও সম্প্রসারিত করেন। এই সময় রাজ্য বাণিজ্যের ওপর একাধিপত্যমূলক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। বিলাসবহুল পণ্যের বাণিজ্যে গুরুত্ব বাড়ে এবং বন্দর, সরাইখানা, সেতু নির্মাণ প্রভৃতির পেছনে এই বাণিজ্য ও নগরায়নের প্রভাব কাজ করেছিল। খসরুর আমলে পারস্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রাধান্য বিস্তার করে—ভারত মহাসাগর, মধ্য এশিয়া ও দক্ষিণ রাশিয়া পর্যন্ত। যদিও বাইজেন্টাইনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কখনও কখনও তীব্র ছিল। ওমান ও ইয়েমেন-এ সাসানীয়দের বসতি প্রতিষ্ঠা, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বকে প্রমাণ করে। তবে চীনের সঙ্গে রেশম বাণিজ্য মূলত সাসানীয় অধীনস্থ ও ইরানীয় জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে সগদীয়দের নিয়ন্ত্রণে ছিল।[৩৭] ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ইয়েমেনের সুগন্ধির ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ সাসানীয়দের হাতে আসে।[৩৮]
সাসানীয়দের প্রধান রপ্তানিপণ্য ছিল রেশম; উলের এবং সোনার সুতা সংবলিত বস্ত্র; কার্পেট ও গালিচা; চামড়া ও পারস্য উপসাগরের মুক্তা। চীন (কাগজ, রেশম) ও ভারত (মসলা) থেকে আগত পণ্যগুলির ওপর শুল্ক আরোপ করা হতো এবং এইসব পণ্য ইউরোপে পুনঃরপ্তানি করা হতো।[৩৯]
এই সময়ে ধাতবশিল্পের উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ইরান “এশিয়ার অস্ত্রাগার” হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। অধিকাংশ খনিশিল্প কেন্দ্র ছিল সাম্রাজ্যের প্রান্তে—আর্মেনিয়া, ককেশাস এবং সর্বাধিক Transoxania অঞ্চলে। পামির পর্বতমালার বিপুল খনিজ সম্পদের কারণে তাজিকদের মধ্যে একটি কিংবদন্তি প্রচলিত—জগৎ সৃষ্টি করার সময় ঈশ্বর পামির অঞ্চলে হোঁচট খেয়ে পড়েন এবং তাঁর খনিজপূর্ণ হাঁড়ি ভেঙে যায়, যার খনিজ এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।[৩৫]
উত্তরাধিকার ও গুরুত্ব
[সম্পাদনা]সাসানীয় সাম্রাজ্য পতনের পরও এর প্রভাব দীর্ঘকাল ধরে টিকে ছিল। এই সাম্রাজ্য একটি পারস্য নবজাগরণ ঘটায়, যা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্মভিত্তিক নবগঠিত সভ্যতার অন্যতম প্রেরণার উৎসে পরিণত হয়।[৪০] আধুনিক ইরান এবং বৃহত্তর ইরানীয় অঞ্চলে সাসানীয় যুগকে ইরানের ইতিহাসের অন্যতম শিখর ধাপে গণ্য করা হয়।[৪১]
ইউরোপে
[সম্পাদনা]
সাসানীয় সংস্কৃতি ও সামরিক কাঠামো প্রাচীন রোমান সভ্যতার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। পারস্যের যুদ্ধকৌশল রোমান সেনাবাহিনীর গঠন ও চরিত্রে প্রভাব ফেলে। এক ধরনের পরিবর্তিত রূপে, রোমান সাম্রাজ্যের একনায়কতন্ত্র ক্তেসিফনের সাসানীয় দরবারের রাজকীয় আচার-আচরণ অনুকরণ করেছিল, যা মধ্যযুগ ও আধুনিক ইউরোপীয় রাজদরবারের প্রথাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেছিল। ইউরোপীয় কূটনৈতিক প্রথার উৎস অনেকাংশেই পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্যের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক থেকে উৎসারিত হয়েছে বলে মনে করা হয়।[৪২]
ইহুদি ইতিহাসে
[সম্পাদনা]সাসানীয় সাম্রাজ্য ইহুদি ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সঙ্গে জড়িত। বাবিলীয় তালমুদ তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যে সাসানীয় পারস্যে সংকলিত হয়েছিল,[৪৩] এবং সুরা ও Pumbedita শহরে প্রতিষ্ঠিত প্রধান ইহুদি শিক্ষাকেন্দ্রসমূহ তালমুদিক পাণ্ডিত্যর ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।[৪৪] রাজপরিবারের কয়েকজন সদস্য, যেমন শাহপুর II-এর রাণী মা ইফরা হরমিযদ ও ইয়াজদেগার্দ I-এর ইহুদি স্ত্রী রাণী Shushandukht—এই দুই ব্যক্তিত্ব ক্তেসিফনে সরকারের সঙ্গে ইহুদি সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[৪৫]
ভারতে
[সম্পাদনা]
সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতনের ফলে ধীরে ধীরে ইসলাম ইরানে প্রাধান্যশীল ধর্মে পরিণত হয় এবং জোরোয়াস্ট্রিয় ধর্মের স্থান দখল করে। বহু জোরোয়াস্ট্রিয় এই ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে দেশ ছাড়েন। Qissa-i Sanjan-এর বর্ণনা অনুযায়ী, এসব শরণার্থীদের একটি দল বর্তমানে ভারতের গুজরাট অঞ্চলে পৌঁছায়, যেখানে তারা নিজেদের ধর্ম ও রীতিনীতি পালনে তুলনামূলক স্বাধীনতা লাভ করে। এই জোরোয়াস্ট্রিয়দের বংশধরেরা ভারতের ইতিহাসে সামান্য হলেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে ভারতে ৭০,০০০-এর বেশি জোরোয়াস্ট্রিয় বাস করে।[৪৬]
জোরোয়াস্ট্রিয়রা এখনো সাসানীয় আমলে প্রবর্তিত একটি ধর্মীয় ক্যালেন্ডারের পরিবর্তিত রূপ ব্যবহার করেন। এই ক্যালেন্ডারে ইয়াজদেগার্দ III-এর সিংহাসনে আরোহণকে বছর গণনার সূচনা হিসেবে ধরা হয়।[ঘ]
কালানুক্রম
[সম্পাদনা]
- ২২৪–২৪১: Ardashir I-এর শাসনকাল:
- ২২৪: পার্থীয় সাম্রাজ্য পতন
- ২২৯–২৩২: রোমের সঙ্গে যুদ্ধ
- জোরোয়াস্ট্রিয় ধর্মকে পুনরুজ্জীবিত করে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা
- জেনদ অবেস্তা গ্রন্থসমূহ সংকলিত হয়
- ২৪১–২৭১: Shapur I “দ্য গ্রেট”-এর শাসনকাল:
- ২৪১–২৪৪: রোমের সঙ্গে যুদ্ধ
- ২৫২–২৬১: রোমের সঙ্গে পুনরায় যুদ্ধ; এডেসার যুদ্ধে পারসিক বিজয় এবং রোমান সম্রাট ভ্যালেরিয়ান বন্দি হন
- ২১৫–২৭১: মানি, মানিকিজম ধর্মের প্রবর্তক
- ২৭১–৩০১: রাজবংশীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের সময়কাল
- ২৮৩: রোমের সঙ্গে যুদ্ধ
- ২৯৩: Narseh-এর বিদ্রোহ
- ২৯৬–২৯৮: রোমের সঙ্গে যুদ্ধ; পারস্য টাইগ্রিসের পূর্বে পাঁচটি প্রদেশ রোমকে ছেড়ে দেয়
- ৩০৯–৩৭৯: Shapur II “দ্য গ্রেট”-এর শাসনকাল:
- ৩২৫: শাপুর II অনেক আরব গোষ্ঠীকে পরাজিত করে লাখমিদ রাজ্যকে তার অনুগত রাজ্য বানান
- ৩৩৭–৩৫০: রোমের সঙ্গে প্রথম যুদ্ধ (সাফল্য সীমিত)
- ৩৫৯–৩৬৩: দ্বিতীয় যুদ্ধ; রোম Mesopotamia, জর্জিয়া, আর্মেনিয়াসহ ১৫টি দুর্গ ও নিশিবিস পারস্যকে ছেড়ে দেয়[৪৭][৪৮]
- ৩৮৭: আর্মেনিয়া রোমান ও পারস্য অংশে বিভক্ত
- ৩৯৯–৪২০: Yazdegerd I “দ্য সিনার”-এর শাসনকাল:
- ৪১০: ইসহাকের ধর্মসভায় পূর্ব খ্রিস্টান চার্চ প্রতিষ্ঠিত; খ্রিস্টানদের উপাসনা ও গির্জা নির্মাণের অনুমতি
- ৪১৬–৪২০: খ্রিস্টানদের উপর নির্যাতন; পূর্বের আদেশ প্রত্যাহার
- ৪২০–৪৩৮: Bahram V-এর শাসনকাল:
- ৪২১–৪২২: রোমের সঙ্গে যুদ্ধ
- ৪২৪: দাদ-ইশুর কাউন্সিলে পূর্ব খ্রিস্টান চার্চ কনস্টান্টিনোপল থেকে স্বাধীন ঘোষণা
- ৪২৮: পারস্য-শাসিত আর্মেনিয়া সাসানীয় সাম্রাজ্যে সংযুক্ত হয়
- ৪৩৮–৪৫৭: Yazdegerd II-এর শাসনকাল:
- ৪৪০: বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ; রোম পারস্যকে অর্থ প্রদান করে[৪৯]
- ৪৪৯–৪৫১: আর্মেনিয় বিদ্রোহ; আভারায়রের যুদ্ধে খ্রিস্টান আর্মেনিয়রা ভারদান মামিকোনিয়ানের নেতৃত্বে যুদ্ধ করে
- ৪৮২–৪৮৩: আর্মেনিয়া ও আইবেরিয়ায় বিদ্রোহ
- ৪৮৩: খ্রিস্টানদের জন্য ধর্মীয় সহনশীলতার আদেশ জারি
- ৪৮৪: Peroz I হেপ্টালাইটদের হাতে পরাজিত ও নিহত; Treaty of Nvarsak অনুসারে আর্মেনিয়দের খ্রিস্টধর্ম পালনের অধিকার স্বীকৃত
- ৪৯১: আর্মেনিয় বিদ্রোহ; আর্মেনিয় চার্চ Council of Chalcedon প্রত্যাখ্যান করে; নেস্টোরিয়ান খ্রিস্টধর্ম সাসানীয় সাম্রাজ্যের প্রধান খ্রিস্টীয় মত হয়ে ওঠে
- ৫০২–৫০৬: বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ; যুদ্ধশেষে বাইজেন্টাইনরা ১,০০০ পাউন্ড স্বর্ণ পারস্যকে দেয়[৫০]; সাসানীয়রা থিওডোসিওপোলিস ও মার্টিরোপলিস দখল করে। পরে আমিদা ১,০০০ পাউন্ড স্বর্ণে বাইজেন্টাইনরা পুনরুদ্ধার করে।[৫০]
- ৫২৬–৫৩২: বাইজেন্টাইনদের সঙ্গে যুদ্ধ; চিরস্থায়ী শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়—পারস্য আইবেরিয়া রেখে দেয়, বাইজেন্টাইনরা Lazica ও পারস-আর্মেনিয়া পায়; বাইজেন্টাইনরা বার্ষিক ১১,০০০ পাউন্ড স্বর্ণ পারস্যকে কররূপে প্রদান করে[৫১]
- ৫৩১–৫৭৯: Khosrow I "অমর আত্মাবিশিষ্ট" (অনুশিরভান)-এর শাসন
- ৫৪১–৫৬২: বাইজেন্টাইনদের সঙ্গে যুদ্ধ
- ৫৭২–৫৯১: বাইজেন্টাইনদের সঙ্গে যুদ্ধ
- ৫৮০: Hormizd IV-এর অধীনে পারস্য আইবেরিয়ার রাজত্ব বিলুপ্ত করে এবং সাসানীয় গভর্নর নিয়োগ করে
- ৫৯০: বাহরাম চোবিনের বিদ্রোহ; Khosrow II Hormizd IV-কে অপসারণ করে শাসক হন, কিন্তু বাহরাম চোবিন সিংহাসন দখল করে নেন
- ৫৯১: Khosrow II বাইজেন্টাইনদের সাহায্যে সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন এবং পারস-আর্মেনিয়া ও আইবেরিয়ার পশ্চিমাংশ বাইজেন্টাইনদের হাতে দেন
- ৫৯৩: Hormizd V-এর সিংহাসন দখলের চেষ্টা
- ৫৯৫–৬০২: Vistahm-এর বিদ্রোহ
- ৬০৩–৬২৮: বাইজেন্টাইনদের সঙ্গে দীর্ঘ যুদ্ধ; পারস্য বাইজেন্টাইন মেসোপটেমিয়া, আনাতোলিয়া, সিরিয়া, প্যালেস্টাইন, মিশর ও ট্রান্সককেশাস দখল করে, পরে বাইজেন্টাইন পাল্টা আক্রমণে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়
- ৬১০: ধি-কারের যুদ্ধে আরবরা পারস্য সেনাকে পরাজিত করে
- ৬২৬: পারস্য, স্লাভ ও আভারদের যৌথভাবে কনস্টান্টিনোপল অবরোধ ব্যর্থ হয়
- ৬২৭: বাইজেন্টাইন সম্রাট Heraclius পারস্যের মেসোপটেমিয়া আক্রমণ করেন; নিনেভের যুদ্ধে পারস্য সেনা চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়
- ৬২৮: Khosrow II-কে উৎখাত করে Kavad II সিংহাসনে বসেন
- ৬২৮: পশ্চিম পারস্যে মহামারিতে জনসংখ্যার অর্ধেক মারা যায়, Kavad II-ও মৃত্যুবরণ করেন[৫০]
- ৬২৮–৬৩২: গৃহযুদ্ধ
- ৬৩২–৬৪৪: Yazdegerd III-এর শাসনকাল
- ৬৩৬: কাদিসিয়ার যুদ্ধে সাসানীয়দের চূড়ান্ত পরাজয়, মুসলিম বিজয় শুরু
- ৬৪১: নিহাবান্দের যুদ্ধে বিশাল পারস্য সেনাবাহিনী মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়
- ৬৪৪: মুসলমানরা খোরাসান দখল করে; ইয়াজদেগার্দ III পালিয়ে বেড়াতে থাকেন
- ৬৫১: মার্ভে এক স্থানীয় চাতালের হাতে ইয়াজদেগার্দ III নিহত হন; সাসানীয় রাজবংশের অবসান ঘটে। মার গ্রেগরি নামক এক আসিরীয় বিশপ তাঁকে কবর দেন।[৫২] তাঁর পুত্র Peroz III ও অন্যান্যরা চীনে নির্বাসনে চলে যান।[৫৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Ctesiphon – Encyclopaedia Iranica"। Iranicaonline.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১৬।
- ↑ Daryaee 2008, পৃ. 99–100।
- ↑ First Encyclopaedia of Islam: 1913–1936. Brill. 1993. পৃ. ১৭৯।
- ↑ Pourshariati 2008, পৃ. 4।
- ↑ Turchin, Peter; Adams, Jonathan M.; Hall, Thomas D (ডিসেম্বর ২০০৬)। "East-West Orientation of Historical Empires"। Journal of World-Systems Research। 12 (2): 223। আইএসএসএন 1076-156X। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ Taagepera, Rein (১৯৭৯)। "Size and Duration of Empires: Growth-Decline Curves, 600 B.C. to 600 A.D."। Social Science History। 3 (3/4)। p. 122। জেস্টোর 1170959। ডিওআই:10.2307/1170959।
- ↑ Bang, Peter Fibiger; Bayly, C. A.; Scheidel, Walter (২০২০)। The Oxford World History of Empire: Volume One: The Imperial Experience (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 92–94। আইএসবিএন 978-0-19-977311-4।
- ↑ Canepa 2018, পৃ. 9।
- ↑ Daryaee 2018, পৃ. 1।
- ↑ MacKenzie, D. N. (২০০৫), A Concise Pahlavi Dictionary, London & New York: Routledge Curzon, পৃষ্ঠা 120, আইএসবিএন 978-0-19-713559-4
- ↑ (Wiesehöfer 1996)
- ↑ "A Brief History"। Culture of Iran। ২১ নভেম্বর ২০০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- ↑ (Shahbazi 2005)
- ↑ Norman A. Stillman The Jews of Arab Lands পৃষ্ঠা ২২, Jewish Publication Society, 1979 আইএসবিএন ০৮২৭৬১১৫৫২
- ↑ International Congress of Byzantine Studies Proceedings of the 21st International Congress of Byzantine Studies, London, 21–26 August 2006, Volumes 1–3 পৃষ্ঠা ২৯। Ashgate Pub Co, 2006 আইএসবিএন ০৭৫৪৬৫৭৪০X
- ↑ "Khosrow II (590–628 CE)" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-২৭।
- ↑ Hourani, পৃষ্ঠা ৮৭।
- ↑ Eiland, Murray (২০০৪)। "West Asia 300 BC–AD 600"। Onians, John। Atlas of World Art। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 80–81। আইএসবিএন 978-0195215830। ৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০২৫।
- ↑ Durant, Will (১৯৫০)। The Age of Faith (ইংরেজি ভাষায়)। পৃষ্ঠা 150।
Repaying its debt, Sasanian art exported its forms and motives eastward into India, Turkestan, and China, westward into Syria, Asia Minor, Constantinople, the Balkans, Egypt, and Spain.
- ↑ "Transoxiana 04: Sasanians in Africa"। Transoxiana.com.ar। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১৬।
- ↑ Sarfaraz, পৃষ্ঠা ৩২৯–৩৩০
- ↑ "Iransaga: The art of Sassanians"। Artarena.force9.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১৬।
- ↑ আব্দুল হোসেইন জারিনকুব: রুজগারান: তারিখ-ই ইরান আজ আগাজ তা সাকুত-ই সালতানাত-ই পাহলভি, পৃষ্ঠা ৩০৫।
- ↑ Daryaee 2008, পৃ. 7: "এই অভিলেখে দেখা যায়, আর্দাশির বিশ্বাস করতেন বা অন্যদের দেখাতে চাইতেন যে, তিনি ঈশ্বর কর্তৃক এমন একটি ভূখণ্ডের শাসক হিসেবে নিযুক্ত, যাকে অভিলেখে বলা হয়েছে Iranshahr (ইরানিদের রাজ্য)।"।
- ↑ Yarshater, Ehsan, সম্পাদক (১৯৯৮)। "Ērān, Ērānšahr"। Encyclopædia Iranica, Online Edition। New York: Encyclopædia Iranica Foundation। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২১।
- ↑ [১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ ডিসেম্বর ২০০৬ তারিখে Guitty Azarpay, "The Near East in Late Antiquity The Sasanian Empire"
- ↑ Daryaee 2008, পৃ. 125।
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Chamber
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Sarfaraz, p. 344
- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Durant
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Nicolle, p. 10
- ↑ Nicolle, p. 14
- ↑ Wiesehöfer, Ancient Persia, or the Cambridge History of Iran, vol. 3
- ↑ ক খ Tafazzoli & Khromov, p. 48
- ↑ ক খ Nicolle, p. 6
- ↑ "Sassanids Used Commercial Labels: Iranian Archeologists"। Payvand। ২১ আগস্ট ২০০৯। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-২৫।
- ↑ Frye, p. 325
- ↑ Sauer 2017, পৃ. 12।
- ↑ Sarfaraz, p. 353
- ↑ Sasanian Iran, 224–651 AD: portrait of a late antique empire – p. 20
- ↑ The Iranians: Persia, Islam and the soul of a nation – p. 33
- ↑ Bury, John B. (১৯২৩), History of the later Roman empire, Macmillan [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
- ↑ Gruen, Erich S. (২০১১)। Cultural Identity in the Ancient Mediterranean। Getty Publications। আইএসবিএন 978-0892369690।
- ↑ The fire, the star and the cross by Aptin Khanbaghi (2006) p. 6
- ↑ A. Khanbaghi (2006) p. 9
- ↑ "Parsi population in India declines"। Payvand's Iran News ...। Payvand। ৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯।
- ↑ "Shapur II"। Encyclopaedia Iranica। ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১৬।
- ↑ "Byzantine–Iranian Relations"। Encyclopaedia Iranica। ১৯৯০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১৬।
- ↑ "Yazdegerd II"। Encyclopaedia Iranica। ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-১৬।
- ↑ ক খ গ Shahbazi 2005।
- ↑ John W Barker, Justinian and the later Roman Empire, 118.
- ↑ "All about Oscar"। Encyclopædia Britannica। ২০০১-০৯-১১। পৃষ্ঠা 2। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-৩০।
- ↑ "Pirooz in China"। Chinapage.com। ২০০০-০৮-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-৩০।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি
- মধ্য ফার্সি ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ
- ইরানের ইতিহাস
- প্রাক্তন সাম্রাজ্য
- মধ্যযুগের ইরাক
- ইরাকের প্রাচীন ইতিহাস
- প্রাচীন আনাতুলিয়া
- দাগেস্তানের ইতিহাস
- আফগানিস্তানের প্রাচীন ইতিহাস
- পাকিস্তানের প্রাচীন ইতিহাস
- মধ্য এশিয়ার ইতিহাস
- প্রাচীন সিরিয়া
- পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ইতিহাস
- ইরানের সাম্রাজ্য ও রাজ্য
- ২২৪-এ প্রতিষ্ঠিত
- ৬৫১-এ বিলুপ্ত
- প্রাচীন আফ্রিকার রাষ্ট্র
- সাসানীয় সাম্রাজ্য