তীজানিয়া তরিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তীজানিয়া ত্বরীকার দরুদ শরীফ-এর চিত্র। একে ছলাতুল ফাতিহ বলা হয়। ইমাম মুহাম্মাদ বিন আবুল হাসান আল-বাকরী রহ এর সাথে এই দরুদ শরীফকে সম্মন্ধ করা হয়।[১]

তীজানিয়া আহমদিয়া ত্বরীকা: একটি সুফি ত্বরীকা , যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন আবু আব্বাস আহমদ আল-তিজানি (১৭৩৭-১৮১৫)। মরক্কোফেজ শহরে এই ত্বরীকার উদ্ভব হয়। যেখানে তিনি প্রথম খানকা শরীফ (জাবিয়া) প্রতিষ্ঠা করেন এবং উত্তর আফ্রিকা, মিশর, প্যালেস্টাইনو সিরিয়া হিজাজ, সুদান ( দারফুর ), মৌরিতানিয়া, সেনেগাল এবং নাইজেরিয়াতে এর অনুসারণ লাভ করে।[২][৩] [৪]

প্রতিষ্ঠাতা[সম্পাদনা]

তিজানিয়া আদেশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আবু আব্বাস আহমদ বিন মুহম্মদ বিন আল-মুখতার বিন আহমদ বিন মুহম্মদ সালেম আল-তিজানি। তিনি ১১৫০ হিজরি মুতাবিক ১৭৩৭ খ্রিস্টাব্দে, আলেজেরিয়ার লাঘৌত প্রদেশের আঈন মাদী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১২৩০ হিজরিতে ইন্তেকাল করেন।

তিনি পবিত্র কুরআন হিফয করেন, এরপর তিনি ইলমে শরীয়ত অধ্যয়ন করেন। তিনি আলজেরিয়ার ফেজ ও টেমসেন, তিউনিসিয়া, কায়রো, মক্কা, মদিনা এবং বাগদাদ সফর করেন।

তিনি ১১৭১ হিজরি মুতাবিক ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে অটোমান বে অফ ওরানের বাহিনী দ্বারা অভিযানের পর তাকে এই অঞ্চল ত্যাগ বাধ্য করা হয়েছিল। তারপর তিনি মরক্কোর ফেজ শহরে ভ্রমণ করেন। এই শহরে তিনি আহমেদ আল-তিজানি’র ইলম-তা’লিমের মজলিসে অংশ নেন এবং শহরের নেতৃস্থানীয় আলেমদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। যদিও উনার আগ্রহ অন্য যে কোন কিছুর চেয়ে আধ্যাত্মিক (ইলমে তাসাউফের) দিকেই বেশি নিবদ্ধ ছিল।

এখনে তিনি আবদুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আল-আরাবি বিন আহমেদ বিন আবদুল্লাহ মুয়িন আল-আন্দালুসির সাথে দেখা করেন এবং তার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তারপর, যখন তিনি তাকে বিদায় জানাতে চাইলেন, তখন তিনি তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবি হাসিলের কামনা করে দোয়া করেন। এবং তারা আলাদা হওয়ার আগে তিনি তাকে দোয়া করে তিন বার বললেন: আল্লাহ আপানার হাতকে শক্তিশালি করুন। এই ত্বরিকার খানাক শরীফ ফেজ শহরে রয়েছে, যেখান থেকে এটি সমগ্র আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. عبد الباقي مفتاحأضواء على الشيخ أحمد التجاني وأتباعه (الأولى সংস্করণ)। دار الكتب العلمية। পৃষ্ঠা 165। 26 مارس 2022 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |আর্কাইভের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. Odile, Goerg; Anna, Pondopoulo (২০১২)। Islam et sociétés en Afrique subsaharienne à l'épreuve de l'histoire: un parcours en compagnie de Jean-Louis Triaud। Karthala। ২০২৩-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Nigeria Court in Kano Sentences Cleric to Death for Blasphemy"بي بي سي। 6 January 2016। 01 يناير 2018 তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |আর্কাইভের-তারিখ= (সাহায্য)
  4. Laghouat se penche sur son patrimoine : Des sites sont proposés au classement en attendant leur exploitation, لاتريبين du 18/11/2009 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০২-২০ তারিখে

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • মুকুট কোণ