পেগাসাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পেগাসাস
পেগাসাসের পিঠে বেলেরোফন (১৯১৪)
বাহনঅলিম্পাস পর্বত
ব্যক্তিগত তথ্য
মাতাপিতাপোসিডনমেডুসা
সহোদরসিরেসোর

গ্রীক পুরাণের সবচেয়ে পরিচিত প্রাণীটি হচ্ছে পেগাসাস বা পক্ষিরাজ ঘোড়া (প্রাচীন গ্রিকΠήγασος, Pégasos, ল্যাটিন: Pegasus) নামক ঘোড়া যার দুটি ডানা রয়েছে।[১][২] এর গায়ের রং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাদা হয়ে থাকে।

জন্ম[সম্পাদনা]

গ্রিক পুরাণ অনুসারে, পার্সিয়াস যখন মেডুসের মাথা কন্ঠ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন, তখন মেডুসার কন্ঠনালী থেকে যে রক্ত নির্গত হয় তা থেকে পেগাসাস এবং সিরেসোর-এর জন্ম হয়।

পক্ষিরাজ ঘোড়া এবং স্প্রিং[সম্পাদনা]

রাজা গ্লুকাসের ও রানী ইউরিনোমির পুত্র ছিলেন বেলেরোফোন, যিনি তার দুর্দান্ত সাহস, তেজ আর শারীরিক বৈশিষ্ঠের জন্য পরিচিত ছিলেন। বেলেরোফোন পেগাসাসের সাহায্য নিয়ে কিমিরাস আর আমাজনদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। বেলেরোফোন পেগাসাসকে বশীভূত করা সম্পর্কে সবচেয়ে প্রচলিত যে অভিমত পাওয়া যায় তা হলো:[৩] পেগাসাসকে কেউ ধরতে পারছিলোনা, কিন্তু বেলেরোফোন করিন্থের জ্ঞানী ভবিষ্যদ্বক্তা পলিডাসের পরামর্শে দেবী অ্যাথেনা’র মন্দিরে গিয়ে নিদ্রা-যাপনের জন্য। যেহেতু কথিত আছে অ্যাথেনা’র মন্দিরে নিদ্রা-যাপন করলে দেবী স্বপ্নে নিদ্রাচ্ছন্নের নিকট দেখা দেন ও তার মনোবাসনা পূর্ণ করতে সহায়তা করেন ফলে বেলেরোফোন তা-ই করলেন। পর দিন ঘুম থেকে উঠে বেলেরোফোন দেখলেন স্বর্ণের তৈরী একটি লাগাম পড়ে আছে, তিনি এটি নিয়ে পেগাসাসের খোজে বের হলেন ও ইফারের বিখ্যাত ঝর্ণা পিরিনের সামনে পেগাসাসকে পানি পানরত পেয়ে এটি পরিয়ে বশীভূত করে এর পিঠে চড়ে বসলেন।

জনপ্রিয় সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের নিজের পণ্য, সেবা এবং মনোগ্রামে ডানা বিশাষ্ট ঘোড়ার ছবি মুদ্রণ করে থাকে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

  • উইকিমিডিয়া কমন্সে পেগাসাস সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।