ড্রাগন
| দল | কাল্পনিক |
|---|---|
| পুরাণ | পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপ |
| আবাস | পর্বতমালা, সমুদ্র, আকাশ |



আজদাহা (ইংরেজি: Dragon, প্রতিবর্ণীকৃত: ড্রাগন) হল এমন এক ধরনের কাল্পনিক জীব যা মুখ দিয়ে আগুন বের করতে পারে। এই জীবের অস্তিত্ব চীন, জাপান, কোরিয়া, ইন্দোচীন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি দেশের উপকথায় পাওয়া যায়। ফেরদৌসী’র মহাকাব্য ‘শাহনামা’ -তেও আজদাহার কথা উল্লেখ রয়েছে। শাহনামাতে দেখা যায় জামশেদ নামক একজন সম্রাটের দুই ঘাড়ে শয়তান চুম্বন করে; এতে করে চুম্বনের স্থানে দুটো ভয়ঙ্কর সাপের মস্তক গজিয়ে উঠে। এই মস্তক দুটো কেটে ফেললে সেখানে আবার নতুন করে সর্প মস্তক গজায়। তাই সম্রাট জামশেদ সেগুলোকে বিনষ্ট করার করার পরিবর্তে সেগুলোকে লালন করতে থাকেন এবং মানুষকে ভয় দেখিয়ে দুঃশাসন চালাতে থাকেন। এই সাপ দুটোকে ‘আজদাহা’ বলা হয়েছে। আজদাহাদেরকে প্রতিদিন দু’জন জীবন্ত মানুষের ঘিলু/মস্তিস্ক রান্না করে খাওেয়াতে হতো। পশ্চিমা শিল্পমাধ্যমে আজদাহা নিয়ে অনেক ছায়াছবি হয়েছে। মনে করা হয় এই জীব উড়তে পারে। আজদাহা বিভিন্ন দেশের জাতীয় পশু। ইন্দোনেশিয়া দেশে এক ধরনের সরীসৃপ দেখা যায় যার উজ্জ্বল জিভকে আগুন বলে ভুল হয়, এই জীব কোমোডো ড্রাগন নামে পরিচিত। এছাড়াও ফড়িংকে ইংরেজিতে ড্রাগন্ ফ্লাই বলে।
অ্যাড্রিয়েন মেয়র তার বই 'দ্য ফার্স্ট ফসিল হান্টারসঃ ডাইনোসর, ম্যামথস এবং গ্রীক এবং রোমান টাইমস মিথ', এ যুক্তি দিয়েছিলেন যে ড্রাগনের কিছু গল্প ডাইনোসর এবং অন্যান্য প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর জীবাশ্মের প্রাচীন আবিষ্কার দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারে।[১] তিনি যুক্তি দেন যে উত্তর ভারতের ড্রাগন "হিমালয়ের নীচে সিওয়ালিক পাহাড়ের জীবাশ্মের দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারে" [২] এবং ট্রয়ের মনস্টারের প্রাচীন গ্রীক শৈল্পিক চিত্রগুলি সামোথেরিয়ামের জীবাশ্ম দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, একটি বিলুপ্ত প্রজাতির জিরাফের জীবাশ্ম যার জীবাশ্মগুলি ভূমধ্যসাগরীয়। [২] চীনে, এমন একটি অঞ্চল যেখানে বড় প্রাগৈতিহাসিক প্রাণীর জীবাশ্মগুলি সাধারণ, এই দেহাবশেষগুলি প্রায়শই "ড্রাগন হাড়" [৩]হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং সাধারণত চীনা ঔষধে ব্যবহৃত হয়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Mayor 2000, পৃ. xiii–xxii।
- 1 2 Mayor 2000, পৃ. xxii।
- ↑ Mayor 2000, পৃ. xix।
- Drury, Nevill, 1947-2013. (২০০৪)। The dictionary of the esoteric : 3000 entries on the mystical and occult traditions (1st Indian ed সংস্করণ)। Delhi: Motilal Banarsidass Publishers। আইএসবিএন ৮১-২০৮-১৯৮৯-৬। ওসিএলসি 58976541।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|edition=-এ অতিরিক্ত লেখা রয়েছে (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: সাংখ্যিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - Mythology : the illustrated anthology of world myth & storytelling। Littleton, C. Scott.। San Diego, Calif.: Thunder Bay Press। ২০০২। আইএসবিএন ১-৫৭১৪৫-৮২৭-১। ওসিএলসি 50417457।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অন্যান্য (লিঙ্ক) - Giorgi, Rosa. (২০০৫)। Angels and demons in art। Zuffi, Stefano, 1961-, Giammanco Frongia, Rosanna M.। Los Angeles: J. Paul Getty Museum। আইএসবিএন ০-৮৯২৩৬-৮৩০-৬। ওসিএলসি 58842922।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইংরেজি - আজদাহার বিবর্তন (The Evolution of the Dragon), এল্লিঅট্ স্মিথ্ দ্বারা ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ, গুটেনবার্গ প্রকল্প।