বিষয়বস্তুতে চলুন

গোপথ ব্রাহ্মণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গোপথ ব্রাহ্মণ (সংস্কৃত: गोपथ ब्राह्मण, Gopatha Brāhmaṇa) হল অথর্ববেদের সঙ্গে যুক্ত একমাত্র ব্রাহ্মণ। এই গ্রন্থটি অথর্ববেদের শৌনক ও পৈপ্পলাদ উভয় শাখার সঙ্গে যুক্ত।[] এটি এবং সামবেদের একটি ক্ষুদ্রকায় ব্রাহ্মণ বৈদিক সাহিত্যের সাম্প্রতিকতম ব্রাহ্মণ।[] গোপথ ব্রাহ্মণ দুটি ভাগে বিভক্ত। যথা: পূর্বভাগ বা পূর্ব ব্রাহ্মণ এবং উত্তরভাগ বা উত্তর ব্রাহ্মণ। পূর্বভাগে পাঁচটি এবং উত্তরভাগে ছয়টি প্রপাঠক রয়েছে। প্রপাঠকগুলি আবার কাণ্ডিকে বিভক্ত।[] পূর্বভাগে মোট ১৩৫টি কাণ্ডিক এবং উত্তরভাগে ১২৩টি কাণ্ডিক আছে।

সংস্করণ

[সম্পাদনা]

গোপথ ব্রাহ্মণের প্রথম মুদ্রিত সংস্করণটি সম্পাদনা করেন রাজেন্দ্রলাল মিত্র ও হরচন্দ্র বিদ্যাভূষণ। ১৮৭২ সালে বিবলিওথিকা ইন্ডিকা সিরিজের অংশ হিসেবে (সংখ্যা ২১৫ ও ২৫২) এটি এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণে প্রচুর ছাপার ভুল ছিল। ব্লুমফিল্ড এটিকে ‘সম্পাদকীয় ভ্রান্তির অপূর্ব নিদর্শন’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন।[] পরবর্তী মুদ্রিত সংস্করণটি সম্পাদনা করেন জীবানন্দ বিদ্যাসাগর। এটি ১৮৯১ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। এটি এশিয়াটিক সোসাইটির পূর্ববর্তী সংস্করণটির প্রায় সমতুল্য ছিল। ওলন্দাজ গবেষক ড্যুক গাস্ট্রা ১৯১৯ সালে লেইডেন থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ জার্মান মুখবন্ধ সহ সমালোচনামূলক সংস্করণ প্রকাশ করেন। এটি ছয়টি পাণ্ডুলিপির ভিত্তিতে মুদ্রিত হয়েছিল। পণ্ডিত ক্ষেমকরণদাস ত্রিবেদী ১৯২৪ সালে এলাহাবাদ থেকে হিন্দি অনুবাদ ও সংস্কৃত টীকা সহ একটি সংস্করণ প্রকাশ করেন। ১৯৭৭ সালে এলাহাবাদ থেকেই এটির দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এটি এশিয়াটিক সোসাইটি ও বিদ্যাসাগরের সংস্করণের ভিত্তিতে মুদ্রিত হয়েছিল। ১৯৮০ সালে বিজয়পাল বিদ্যাবারিধি এই বইটির একটি সংস্করণ প্রকাশ করেন। তার বইটি হরিয়ানার বলাগড়ের রামপাল কাপুর ট্রাস্ট থেকে প্রকাশিত হয়। এই সংস্করণ ছিল শাস্ত্রের সংস্করণের ভিত্তিতে প্রকাশিত।[]

খণ্ড বিভাগ

[সম্পাদনা]
খণ্ডপ্রপাঠককাণ্ডিকখণ্ডপ্রপাঠককাণ্ডিক
I (পূর্বভাগ )৩৯II (উত্তরভাগ )২৬
২৪২৪
২৩২৮
২৪১৯
২৫১৫
১৬
সম্পূর্ণ খণ্ড১৩৫ +সম্পূর্ণ খণ্ড১২৩ = ২৫৮

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 3 4 Patyal, Hukam Chand (১৯৯০)। "Gopatha Brahmana"। T.N. Dharmadhikari & others (সম্পাদক)। Vedic Texts, A Revision: Prof. C.G. Kashikar Felicitation Volume। Delhi: Motilal Banarsidass। পৃ. ১০–৫। আইএসবিএন ৮১-২০৮-০৮০৬-১
  2. Pargiter, F.E. (1972). Ancient Indian Historical Tradition, Delhi: Motilal Banarsidass, p.326.

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]