কহানি হমারে মহাভারত কি
কহানি হমারে মহাভারত কি | |
---|---|
লেখক | মহেশ পাণ্ডে মনীষ পালিওয়াল ড. বোধিসত্ত্ব সংলাপ: ধীরজ সর্না |
পরিচালক | গ্যারি ভিন্ডার শান্তরাম বর্মা তালাত জানি মুজাম্মিল দেসাই |
সৃজনশীল পরিচালক | সুরজ রাও বিকাশ গুপ্ত |
অভিনয়ে | নিচে দেখুন |
উদ্বোধনী সঙ্গীত | "কথা মহাভারত কি" (দালের মেহেন্দি ও পামেলা জৈন গীত) |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | হিন্দি |
পর্বের সংখ্যা | ৭৫ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | |
চিত্রগ্রাহক | মহেশ তালকড় শাবির নাইক দীপক মলওয়াঙ্কর সুহাস শিরোদকর |
সম্পাদক | বিকাশ শর্মা বিশাল শর্মা খুরশিদ রিজভি প্রেম রাজ রাজীব কুমার চানাই |
ব্যাপ্তিকাল | ২৪ মিনিট |
নির্মাণ কোম্পানি | বালাজী টেলিফিল্মস |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | ৯এক্স |
ছবির ফরম্যাট | ৫৭৬আই |
মূল মুক্তির তারিখ | ৭ জুলাই ২০০৮ ৬ নভেম্বর ২০০৮ | –
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট |
কহানি হমারে মহাভারত কি হল একটি ভারতীয় পৌরাণিক টেলিভিশন ড্রামা ধারাবাহিক। সংস্কৃত মহাকাব্য মহাভারত অবলম্বনে নির্মিত এই ধারাবাহিকটি সম্প্রচারিত হয়েছিল ৯এক্স চ্যানেলে।
২০০৮ সালের ৭ জুলাই এই ধারাবাহিকের সম্প্রচার শুরু হয়। একতা কপূর ও শোভা কপূর তাঁদের বালাজী টেলিফিল্মসের ব্যানারে এই ধারাবাহিকটি প্রযোজনা করে। ২০০৮ সালেরই ৮ নভেম্বর ধারাবাহিকটির সমাপ্তি ঘটে।[১][২][৩][৪][৫][৬]
কাহিনি-সারাংশ
[সম্পাদনা]কহানি হমারে মহাভারত কি ধারাবাহিকে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে। কুরুবংশ কর্তৃক শাসিত হস্তিনাপুরের সিংহাসনের অধিকার নিয়ে এই বংশের দুই শরিক কৌরব ও পাণ্ডবদের বিবাদ মহাভারত গ্রন্থের মূল উপজীব্য বিষয়। কৌরবগণ এই বংশের বড়ো শরিক হলেও তাঁদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দুর্যোধন পাণ্ডবদের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা যুধিষ্ঠিরের থেকে বয়োঃকনিষ্ঠ ছিলেন। এই বংশের ভাগ্যনির্ণায়ক কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের বীজ পাণ্ডব ও কৌরবদের বাল্যজীবন ও পরবর্তীকালে কৌরবদের মামা শকুনি কর্তৃক দুর্যোধনের মন পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে বিষিয়ে দেওয়ার মধ্যে নিহিত ছিল। এই ধারাবাহিকটি অবশ্য মূল কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের ঘটনাবলি পর্যন্ত গড়ানোর আগেই শেষ হয়ে যায়।
কলাকুশলী
[সম্পাদনা]- মৃণাল জৈন - কৃষ্ণ
- পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় - রাধা
- কিরণ কর্মরকর - শান্তনু
- সাক্ষী তানোয়ার - গঙ্গা
- রণিত রায় - ভীষ্ম
- দীপক জেঠি - দ্রোণ
- উমা শংকর - যুধিষ্ঠির
- চেতন হংসরাজ - ভীম
- হর্ষদ চোপড়া - অর্জুন
- দীপক সান্ধু - নকুল
- যতীন শাহ - সহদেব
- অনিতা হাস্যনন্দনী - দ্রৌপদী
- আর্যন বৈদ - দুর্যোধন
- হিতেন তেজওয়ানি - কর্ণ
- আজাজ খান/বরুণ আনন্দ মৌসম – দুঃশাসন
- কালীপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় - শকুনি
- রাবি গুপ্ত - সত্যবতী
- সোনাল উদেশি - অম্বালিকা
- বিন্ধ্যা তিওয়ারি - অম্বিকা
- জয়া ভট্টাচার্য - কুন্তি
- মকরন্দ দেশপাণ্ডে - বেদব্যাস
- ঋতুরাজ সিং - কাশীরাজ
- আকাশদীপ সায়গল - কংস
- রক্ষন্দা খান - অম্বা
- মাস্টার কৃষ কর্ণবৎ - কৃষ্ণ (শিশু)
- অমর শর্মা - জরাসন্ধ
- অল্পেশ পটেল - বিরাট রাজা
- গৌরব নন্দ - গর্গাচার্য
- গৌতম গুলাটি - দুর্যোধন (কিশোর)
- বিশাল ঠক্কর - ভীষ্ম (কিশোর)
- লাবণ্য ভরদ্বাজ - সহদেব (কিশোর)
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]লাইভমিন্টে পদ্মপর্ণা ঘোষ লিখেছিলেন, "একতা কপূরের মহাভারত হল আরেকটি জটিল বহু-চরিত্র সংবলিত ধারাবাহিক, যাতে প্রতিশোধ, ঘৃণা, ঈর্ষা ও পারিবারিক বিবাদ রয়েছে মহাকাব্যিক মাত্রায়[।] একটি পৌরাণিক ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে যার যোগফল দাঁড়ায় [এক] মহাকাব্যিক বিপর্যয়।"[৭] অভিনেতা মুকেশ খান্না বলেন যে, প্রযোজক একতা কপূর এমন এক জঘন্য মহাকাব্যিক ধারাবাহিক নির্মাণ করেছেন যেখানে চরিত্রায়ণ ও পোশাক-পরিচ্ছদ পৌরাণিক চরিত্রগুলির সঙ্গে অত্যন্ত বেমানান হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, একতা কপূর যে ধারাবাহিকটি নির্মাণ করেছেন তা আসলে মহাভারত গ্রন্থের বিদ্রুপে পরিণত হয়েছে।[৮]
হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার সমালোচক নব্যা সিনহা লেখেন যে, "একতা কপূরের মহাভারতের বিষয় শুধুমাত্র, সিক্স-প্যাক অ্যাবস, ওয়াক্স-কৃত বক্ষ, কাঁধের নিচে পরিহিত ব্লাউজ ও শিফন শাড়ি পরিহিতা এক স্বল্পবসনা দ্রৌপদী।"[৯]
ধারাবাহিকটির সেট তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১৪ কোটি টাকা।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Meet Ganga in Ekta Kapoor's Mahabharat"। Rediff।
- ↑ "Ekta Kapoor's Mahabharat to air in Britain"। News18।
- ↑ "Mahabharata interpreted differently"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮ – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Sunday Tribune - Spectrum"। www.tribuneindia.com।
- ↑ "'I used cheerharan to grab attention'"। DNA India। ২৩ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "एकता कपूर की महाभारत"। Filmibeat। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮।
- ↑ Ghosh, Padmaparna (২২ আগস্ট ২০০৮)। "What an epic disaster"। Livemint।
- ↑ "Mukesh Khanna: Ekta Kapoor made a mockery of Mahabharata - Times of India"। The Times of India।
- ↑ "Kahaani Ekta Ke Mahabharat ki"। Hindustan Times। ১০ জুলাই ২০০৮।
- ↑ "The lost K factor"। BusinessWorld। ৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।