বিষয়বস্তুতে চলুন

ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট
১৯৪৪-এ রুজভেল্ট
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের ৩২-তম রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
মার্চ ৪,১৯৩৩ – এপ্রিল ১২, ১৯৪৫
ভাইস প্রেসিডেন্ট
পূর্বসূরীহার্ভাট হোভার
উত্তরসূরীহ্যারি এস. ট্রুম্যান
৪৪তম নিউইয়র্কের গর্ভনর
কাজের মেয়াদ
জানুয়ারি ১, ১৯২৯ – ডিসেম্বর ৩১,১৯৩২
লেফটেন্যান্টহারবার্ট এইচ. লেম্যান
পূর্বসূরীঅ্যাল স্মিথ
উত্তরসূরীহারবার্ট এইচ. লেম্যান
অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ দ্য নেভি
কাজের মেয়াদ
মার্চ ১৭,১৯১৩ – আগস্ট ২৬, ১৯২০
রাষ্ট্রপতিউড্রো উইলসন
পূর্বসূরীবিকম্যান উইন্থর্প
উত্তরসূরীগর্ডন উডবারি
নিউ ইয়র্ক স্টেট সিনেট সদস্য
২৬তম জেলার জন্য
কাজের মেয়াদ
জানুয়ারি ১, ১৯১১ – ডিসেম্বর ৩১,১৯১৩
পূর্বসূরীজন এফ. স্ক্লোসার
উত্তরসূরীজেমস ই. টাউনার
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮৮২-০১-৩০)৩০ জানুয়ারি ১৮৮২
হাইড পার্ক, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু১২ এপ্রিল ১৯৪৫(1945-04-12) (বয়স ৬৩)
ওয়ার্ম স্প্রিং,জর্জিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিস্থলহাইড পার্ক, নিউ ইয়র্ক
রাজনৈতিক দলডেমোক্রেটিক
দাম্পত্য সঙ্গীটেমপ্লেট:বিবাহিত
সন্তান
শিক্ষা
ধর্মএপিস্কোপালীয়
স্বাক্ষরCursive signature in ink
প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক্‌লিন রুজ্‌ভেল্ট

ফ্রাংক্‌লিন ডেলানো রুজ্‌ভেল্ট (ইংরেজি: Franklin Delano Roosevelt ফ্র্যাংক্‌লিন্‌ ডেলানৌ রৌজ়াভ়েল্ট্‌ (জানুয়ারি ৩০, ১৮৮২ – এপ্রিল ১২, ১৯৪৫) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২তম রাষ্ট্রপতি। তিনি চার মেয়াদে ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত ১২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা হিসেবে তিনি টানা চারবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে বিশ্ব রাজনীতির একজন কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ওঠেন। বিংশ শতকের কুখ্যাত মহামন্দার সময়ে তিনি তাঁর "নতুন নীতি" (new deal)-র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারকে অবধারিত অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। তাঁর প্রবর্তিত নিউ ডিল কোয়ালিশন বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় ভাগে আমেরিকায় নব্য উদারপন্থার দিশানির্দেশ করেছিল। তাঁর তৃতীয় ও চতুর্থ দফার শাসনকাল মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল, এবং শাসনরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই আমেরিকা বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করে। নিউ ইয়র্কের হাইড পার্কের প্রখ্যাত রুজভেল্ট পরিবারের সদস্য ফ্রাঙ্কলিন গ্রোটন স্কুল ও হার্ভার্ড কলেজে পড়াশোনার পর কলম্বিয়া ল স্কুল থেকে আইন পাশ করেন ও নিউ ইয়র্ক শহরে আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি তাঁর সম্পর্কিত বোন ইলিয়ানর রুজভেল্টের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজন পরিণত বয়স পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিউ ইয়র্ক স্টেট সেনেট আসনে জয়ী হন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনের অধীনে নৌবাহিনীর সহসচিব হিসেবে কাজ করেন। ১৯২০-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি জেমস কক্সের ডেপুটি হিসেবে নির্বাচনে লড়েন কিন্তু কক্স রিপাবলিকান প্রার্থী ওয়ারেন হার্ডিঙের কাজে পরাজিত হন। ১৯২১ সালে রুজভেল্ট পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। পোলিও রোগের কারণে তার পা দুটো স্থায়ীভাবে প্যারালাইজড হয়ে যায়। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রুজভেল্ট জর্জিয়ার ওয়ার্ম স্প্রিংসে একটি পোলিও নিরাময় কেন্দ্র গড়ে তোলেন৷ হাঁটতে না পারার অসহায়তা নিয়েও রুজভেল্ট ১৯২৮ সালে নিউইয়র্কের নির্বাচনে গভর্নর নিয়োজিত হয়ে সরকারি কার্যালয়ে ফিরে আসেন। ১৯২৯ থেকে ১৯৩৩ পর্যন্ত তিনি গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরাজমান অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৩২ এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রুজভেল্ট তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী হারবার্ট হুবার কে পরাজিত করেন। ঘোর অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন শুরু করেন৷

প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Frank R. Abate (১৯৯৯)। The Oxford Desk Dictionary of People and Places। পৃষ্ঠা 329।