শাহে আলম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শাহে আলম
জন্ম২৫ নভেম্বর ১৯৩৭
মৃত্যু১৯৭১
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ (১৯৭১ সালের পর)
পেশাপাকিস্তান সেনাবাহিনী
পরিচিতির কারণবীর উত্তম
দাম্পত্য সঙ্গীফাতেমা খানম

শহীদ শাহে আলম (জন্ম: - মৃত্যু: ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম খেতাব প্রদান করে। [১]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

শাহ আলমের জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৫শে নভেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের দিদারুল্যাহ গ্রামে। তার বাবার নাম আরফান আলী এবং মায়ের নাম মাজেদা খাতুন। শাহে আলম বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রীর নাম ফাতেমা খানম। তাদের সাত ছেলেমেয়ে।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

শাহে আলম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে লাখ লাখ লোক মারা যায়। তিনি তখন ছিলেন পাকিস্তানে। খবর শুনে তিনি ছুটি নিয়ে চলে আসেন নিজের গ্রামে। এর কিছুদিন পর শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। তিনি মুক্তিযোদ্ধে যোগ দেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

পাকিস্তানি সেনারা ভোলা দখল করার পর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। চার নম্বর সেক্টরের অধীনে তিনি সিলেটে যুদ্ধ করেন। সিলেটের সুরমা নদীর ওপরের সেতুর দখল নিতে কানাইঘাট এলাকায় ৪ ডিসেম্বর সকাল থেকেই শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ। শাহে আলমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা সেখানে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ করে। পাকিস্তানিরা বাংকার থেকে গুলি ছুড়তে লাগল তাদের লক্ষ্য করে। শাহে আলম জীবন বাজি রেখে ক্রলিং করে আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে ব্যাংকার লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়েন। আর ঠিক তখনই পাকিস্তানিদের গুলি শাহে আলমের মাথার খুলিতে আঘাত করে। গুলিতে তার মাথার খুলি উড়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য শাহে আলম বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন। [২]

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"| তারিখ: ১৮-০৪-২০১১[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)। প্রথমা প্রকাশন। মার্চ ২০১৩। পৃষ্ঠা ৪১। আইএসবিএন 9789849025375 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]