টেমপ্লেট আলোচনা:জ্যোতি বসুর জীবনপঞ্জি
আলোচনা যোগ করুনপ্রস্তাবিত জীবনপঞ্জি: প্রথম অংশ[সম্পাদনা]
এখানে ১৯১৪-১৯৭৭ পর্যন্ত দিলাম। বাকি অংশ তৈরি করছি। আলোচনা বা সম্পাদনা করতে পারেন।
- ৮ জুলাই, ১৯১৪ – কলকাতায় জন্ম।
- ১৯২০ – ধর্মতলার লোরেটো স্কুলে ভরতি।
- ১৯২৩ – সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভরতি।
- ১৯২৪ – হিন্দুস্তান রোডের পৈত্রিক বাড়িতে বাসাবদল।
- ১৯৩২ – ইংরেজিতে সাম্মানিক সহ প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি।
- ১৯৩৫ – ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য ইংল্যান্ডে গমন। ইংল্যান্ডে থাকাকালীন কমিউনিজম ও মার্ক্সবাদের প্রতি আকৃষ্ট হলেন।
- ১৯৩৮ – গ্রেট ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ।
- ১৯৪০ – ব্যারিস্টারি পাঠ সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাবর্তন। কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
- ১৯৪১ – কলকাতায় সোভিয়েত সুহৃদ সমিতি ও ফ্যাসিবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘের প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত। কমিউনিস্ট পার্টির শ্রমিক শাখায় কাজ শুরু। বেঙ্গল আসাম রেলওয়ে ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস সংগঠনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত।
- ১৯৪২ – বাসন্তী (ছবি) ঘোষের সঙ্গে বিবাহ। অল্পকাল পরে স্ত্রীবিয়োগ। মায়ের মৃত্যু।
- ১৯৪৫ – কমিউনিস্ট পার্টির বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিটির সদস্য নির্বাচিত।
- ১৯৪৬ – রেলওয়ে কেন্দ্র থেকে প্রথম বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় নির্বাচিত।
- ১৯৪৮ – মার্চ মাসে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হলে কারাবরণ। তিন মাস পর মুক্তি। ডিসেম্বরে কমল বসুর সঙ্গে বিবাহ।
- ১৯৫০ – সেপ্টেম্বর মাসে পুনরায় কারাবরণ।
- ১৯৫১ – হাইকোর্টের নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তিলাভ। ২৭ ফেব্রুয়ারি কমিউনিস্ট পার্টি বৈধ বলে ঘোষিত। দলীয় মুখপত্র ‘দৈনিক স্বাধীনতা’ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি নির্বাচিত। দলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্যপদ লাভ।
- ১৯৫২ – বরানগর কেন্দ্র থেকে প্রথম বার বিধানসভায় নির্বাচিত। বিধানসভায় পার্টির পরিষদীয় দলনেতা ও পরে বিরোধী দলনেতার স্বীকৃতি লাভ। সেপ্টেম্বরে একমাত্র পুত্র চন্দন বসুর জন্ম।
- ১৯৫৩ – কলকাতায় অনুষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টির ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলনে সম্পাদক নির্বাচিত। ১৯৫৬, ১৯৫৮, ১৯৫৯ ও ১৯৬০ সালেও রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। মাদুরাইতে অনুষ্ঠিত পার্টির তৃতীয় কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ লাভ। পরে পলিটব্যুরোর সদস্যপদ লাভ। ট্রামভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সফল আন্দোলনে অংশগ্রহণ।
- ১৯৫৪ – শিক্ষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ।
- ১৯৫৫ – গোয়া মুক্তি আন্দোলনে যোগদান। চীন যাত্রা।
- ১৯৫৬ – পশ্চিমবঙ্গ-বিহার সংযুক্তি প্রস্তাবের বিরোধিতা।
- ১৯৫৭ – দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় বরানগর থেকে জয়লাভ। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত একটানা দশ বছর বিরোধী নেতার দায়িত্ব পালন। চেকোশ্লোভাকিয়া ও সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর।
- ১৯৫৯ – খাদ্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে দুই মাস কারাবাস। নভেম্বরে জাতীয় পরিষদের মিরাট অধিবেশনে যোগদান।
- ১৯৬১ – স্বেচ্ছায় রাজ্য কমিটির সম্পাদকের পদ পরিত্যাগ। ওই পদে প্রমোদ দাশগুপ্তের নির্বাচন।
- ১৯৬২ – ভারত-চীন যুদ্ধের সময় কারাবাস। জেলে থাকাকালীন পিতৃবিয়োগ। পরে বরানগর কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় পুনর্নির্বাচিত। হায়দরাবাদে জাতীয় পরিষদের সভায় যোগদান।
- ১৯৬৪ – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বিভাজিত; ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) দলে যোগদান। দলের পলিটব্যুরো সদস্য নির্বাচিত। ৩১ অক্টোবর কলকাতায় সপ্তম পার্টি কংগ্রেসে উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান।
- ১৯৬৫ – বসুর সম্পাদনায় দলের ইংরেজি মুখপত্র ‘পিপলস ডেমোক্রেসি’ প্রকাশিত।
- ১৯৬৬ – খাদ্য আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে কারাবাস।
- ১৯৬৭ – বরানগর থেকে অন্তর্বর্তী নির্বাচনে বিধানসভায় নির্বাচিত। ২ মার্চ প্রথম যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ। সঙ্গে অর্থ বিভাগের দায়িত্ব লাভ। নয় মাসে মধ্যে অন্তর্কলহে সরকারের পতন। নকশালবাড়ি আন্দোলনের সূত্রপাত।
- ১৯৬৯ – অন্তর্বর্তী নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্র থেকে পুনর্নির্বাচিত। দ্বিতীয় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রীসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ। সঙ্গে স্বরাষ্ট্র ও সাধারণ প্রশাসন বিভাগের দায়িত্ব লাভ।
- ৩১ মার্চ, ১৯৭১ – পটনা স্টেশনে বসুকে গুলি করে প্রাণনাশের চেষ্টা। আলি ইমাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু।
- ১৯৭১ – দুই বার প্রাণনাশের চেষ্টা। অন্তর্বর্তী নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়কে পরাস্ত করে জয়লাভ।
- ১৯৭২ – বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর কেন্দ্র থেকে সিপিআই প্রার্থীর কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে পরাজয়। ব্যাপক রিগিং-এর অভিযোগে বিধানসভা বয়কট। ইংল্যান্ড, হল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক ও বেলজিয়াম সফর।
- ১৯৭৪ – রেল ধর্মঘট।
- ১৯৭৫ – ইন্দিরা গান্ধী কর্তৃক দেশে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি।
- ১৯৭৭ – সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোটে জয়ী। নির্বাচনে বামফ্রন্টের জয়লাভ। ২১ জুন পশ্চিমবঙ্গের নবম মুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ। যুগোশ্লাভিয়া ও ব্রিটেন সফর।
--অর্ণব দত্ত (talk) ১২:১৭, ১৯ জানুয়ারি ২০১০ (UTC)
- যে তারিখগুলি একান্তই গুরুত্বপূর্ণ (যেমন জন্ম তারিখ, প্রথম মুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ নেওয়ার তারিখ) সেগুলিই রাখছি। বাকিগুলো সরিয়ে দেবো। --অর্ণব দত্ত (talk) ১৫:৫৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১০ (UTC)
দ্বিতীয় অংশ[সম্পাদনা]
- ১৯৭৯ – রোম, বেলগ্রেড, ওয়ারশ ও জেনিভা সফর।
- ১৯৮০ – লন্ডন, মস্কো ও হাঙ্গেরি সফর।
- ১৯৮১ – লন্ডন, জেনিভা ও প্যারিস সফর।
- ১৯৮২ – সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় পুনর্নির্বাচিত। মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়াও স্বরাষ্ট্র, প্রশাসন, অর্থ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ। হিন্দুস্তান পার্কের পৈত্রিক বাড়ি থেকে উঠে এলেন রাজভবনের সরকারি আবাসনে। ভুটান সফর।
- ১৯৮৩ – সোভিয়েত ইউনিয়ন, বুদাপেস্ট, প্যারিস, আমস্টারডাম ও লন্ডন সফর।
- ১৯৮৪ – মে মাসে চীন ও হংকং সফর। পরে ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে ইংল্যান্ড যাত্রা। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর। রাজ্যে নতুন শিল্পনীতি ঘোষিত।
- ১৯৮৫ – ইংল্যান্ড ও জার্মানি সফর। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে বক্তৃতা। সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর।
- ১৯৮৬ – আত্মজীবনী ‘জনগণের সঙ্গে’ প্রকাশিত। লন্ডন, প্যারিস, রোম, জেনিভা, এথেন্স, ব্যাঙ্কক ও সিঙ্গাপুর সফর।
- ১৯৮৭ – সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করে তৃতীয়বার বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ। রাজভবন থেকে বিধাননগরের ইন্দিরা ভবনে বাসাবদল। আমৃত্যু এই বাড়িটিই ছিল বসুর ঠিকানা। ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর।
- ১৯৮৮ – জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড সফর।
- ১৯৮৯ – ইংল্যান্ডের হাউস অফ কমনস ও স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে বক্তৃতা প্রদান। অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স ও পশ্চিম জার্মানি সফর।
- ১৯৯১ – সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে চতুর্থবার বামফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। ব্রিটিশ সরকারের আমন্ত্রণে ইংল্যান্ড, সুইডেন ও জার্মানি সফর।
- ১৯৯২ – ইংল্যান্ড, হামবুর্গ, রোম ও ফ্লোরেন্স সফর।
- ১৯৯৩ – ইংল্যান্ড ও কিউবা ভ্রমণ। ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে সাক্ষাৎকার।
- ১৯৯৪ – ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড সফর।
- ১৯৯৫ – পশ্চিমবঙ্গে শিল্পে বিনিয়োগ আনার উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড সফর।
- ১৯৯৬ – বিধানসভা নির্বাচনে সাতগাছিয়া কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে পঞ্চম ও শেষ বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত। পার্টির নির্দেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পদ প্রত্যাখ্যান। ভারত-বাংলাদেশ গঙ্গা জলবণ্টন চুক্তি সইয়ের প্রসঙ্গে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ।
- ১৯৯৭ – সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত জীবনীগ্রন্থ ‘জ্যোতি বসু: দি অথরাইজড বায়োগ্রাফি’ প্রকাশিত। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর।
- ১৯৯৯ – ইসরায়েল সফর। কলকাতা-ঢাকা বাস চলাচল শুরু হলে বাংলাদেশের আমন্ত্রিত।
- ৬ নভেম্বর, ২০০০ – স্বাস্থ্যের কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অব্যহতি গ্রহণ।
- ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০১ – ৫৫ বছর বিধায়ক থাকার পর বিধানসভা থেকে অব্যহতি গ্রহণ।
- ২০০৩ – স্ত্রী বিয়োগ।
- ২০০৫ – গৌতম ঘোষ তথ্যচিত্র ‘জ্যোতি বসু’ তথ্যচিত্রটির প্রথম প্রদর্শনী। ভারতরত্ন গ্রহণে অসম্মতি।
- ২০০৭ – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সাম্মানিক ডি. লিট. প্রদান।
- ২০০৮ – পলিটব্যুরো থেকে অব্যহতি লাভ।
- ২০০৯ – উপর্যুপরি অসুস্থতা।
- ১৭ জানুয়ারি, ২০১০ – জীবনাবসান।
- ১৯ জানুয়ারি, ২০১০ – পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ কৃত্য সম্পন্ন। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা গবেষণার কাজে দেহদান।
--অর্ণব দত্ত (talk) ১০:৪৬, ২১ জানুয়ারি ২০১০ (UTC)
- ভাল হয়েছে। ফয়জুল ভাইয়ের করা সম্পাদনার সাথে সমন্বয় করে মূল পাতায় সম্পাদনা করার অনুরোধ রইলো।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ১০:৪৯, ২১ জানুয়ারি ২০১০ (UTC)
- ধন্যবাদ বেলায়েত ভাই। ফয়জুল সাহেবের আপত্তি না থাকলে এটিকে টেমপ্লেটে যোগ করে দেবো। --অর্ণব দত্ত (talk) ১১:০৩, ২১ জানুয়ারি ২০১০ (UTC)
- ভাল হয়েছে। ফয়জুল ভাইয়ের করা সম্পাদনার সাথে সমন্বয় করে মূল পাতায় সম্পাদনা করার অনুরোধ রইলো।--বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ১০:৪৯, ২১ জানুয়ারি ২০১০ (UTC)