রথ মন্দির, পুঠিয়া
রথ মন্দির, পুঠিয়া | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | রাজশাহী জেলা |
অবস্থান | |
অবস্থান | পুঠিয়া |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২১′৫০″ উত্তর ৮৮°৫০′১৪″ পূর্ব / ২৪.৩৬৩৮৬৬° উত্তর ৮৮.৮৩৭৩২০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
সৃষ্টিকারী | রানী ভূবনময়ী |
রথ মন্দির পুঠিয়ার মন্দির চত্বরে অবস্থিত ১৩ টি মন্দিরের একটি। স্থানীয়ভাবে এটি জগন্নাথ মন্দির নামেও পরিচিত। এটি ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দ মতান্তরে ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে রানী ভূবনময়ী নির্মাণ করেন বলে জানা যায়।[১][২] এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।
অবস্থান
[সম্পাদনা]রাজশাহী হতে ৩২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে পুঠিয়া বাজারের প্রবেশের ঠিক বাম পাশেই এর অবস্থান। এর পূর্ব পাশে বড় শিব মন্দির এবং উত্তর দিকে রয়েছে শিব সাগর নামক দীঘি।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]এটি পাতলা ইট, চুন-সুরকি দ্বারা নির্মিত। চমৎকার নির্মাণশৈলী বিশিষ্ট এ মন্দিরে পুঠিয়ার মন্দির চত্বরে অবস্থিত অন্যান্য মন্দিরের মত পোড়ামাটির কোন ফলক দেখা যায় না। চারপাশে বারান্দা বিশিষ্ট অষ্টকোণাকৃতি এ মন্দিরে বাইরের দিকে ৮ টি পিলার আছে। উত্তর ও পূর্ব দিকে রয়েছে দুইটি খিলান দরজা। দরজার চৌকাঠ বেলে পাথরের তৈরি এবং এতে চমৎকার অলঙ্করণ রয়েছে। গম্বুজ আকৃতির এই মন্দিরের ছাদের উপরের অংশ কলস আকৃতির ফেনিয়েল দ্বারা সজ্জিত। দোতলাবিশিষ্ট এ মন্দিরের উপরের কক্ষটি নিচের কক্ষের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট এবং এই কক্ষের চারপাশে উন্মুক্ত প্রবেশ পথ রয়েছে।[২] উল্লেখ্য এটির চারপাশে কোন সীমানা প্রাচীর নেই।
বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]বর্তমানে এখানে কোন পূজা অর্চনা আর হয় না। পরিত্যক্ত এই মন্দিরের মূল অবকাঠামো এখনো অবিকৃত আছে। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে এবং দেয়ালের অনেক জায়গায় পলেস্তারা উঠে গিয়েছে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "পুঠিয়ার ঐতিহ্য: রাজবাড়ী ও মন্দির সমূহ - Puthia Upazilla - পুঠিয়া উপজেলা"। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ আলম, মোঃ বাদরুল (২০১৪)। "জগন্নাথ/রথ মন্দির"। পুঠিয়ার রাজবংশ ও পুরাকীর্তি। পৃষ্ঠা 28।