রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
||
৪০ নং লাইন: | ৪০ নং লাইন: | ||
== রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন == |
== রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন == |
||
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ১৯৪৮ সালের জুনে গঠিত হয়ে ভাষাশৈলিক প্রদেশ কমিশন (কিংবা ধর কমিশন) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কমিশন ভাষাকে রাজ্য বিভক্তির একক হিসেবে গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী [[জওহরলাল নেহ্রু|জওহরলাল নেহেরু]] ১৯৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন নিযুক্ত করেছিলেন। নতুন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন [[ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়|সুপ্রিম কোর্টের]] অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ফজল আলি। এর অপর দুই সদস্য হলেন এইচএন কুনজরু এবং কে এম পানিকর। |
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ১৯৪৮ সালের জুনে গঠিত হয়ে ভাষাশৈলিক প্রদেশ কমিশন (কিংবা ধর কমিশন) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কমিশন ভাষাকে রাজ্য বিভক্তির একক হিসেবে গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী [[জওহরলাল নেহ্রু|জওহরলাল নেহেরু]] ১৯৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন নিযুক্ত করেছিলেন। নতুন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন [[ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়|সুপ্রিম কোর্টের]] অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ফজল আলি। এর অপর দুই সদস্য হলেন এইচএন কুনজরু এবং কে এম পানিকর। ১৯৫৪ সালের ডিসেম্বর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী গোবিন্দ বল্লভ পান্ত এই কমিশনের তত্ত্বাবধান করেন। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৬:২০, ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি পরিবর্ধন বা বড় কোনো পুনর্গঠনের মধ্যে রয়েছে। এটির উন্নয়নের জন্য আপনার যে কোনো প্রকার সহায়তাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। যদি এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হয়, তাহলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন। ৩ বছর আগে MS Sakib (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ | |
---|---|
ভারতীয় সংসদ | |
প্রণয়নকারী | ভারতীয় সংসদ |
প্রণয়নকাল | ১৯৫৬ |
অবস্থা: বলবৎ |
রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ ছিল ভারতের রাজ্য এবং অঞ্চলগুলির সীমানার একটি বৃহত সংস্কার। ভাষাগত পার্থ্যক্য বিবেচনা করে রাজযগুলোকে সংগঠিত করা হয়। [১]
যদিও ১৯৫৬ সালের পর থেকে ভারতের রাজ্য সীমানায় আরও অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে, তবুও ১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের রাজ্য সীমানায় একই সাথে সর্বাধিক বিস্তৃত পরিবর্তন।
আইনটি সংবিধান (সপ্তম সংশোধন) আইন, ১৯৫৬ এর সাথে একই সময়ে কার্যকর হয়। [২] এটি ভারতের বিদ্যমান রাজ্যগুলির সাংবিধানিক কাঠামোর পুনর্গঠন করে এবং ভারতের সংবিধানের প্রথম অংশের ৩ ও ৪ অনুচ্ছেদের বিধানের অধীনে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ পাস করার প্রয়োজনীয় শর্তগুলি পুনর্গঠন করে।
স্বাধীনতার পরে রাজনৈতিক সংহতকরণ এবং ১৯৫০ সালের সংবিধান
বর্তমান ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ নিয়ে গঠিত ব্রিটিশ ভারত দুই ধরণের অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। প্রথম বিভাগের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ। এগুলো ভারতের গভর্নর-জেনারেলের দায়িত্বে থাকা ব্রিটিশ আধিকারিকদের মাধ্যমে সরাসরি শাসিত ছিল। অন্য বিভাগটি হচ্ছে ভারতীয় দেশীয় রাজ্যসমূগ। এগুলো স্থানীয় বংশগত শাসকদের অধীনে শাসিত হতো। তারা চুক্তি মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হিসাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের নিজস্ব রাজত্বের বিনিময়ে ব্রিটিশ অভিজাতদের স্বীকৃতি দেয়। বিশ শতকের গোড়ার দিকে সংস্কারের ফলস্বরূপ, ব্রিটিশ প্রদেশগুলোর বেশিরভাগই সরাসরি আইনসভার সদস্য এবং গভর্নরগণকে নির্বাচিত করতো। যদিও কয়েকটি ছোট প্রদেশগুলি গভর্নর-জেনারেল দ্বারা নিযুক্ত একজন প্রধান কমিশনার দ্বারা পরিচালিত ছিল। ১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশরা যে বড় ধরনের সংস্কার করেছিল তা ফেডারেলিজমের নীতিকে স্বীকৃতি দেয়। স্বাধীন ভারতের শাসন ব্যবস্থাও এটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ ভারতকে ভারত ও পাকিস্তানের পৃথক অধিরাজ্য হিসাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ব্রিটিশরা পাঁচ শতাধিক দেশীয় রাজ্যের সাথে তাদের সন্ধি সম্পর্ক ভেঙে দেয়, যারা ভারত বা পাকিস্তানের যে কোনও দেশে প্রবেশ করতে উৎসাহিত হয়েছিল। যদিও তা করার বাধ্যতামূলক কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। বেশিরভাগ রাজ্য ভারতে এবং কয়েকটি পাকিস্তানে যোগ দেয়। জুনাগড়, হায়দরাবাদ ও জম্মু-কাশ্মীর স্বাধীনতা বেছে নিয়েছিল। যদিও ভারত সশস্ত্র হস্তক্ষেপের মাধ্যমে হায়দরাবাদ জয় করে একে ভারতীয় ইউনিয়নে নিয়ে আসে। অন্যদিকে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারত জুনাগড় দখল করে। আর জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আজও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে (পরবর্তীতে চীনের সাথেও) দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।
১৯৪৭ থেকে প্রায় ১৯৫০ সালের মধ্যে দেশীয় রাজ্যগুলো রাজনৈতিকভাবে ভারতীয় ইউনিয়নে সংহত হয়। বেশিরভাগই বিদ্যমান প্রদেশগুলোতে একীভূত হয়। বাকিগুলো রাজপুতানা, হিমাচল প্রদেশ, মধ্য ভারত এবং বিন্ধ্য প্রদেশের মতো নতুন প্রদেশগুলোতে সংগঠিত হয়। এগুলো একাধিক দেশীয় রাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। মহীশূর, হায়দরাবাদ, ভোপাল, এবং বিলাসপুর সহ কয়েকটি দেশীয় রাজ্য পৃথক প্রদেশে পরিণত হয়েছিল। ১৯৫০ সালে একটি নতুন সংবিধান গ্রহণের আগ পর্যন্ত ভারত শাসন আইন ১৯৩৫ ভারতের সাংবিধানিক আইন হিসাবে বহাল ছিল। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারীতে কার্যকর হওয়া ভারতের নতুন সংবিধান ভারতকে একটি সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র করে তোলে। নতুন প্রজাতন্ত্রকে "ইউনিয়ন অফ স্টেটস" হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।[৩]
১৯৫০ সালের সংবিধানে তৎকালীন ভারতের বিদ্যমান প্রশাসনিক এককগুলোকে তিনটি প্রধান ধরণের রাজ্য এবং এক শ্রেণির অঞ্চল হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করে।
- পার্ট এ রাজ্য, যা ব্রিটিশ ভারতের প্রাক্তন গভর্নরের প্রদেশ ছিল, রাষ্ট্রপতি দ্বারা নির্বাচিত গভর্নর এবং একটি নির্বাচিত রাজ্য আইনসভা দ্বারা শাসিত ছিল পার্ট এ-এর অন্তর্ভুক্ত নয়টি রাজ্য: আসাম, বিহার, বোম্বাই, মধ্য প্রদেশ (প্রাক্তন মধ্য প্রদেশ এবং বেরার), মাদ্রাজ, ওড়িশা, পাঞ্জাব (প্রাক্তন পূর্ব পাঞ্জাব), উত্তরপ্রদেশ (প্রাক্তন যুক্ত প্রদেশ) এবং পশ্চিমবঙ্গ ।
- পার্ট বি রাজ্য, যা প্রাক্তন দেশীয় রাজ্য বা দেশীয় রাজ্যের সমষ্ঠি ছিল। এগুলো রাজপ্রমুখ দ্বারা পরিচালিত হতো। তিনি সাধারণত একটি নির্বাচনী রাজ্যের শাসক ছিলেন। এছাড়া রাজ্যের একটি নির্বাচিত আইনসভা ছিল। রাজপ্রমুখ ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হতেন। এই বিভাগের আটটি রাজ্য হল হায়দ্রাবাদ, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্য ভারত, মহীশূর, পতিয়ালা এবং পূর্ব পাঞ্জাব রাজ্য ইউনিয়ন (পিইপিএসইউ), রাজস্থান, সৌরাষ্ট্র এবং ট্রাভানকোর-কোচিন।
- পার্ট সি রাজ্যে প্রাক্তন প্রধান কমিশনারের প্রদেশ ও কিছু দেশীয় রাজ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং প্রতিটি রাজ্য ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত প্রধান কমিশনার দ্বারা পরিচালিত ছিল। দশটি পার্ট সি রাজ্য হ'ল আজমির, ভোপাল, বিলাসপুর, কুরগ, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, কচ্ছ, মণিপুর, ত্রিপুরা, এবং বিন্ধ্য প্রদেশ।\
- একমাত্র পার্ট ডি অঞ্চল ছিল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, যা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর দ্বারা পরিচালিত হতো।[৪]
ভাষাগত রাজ্যের জন্য আন্দোলন
ভারতের রাজ্যগুলোকে ভাষাগত ভিত্তিতে সংগঠিত করার দাবি ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের আগেই বিকশিত হয়েছিল। ১৮৯৫ সালে ওড়িশায় প্রথম ভাষাগত আন্দোলন শুরু হয়। পরবর্তী বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করে একটি পৃথক উড়িষ্যা প্রদেশ গঠনের দাবিতে এই আন্দোলন পরবর্তী বছরগুলিতে গতি অর্জন করে।[৫][৬] ওড়িয়া জাতীয়তাবাদের জনক মধুসূদন দাসের প্রচেষ্টার ফলে এই আন্দোলনটি শেষ পর্যন্ত ১৯৩৬ সালে তার লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। ফলস্রুতিতে উড়িষ্যা প্রদেশ সাধারণ ভাষার ভিত্তিতে সংগঠিত প্রথম ভারতীয় রাজ্য (স্বাধীনতা পূর্ব) হয়ে ওঠে।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ভাষাতত্ত্বের ভিত্তিতে বিকশিত নতুন রাজ্য গঠনের রাজনৈতিক আন্দোলনের বিকাশ ঘটে। স্বাধীনতা লাভের পরের বছরগুলিতে মাদ্রাজ রাজ্যের উত্তরের অংশের বাইরে তেলেগু-ভাষী রাজ্য গঠনের আন্দোলন শক্তি জোগাড় করে এবং ১৯৫৩ সালে মাদ্রাজ রাজ্যের উত্তরের ষোলটি তেলুগু-ভাষী জেলা নতুন অন্ধ্র রাজ্যে পরিণত হয় । স্বাধীনতার পরে, ভাষাগত ভিত্তিতে প্রথম রাজ্য এটি।
১৯৫০-১৯৫৬ সময়কালে, রাজ্যের সীমানায় অন্যান্য ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি করা হয়। ১৯৫৪ সালের ১ জুলাই ছোট্ট বিলাসপুর রাজ্য হিমাচল প্রদেশের সাথে একীভূত হয়। আর ফরাসী ভারতের প্রাক্তন ছিটমহল চন্দননগরকে স্থানীয় জনগণের দাবির ভিত্তিতে ১৯৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন ১৯৪৮ সালের জুনে গঠিত হয়ে ভাষাশৈলিক প্রদেশ কমিশন (কিংবা ধর কমিশন) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কমিশন ভাষাকে রাজ্য বিভক্তির একক হিসেবে গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ১৯৫৩ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন নিযুক্ত করেছিলেন। নতুন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ফজল আলি। এর অপর দুই সদস্য হলেন এইচএন কুনজরু এবং কে এম পানিকর। ১৯৫৪ সালের ডিসেম্বর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী গোবিন্দ বল্লভ পান্ত এই কমিশনের তত্ত্বাবধান করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Explainer: The reorganization of states in India and why it happened"।
- ↑ "Seventh Amendment"। Indiacode.nic.in। ১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১৯।
- ↑ "Article 1"। Constitution of India। ২ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Archived copy"। ১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-১৯।
- ↑ "Demand of separate province for Oriya"। The Telegraph।
- ↑ States Politics in India।