বিষয়বস্তুতে চলুন

বায়েজিদ বোস্তামি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বায়েজিদ বোস্তামি
জন্ম৮০৪
মৃত্যু৮৭৪[]
অঞ্চলপশ্চিম এশিয়া
ধারাসূফীবাদ মাদারিয়া নকশবন্দি
প্রধান আগ্রহ
আধ্যাত্মিকতাবাদ, দর্শন
উল্লেখযোগ্য অবদান
ওয়াহদাত আল উজুদ

বায়েজিদ বোস্তামি (ফার্সি: بايزيد بسطامى) একজন বিখ্যাত ইরানি সূফী সাধক। তিনি আবু ইয়াজিদ বিস্তামি, তায়ফুর আবু ইয়াজিদ আল-বোস্তামি অথবা সুলতান-উল-আরেফিন (৮০৪-৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দ)[] নামেও পরিচিত। তার জন্ম ইরানের বোস্তাম শহরে।[]

জীবনী

[সম্পাদনা]

বোস্তামী নামের অর্থ - যিনি বোস্তাম শহরের বাসিন্দা। হযরত বায়েজিদের দাদা একজন পার্সী ধর্মাবলম্বী ছিলেন, যিনি পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার দাদার তিন ছেলে ছিল, তারা হলেন - আদম, তায়ফুর এবং আলী। তারা সকলেই কঠোর তপস্বী ছিলেন। তায়ফুর এর ছেলে হলেন বায়েজিদ। তার শৈশব সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না, তবে বেশি ভাগ সময়ই তিনি নিজ বাড়ির নিভৃতে অথবা মসজিদে কাটিয়েছেন। সূফীবাদের আলোচনা করার জন্য তিনি লোকজনকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ করতেন। বায়েজিদ কঠোর তপস্যা করতেন এবং সৃষ্টির্কতার সান্নিধ্য লাভের আশায় দুনিয়ার সকল আনন্দ-ফুর্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন।

মাতৃভক্তি

[সম্পাদনা]

বায়েজিদ বোস্তামী সম্পর্ক একটি প্রচলিত কাহিনী রয়েছে যে একদিন বায়েজিদ বোস্তামীর মা অসুস্থ ছিলেন। এক রাতে মা বায়েজিদ বোস্তামীকে পানি পান করবার জন্য পানি আনতে বলেন। বায়েজিদ ঘরে পানি না পেয়ে অন্ধকার রাতে নদী থেকে পানি নিয়ে আসেন। এসে দেখলেন মা ঘুমিয়ে আছেন। তিনি ভাবলেন মাকে জাগালে মায়ের ঘুম ভেঙ্গে যাবে,তাই তিনি পানি হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেন। সকালে মায়ের ঘুম ভাঙার পর দেখলেন তার ছেলে পানি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তিনি অবাক হলেন,খুশি হলেন। মা প্রাণ ভরে ছেলের জন্য দুয়া করেন। আল্লাহ মায়ের দুয়া কবুল করলেন। পরে পৃথিবী খ্যাত ওলি বায়েজিদ বোস্তামি নামে পরিচিত হলেন।

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Abdul Karim। "Bayazid Bostami"Banglapedia। ২০১২-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০৪ 
  2. The Darvishes: Or Oriental Spiritualism By John Pair Brown, p. 141
  3. Walbridge, John. "Suhrawardi and Illumination" in "The Cambridge Companion to Arabic Philosophy" edited by Peter Adamson, Richard C. Taylor, Cambridge University Press, 2005. pg 206.

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]