বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাদুঘর

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৬′ উত্তর ৯০°২২′ পূর্ব / ২৩.৭৭° উত্তর ৯০.৩৭° পূর্ব / 23.77; 90.37
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর থেকে পুনর্নির্দেশিত)
বিমান বাহিনী যাদুঘর
বিমান বাহিনী যাদুঘরের প্রবেশদ্বার
মানচিত্র
স্থাপিত১৭ জুন ১৯৮৭ (1987-06-17)[১]
অবস্থানতেজগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৬′ উত্তর ৯০°২২′ পূর্ব / ২৩.৭৭° উত্তর ৯০.৩৭° পূর্ব / 23.77; 90.37
সংগ্রহ
  • ডাকোটা বিমান
  • অ্যালিউট হেলিকপ্টার
  • এফ-৮৬ যুদ্ধবিমান
  • মুক্তিবাহিনীর হান্টার জেট
  • মিগ-২১এফএল
  • ন্যাট বিমান
মালিকবাংলাদেশ বিমান বাহিনী
ওয়েবসাইটwww.bafmuseum.mil.bd

বিমান বাহিনী যাদুঘর ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম বিমান জাদুঘর। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস, সাফল্য ও উন্নয়নের ক্রমবিকাশকে সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে এই জাদুঘর ২০১৪ সালে উন্মু্ক্ত করা হয়।[২]

অবস্থান[সম্পাদনা]

এই জাদুঘরের পশ্চিমে রয়েছে বেগম রোকেয়া সরণি ও কম্পিউটার সিটি (আইডিবি ভবন) এবং পূর্বে রয়েছে তেঁজগাও বিমান বন্দরের সুবিশাল রানওয়ে ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার। উত্তর দিকে রয়েছে সুদৃশ্য হ্রদ এবং দক্ষিণে সবুজ বৃক্ষসারি ও বনানী।[৩]

পটভূমি[সম্পাদনা]

১৭ জুন ১৯৮৭ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরের গোড়া পত্তন হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বেগম রোকেয়া সরণি সংলগ্ন তেঁজগাও বিমান বন্দরের রানওয়ের পশ্চিম পার্শ্বে মনোরম পরিবেশে আরও সুবিন্যস্ত ও সুগঠিতভাবে পূণর্গঠন করা হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এই বিমান জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন এয়ার মার্শাল এনামুল বারী।[৪]

উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ[সম্পাদনা]

মূলত বিভিন্ন সময়ের হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়েই এই জাদুঘর সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:

  • বলাকা: বলাকা বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান। রাশিয়ার তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশে আসে ১৯৫৮ সালে।
  • এয়ার টুওরার: ট্রেইনিংয়ের জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের তৈরি এই বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে যোগ হয়।
  • পিটি-৬: ১৯৮৫ সালে চিনের তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়।
  • ফুগাসি এম-১৭০: ফ্রান্সে ১৯৬০ সালে তৈরি করা এই বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে।
  • গ্লাইডার: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ অভিজ্ঞতার জন্য জার্মানির দেওয়া এই বিমানটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৮২ সালে।
  • এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০: কানাডার তৈরি এই বোমারু বিমানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করে।[৫]
  • হান্টার বিমান: মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে ভূমি শত্রু থেকে রক্ষা করতে এই বিমানটি ব্যবহার করে। ভারতীয় বিমানবাহিনী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে এই বিমানটি উপহার দেয়।[৫]
  • ডাকোটা বিমান: মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি বোমারু বিমান। এটি ৫০০০ পাউন্ড বোম্ব বহন করতে সক্ষম।

এছাড়াও আছে এফটি-৫, মিগ-২১, জি নাট, এফ৬, এ৫-১১১।[৪]

জাদুঘরের সময়সূচী[সম্পাদনা]

বিমান বাহিনী জাদুঘর সোম থেকে শনিবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং বিশেষ দিন ব্যতীত প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে।[৩] ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট সংগ্রহ করে জাদুঘরে প্রবেশ করা যায়। এছারাও ৩০ টাকার টিকেটের বিনিময়ে ভেতরের হেলিকাপ্টার বা বিমানে উঠা যায়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Welcome to BAF Haritage"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "বিমান জাদুঘর"bdnews24.com। ৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬ 
  3. "..::BAF Museum::.." [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "দেখে আসুন দেশের প্রথম বিমান জাদুঘর"রাইজিংবিডি ডটকম। ৯ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "হেলিকাপ্টারে চড়া মাত্র ৩০ টাকায়"শেয়ারনিউজ২৪। ১১ নভেম্বর ২০০৪। ১৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  6. "হেলিকাপ্টারে চড়া মাত্র ৩০ টাকায়"। ১৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬