রিচার্ড কলিঞ্জ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Richard Collinge থেকে পুনর্নির্দেশিত)
রিচার্ড কলিঞ্জ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরিচার্ড ওয়েন কলিঞ্জ
জন্ম (1946-04-02) ২ এপ্রিল ১৯৪৬ (বয়স ৭৮)
ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
উচ্চতা৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১০২)
২২ জানুয়ারি ১৯৬৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৪ আগস্ট ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১৭ জুলাই ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬৩/৬৪ – ১৯৬৯/৭০সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস
১৯৬৭/৬৮ - ১৯৭৪/৭৫ওয়েলিংটন
১৯৭৫/৭৬ - ১৯৭৭/৭৮নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস নাইটস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩৫ ১৫ ১৬৩ ৩৭
রানের সংখ্যা ৫৩৩ ৩৪ ১,৮৪৮ ১১৬
ব্যাটিং গড় ১৪.৪০ ৫.৬৬ ১৪.৪৩ ৯.৬৬
১০০/৫০ ০/২ ০/০ ০/৪ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৬৮* ৬৮* ৩৮*
বল করেছে ৭,৬৮৯ ৮৫৯ ৩১,৩৮৮ ২,০৩৮
উইকেট ১১৬ ১৮ ৫২৪ ৫২
বোলিং গড় ২৯.২৫ ২৬.৬১ ২৪.৪১ ২০.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ২২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৬৩ ৫/২৩ ৮/৬৪ ৫/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১০/– ১/– ৫৭/– ৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ মে ২০১৯

রিচার্ড ওয়েন কলিঞ্জ (ইংরেজি: Richard Collinge; জন্ম: ২ এপ্রিল, ১৯৪৬) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭৮ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস, নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ও ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন রিচার্ড কলিঞ্জ

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

তিনটি ভিন্ন দলের পক্ষে ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন রিচার্ড কলিঞ্জ। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল রিচার্ড কলিঞ্জের। ঐ দলে ১৯৬৯-৭০ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। এরপূর্বে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ওয়েলিংটনে খেলেন ও ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে দল ত্যাগ করেন। সর্বশেষ পর্যায়ে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

সর্বমোট ১৬৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৪.৪১ গড়ে ৫২৪ উইকেট দখল করেছিলেন। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৮/৬৪। ঘরোয়া ক্রিকেটে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭১ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট অ্যালমেনাক কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল রিচার্ড কলিঞ্জের। ১৯৭৮ সালে লর্ডসে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।[১][২] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৩৫ টেস্ট ও ১৫টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন রিচার্ড কলিঞ্জ। ২২ জানুয়ারি, ১৯৬৫ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রিচার্ড কলিঞ্জের।

কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম ছিল তার। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৮ রান তুলেছিলেন। এটিই ঐ সময়ে টেস্ট খেলায় ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা যে-কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল। এছাড়াও, এ পর্যায়ে শেষ উইকেট জুটিতে ব্রায়ান হ্যাস্টিংসের সাথে ১৫৫ মিনিটে ১৫১ রানের রেকর্ড গড়েন তিনি।[৩]

১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। উভয়ে ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষীয় দল ছিল ভারত। টেস্টে ৬/৬৩ ও ওডিআইয়ে ৫/২৩ পেয়েছিলেন। অবসর গ্রহণকালীন তিনি নিউজিল্যান্ডের সেরা উইকেট শিকারীতে পরিণত হয়েছিলেন। ২৯.২৫ গড়ে ১১৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্মারক জয়লাভে রিচার্ড হ্যাডলি’র সাথে বিরাট ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। খেলায় তিনি ৩/৪২ ও ৩/৪৫ পেয়েছিলেন।[৪] ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে তার দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন-সুইঙ্গারে জিওফ বয়কট বোল্ড হন। ৬৪ রানে দলকে গুটিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে এটিই দলের প্রথম সাফল্য ছিল।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

দীর্ঘদেহী, শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী রিচার্ড কলিঞ্জ বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বল হাত থেকে ছাড়ার পূর্ব-মুহূর্তে উভয় হাত উপরে তুলতেন।[৫] তিনি পিচে বলকে উপরে তুলে ধরতেন ও শেষমুহুর্তে গতিসঞ্চার করাতেন। প্রায়শই তৎকালের তরুণ রিচার্ড হ্যাডলির সাথে উইকেট শিকারে উন্মত্ততার পরিচয় দিতেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। সফরের এক পর্যায়ে তিনি নবজাতকের মৃত্যুসংবাদ সম্পর্কে জানতে পারেন ও দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। ফলশ্রুতিতে, রস মর্গ্যানকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছিল।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lynch, Stephen (১৯ জানুয়ারি ২০০৪)। "The worst bowling average, and mystery injuries"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-১৬ 
  2. "New Zealand v Pakistan in 1972/73"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-১৬ 
  3. Wisden 1974, p. 942.
  4. Wisden 1979, p. 917.
  5. Kieza, Grantlee. FAST and FURIOUS: A celebration of Cricket's pace bowlers, 1st ed, Lester-Townsend Publishing Pty Ltd. 1990. আইএসবিএন ০-৯৪৯৮৫৩-৪১-০ (Australia)
  6. "Test Cricket Tours - New Zealand to West Indies 1971-72"Test-cricket-tours.co.uk। ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]