আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ
আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ | |
---|---|
ব্যবস্থাপক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
খেলার ধরন | প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট |
প্রথম টুর্নামেন্ট | ২০০৪ |
শেষ টুর্নামেন্ট | ২০১৫-১৭ |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড-রবিন ও নক-আউট |
দলের সংখ্যা | বিবিধ (সর্বোচ্চ ১৪) (বর্তমানে ৮) |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | আফগানিস্তান (২য় শিরোপা) |
সর্বাধিক সফল | আয়ারল্যান্ড (৪টি শিরোপা) |
সর্বাধিক রান | স্টিভ টিকোলো (১,৯১৮)[১] |
সর্বাধিক উইকেট | ট্রেন্ট জনস্টন (৮১)[২] |
আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ (ইংরেজি: ICC Intercontinental Cup) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্রিকেট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। আইসিসি’র সহযোগী সদস্যদের একই মানের দলের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি ও টেস্ট ক্রিকেট মর্যাদা প্রাপ্তিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষেত্রভেদে এ প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ৮ থেকে ১৪টি সহযোগী দেশ অংশগ্রহণ করে।
অক্টোবর ২০১৮-এ, আইসিসি টুর্নামেন্টের পূর্ববর্তী সংস্করণগুলিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলগুলির কাছ থেকে আগ্রহ প্রকাশের জন্য একটি আবেদনপত্র জারি করে।[৩] যাইহোক, যেহেতু তারপর থেকে নতুন সংস্করণ সংক্রান্ত আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তাই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।[৪][৫] এপ্রিল ২০২১-এ, আইসিসি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) স্ট্যাটাস যুক্ত সহযোগী সদস্যদের মধ্যে এবং টেস্ট দলের মধ্যে বহু-দিনের ম্যাচের (প্রথম-শ্রেণী বা টেস্ট) সম্ভাবনা দেখেছিল যারা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়।[৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আইসিসি আন্তঃমহাদেশীয় কাপের উদ্বোধনী আসরের শেষ খেলা ২২ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় অনুষ্ঠিত হয়।[৭] চূড়ান্ত খেলায় স্কটল্যান্ড ইনিংস ও ৮৪ রানের ব্যবধানে কানাডাকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে। চারটি ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে ১২ দলের অংশগ্রহণ ঘটে। চারটি গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত ৩টি দল একে-অপরের বিপক্ষে একবার প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় অবতীর্ণ হয়। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষদল সেমি-ফাইনালে উত্তরণ ঘটায় ও বিজয়ী দুই দল ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বোনাস পয়েন্ট ব্যবস্থা রাখা হয়।
জানুয়ারি, ২০১৪ সালে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডগুলো এক জোট হলে আইসিসি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় যে, প্রতিযোগিতার বিজয়ী দল টেস্টভূক্ত দেশগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে সর্বনিম্নস্থান অধিকারী দলের বিপক্ষে ৪ টেস্ট খেলার সুযোগ লাভ করবে।[৮] কোন কারণে জয়লাভ করতে পারলে দলটি টেস্টভূক্ত দলের মর্যাদা পাবে।
দলীয় রেকর্ড
[সম্পাদনা]আসর ভিত্তিক
[সম্পাদনা]দলসমূহের পারফরম্যান্স
[সম্পাদনা]সংকেত |
---|
|
|
দল | ২০০৪ | ২০০৫ | ২০০৬/০৭ | ২০০৭/০৮ | ২০০৯/১০ | ২০১১/১৩ | ২০১৫/১৭ |
---|---|---|---|---|---|---|---|
আফগানিস্তান | × | × | × | × | ১ম | ২য় | ১ম |
বারমুডা | গ্রুপ | সেমি | গ্রুপ | ৮ম | ১১শ | × | × |
কানাডা | ২য় | গ্রুপ | ২য় | ৭ম | ৭ম | ৬ষ্ঠ | × |
কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ | × | গ্রুপ | × | × | × | × | × |
হংকং | × | গ্রুপ | × | × | × | × | ৪র্থ |
আয়ারল্যান্ড | গ্রুপ | ১ম | ১ম | ১ম | ৪র্থ | ১ম | ২য় |
কেনিয়া | সেমি | ২য় | গ্রুপ | ৩য় | ৫ম | ৭ম | × |
মালয়েশিয়া | গ্রুপ | × | × | × | × | × | × |
নামিবিয়া | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ২য় | ৮ম | ৫ম | ৮ম |
নেদারল্যান্ডস | গ্রুপ | গ্রুপ | গ্রুপ | ৫ম | ৬ষ্ঠ | ৮ম | ৩য় |
নেপাল | গ্রুপ | গ্রুপ | • | × | × | × | × |
পাপুয়া নিউগিনি | × | × | × | × | × | × | ৭ম |
স্কটল্যান্ড | ১ম | গ্রুপ | গ্রুপ | ৪র্থ | ২য় | ৩য় | ৬ষ্ঠ |
উগান্ডা | গ্রুপ | গ্রুপ | × | × | ১০ম | × | × |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | সেমি | সেমি | গ্রুপ | ৬ষ্ঠ | ৯ম | ৪র্থ | ৫ম |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | গ্রুপ | × | × | × | × | × | × |
জিম্বাবুয়ে একাদশ | × | × | × | × | ৩য় | × | × |
সর্বকালের পয়েন্ট তালিকা
[সম্পাদনা]উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো
দল | অংশগ্রহণ | বিজয়ী | খে | জ | হা | ড্র | জয়% |
---|---|---|---|---|---|---|---|
আয়ারল্যান্ড | ৭ | ৪ | ৩৯ | ২৫ | ৩ | ১১ | ৬৪.১% |
স্কটল্যান্ড | ৭ | ১ | ৩৩ | ১১ | ৮ | ১৪ | ৩৩.৩% |
নেদারল্যান্ডস | ৭ | ৩৩ | ৭ | ১৬ | ১০ | ২১.২% | |
নামিবিয়া | ৬ | ৩৪ | ১৫ | ১৪ | ৫ | ৪৪.১% | |
কেনিয়া | ৬ | ২৮ | ৯ | ১২ | ৭ | ৩২.১% | |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | ৬ | ৩৪ | ৯ | ১৪ | ১২ | ২৬.৫% | |
কানাডা | ৬ | ২৯ | ৬ | ১৮ | ৫ | ২০.৭% | |
বারমুডা | ৪ | ১৫ | ৩ | ১১ | ৪ | ১৬.৭% | |
আফগানিস্তান | ৩ | ২ | ২২ | ১৭ | ১ | ৪ | ৭৭.৩% |
নেপাল | ২ | ৫ | ২ | ০ | ৩ | ৪০% | |
উগান্ডা | ২ | ৭ | ২ | ৪ | ১ | ২৮.৬% | |
হংকং | ২ | ৮ | ২ | ৪ | ২ | ২৫% | |
জিম্বাবুয়ে একাদশ | ১ | ৫ | ৩ | ০ | ২ | ৬০% | |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ১ | ২ | ১ | ১ | ০ | ৫০% | |
পাপুয়া নিউগিনি | ১ | ৭ | ২ | ৪ | ১ | ২৮.৬% | |
মালয়েশিয়া | ১ | ২ | ০ | ২ | ০ | ০% | |
কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ | ১ | ২ | ০ | ২ | ০ | ০% |
আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ড
[সম্পাদনা]২০০৯ সালে একটি দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা, আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ড, ২০০৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৭ম থেকে ১০ম স্থানে থাকা চারটি দলের জন্য চালু করা হয়েছিল। ম্যাচগুলো প্রথম-শ্রেণীর এবং নিয়ম ও পয়েন্ট পদ্ধতি আন্তর্মহাদেশীয় কাপের মতোই। আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ডে সর্বশেষ ও একমাত্র আসরের দলগুলো হলো বারমুডা, নামিবিয়া, উগান্ডা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ড শেষ হওয়ার পর আইসিসি ঘোষণা করে যে এটি শিল্ড প্রতিযোগিতা বাতিল করবে এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমের ৮ দলের ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ফরম্যাটে ফিরে আসবে। ফাইনালে নামিবিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শিরোপা জয়লাভ করে।
বছর | বিজয়ী | রানার্স-আপ |
---|---|---|
২০০৯–১০ | নামিবিয়া | সংযুক্ত আরব আমিরাত |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Records / ICC Intercontinental Cup / Most runs"। cricinfo.com।
- ↑ "Records / ICC Intercontinental Cup / Most wickets"। cricinfo.com।
- ↑ "New qualification pathway for ICC Men's Cricket World Cup approved"। International Cricket Council। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "New qualification pathway for ICC Men's Cricket World Cup approved"। cricbuzz.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-০২।
- ↑ "Whatever happened to the Intercontinental Cup?"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "ICC mulls regular Test matches for non-WTC Full Members and Associates in next FTP cycle"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Scotland cruise to innings victory"। Cricinfo.com। ২২ নভেম্বর ২০০৪।
- ↑ "An 11th Test country?"। ESPN Cricinfo। ৩০ জানুয়ারি ২০১৪।