বিষয়বস্তুতে চলুন

১০০-বলের ক্রিকেট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা AishikBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৪:৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (বানান ও অন্যান্য সংশোধন)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

১০০-বলের ক্রিকেট হচ্ছে ক্রিকেট খেলার একটি সংক্ষিপ্ত রূপ। এই পদ্ধতিতে দুটি দল সর্বোচ্চ ১০০-বলের একটি করে ইনিংস খেলে। এই খেলা প্রায় দুই ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটকাল স্থায়ী হয়।[] বর্তমানে এটি কেবল ইংল্যান্ডের কেন্ট এর বেলমন্ট হাউজে অনুষ্ঠিত দ্য পার্চেজারস বার্ষিক ক্রিকেট উৎসব -এ, আর ক্লাব পর্যায়ে ইংল্যান্ডের মিডল্যান্ড অঞ্চলের ওয়ারউইকশায়ার সান্‌ডে স্ম্যাশ এবং সোয়ানকোট এনার্জি স্ম্যাশ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে ২০২১ সাল থেকে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলস থেকে দল নিয়ে, পেশাদার পর্যায়ে শহর-ভিত্তিক একটি প্রতিযোগিতা শুরুর পরিকল্পনাও রয়েছে।

ইতিহাস

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে, প্রথম শ্রেণির ১৮টি কাউন্টি দল, পেশাদার ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশন (পিসিএ), এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এর সাথে সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) সর্বপ্রথম ১০০-বলের ক্রিকেট পদ্ধতি প্রস্তাব করে; সেখানে এই প্রস্তাবটি ১৬-৩ ভোটে গৃহীত হয়।[]

১৯ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে, প্রথম শ্রেণির কাউন্টি দলসমূহের মালিক ও প্রধান নির্বাহীগণ এবং এমসিসি'র কাছে, আরও বিস্তারিত একটি প্রস্তাবনা, ইসিবি কর্তৃক উত্থাপিত হয়। প্রস্তাবটি ঐ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।[][]

জুলাই ২০১৮ সালে, নতুন পদ্ধতির পরামর্শক হিসেবে ট্রেন্ট উডহিলকে নিয়োগ দেয় ইসিবি।[] প্রতিযোগিতায় আটটি শহর-ভিত্তিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, ৯০ জন খেলোয়াড়ের খসড়া তালিকা হতে দলগুলো খেলোয়াড় বাছাই করতে পারবে বলে নির্ধারিত হয় (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ)।[] প্রতিযোগিতা থেকে সৃষ্ট আয় হতে বর্তমান কাউন্টি দলগুলোর প্রত্যেকে বার্ষিকভাবে অন্তত ১৩ লক্ষ ব্রিটিশ পাউন্ড পাবে বলে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। এই অর্থপ্রাপ্তির অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, প্রতিযোগিতার জন্য কাউন্টি দলগুলোর মাঠ ব্যবহারের অনুমতি প্রদান; এই কাঠামো অনুসরণে কোন দল আপত্তি জানায়নি।[]

নভেম্বর ২০১৮ সালে, ওয়ারউইকশায়ার ক্রিকেট বোর্ড এবং ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃক ক্লাব পর্যায়ের একটি টুর্নামেন্ট এর সূচনা করা হয়, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে মিডল্যান্ড অঞ্চলজুড়ে রবিবারের ক্লাব ক্রিকেটকে পুনরুজ্জীবিত করা। ওয়ারউইকশায়ার সানডে স্ম্যাশ নামে অভিহিত এই প্রতিযোগিতায়, ১৬টি দলকে ৩টি বিভাগে বিভক্ত করা হয়, যেখানে জুন-জুলাই মাসব্যাপী প্রত্যেক দল নিজ বিভাগের বাকি দলগুলোর সাথে স্বাগতিক (হোম) এবং সফরকারী (অ্যাওয়ে) হিসেবে খেলবে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে রয়েছে: সলিহাল ব্লসমফিল্ড ক্রিকেট ক্লাব, নোল অ্যান্ড ডরিজ, সাটন কডফিল্ড, বেডওয়ার্থ, অ্যালচেস্টার অ্যান্ড র‍্যাগ্‌লি, স্ট্র্যাটফোর্ড আপন এভন, ওয়াল্টার অর্টন, ফোর ওক্‌স সেইন্টস, মোজলি অ্যাশফিল্ড, এবং আস্টন ম্যানর। এরা প্রত্যেকেই মিডল্যান্ড ক্লাব ক্রিকেট কনফারেন্স এর সদস্য। প্রত্যেক লীগের শীর্ষ দলগুলো এবং সেরা দ্বিতীয় দলটি নিয়ে সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে এজবাস্টনে, যুক্তরাজ্যের প্রথম ১০০-বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর ফাইনালে, নোল অ্যান্ড ডরিজ দলকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয় স্ট্র্যাটফোর্ড আপন এভন[]

ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে, ইসিবি এই পদ্ধতির সংশোধিত নিয়মাবলি ঘোষণা করে। এতে বলা হয় যে, এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ওভার হবে ১০-বলের (অর্থাৎ, দশ বল পরপর প্রান্ত বদল হবে)। একজন বোলার টানা ৫টি অথবা ১০টি বল করতে পারবেন। এক ইনিংসে একজন বোলার সর্বোচ্চ ২০টি বল করতে পারবেন। পাওয়ারপ্লে'র নিয়মাবলিও এতে উল্লেখ করা হয়।[]

শ্রপ্‌শায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব কর্তৃক জুন ২০১৯ সালে, সোয়ানকোট এনার্জি স্ম্যাশ নামক একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা করা হয়। এতে ছয়টি দলকে দুই গ্রুপে বিভক্ত করা হয়, খেলা হবে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে। প্রত্যেক গ্রুপের বিজয়ী দল, সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর শুরুর দিকে, উদ্বোধনী টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে।[] প্রতিদ্বন্দ্বী ছয়টি দল হচ্ছে শিফনাল, ক্ল্যাভার্‌লি, ব্রিজনর্থ, চেলমার্শ, এবং অমবোর্ন

পদ্ধতি

১০০-বলের ক্রিকেট সীমিত ওভারের ক্রিকেট এর একটি ধরন, যেখানে দুটি দল পালাক্রমে একশ' বলের একটি করে ইনিংস খেলে।[১০]

এই পদ্ধতিতে খেলার নিয়ম হচ্ছে:

  • প্রতি ইনিংসের দৈর্ঘ্য হবে ১০০ বল।[১১]
  • প্রতি ১০ বল পরপর পিচের প্রান্ত বদল করা হবে।[১১]
  • একজন বোলার টানা ৫টি অথবা ১০টি করে বল করতে পারবেন।[১১]
  • কোন খেলার একটি ইনিংসে একজন বোলার সর্বোচ্চ ২০টি বল করতে পারবেন।[১১]
  • প্রত্যেক বোলিং দল সর্বোচ্চ আড়াই মিনিটের একটি কৌশলগত বিরতি (স্ট্র্যাটেজিক টাইম-আউট) নেওয়ার সুযোগ পাবে।[১১]
  • প্রত্যেক ইনিংসের প্রথম ২৫টি বল পাওয়ারপ্লে'র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।[১১]
  • পাওয়ারপ্লে চলাকালে, ৩০-গজ বৃত্তের বাইরে সর্বোচ্চ দুইজন ফিল্ডার রাখা যাবে।[১১]
  • দলগুলো নিজ সুবিধামত কৌশলগত বিরতি চাইতে পারবে, যেটা ২০০৯ সাল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ-এ চালু রয়েছে।[১২]
  • একটি সরলীকৃত স্কোরবোর্ড এর প্রস্তাবনাও রাখা হয়েছে।[]

প্রতিক্রিয়া

দর্শকপ্রিয় করার অভিপ্রায়ে, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততর পদ্ধতির প্রচলন টেস্ট ক্রিকেট এর প্রতি আগ্রহ বিনষ্ট করছে এবং খেলার মান বিনষ্ট করছে বলে অনেকের আশঙ্কা রয়েছে। ১০০-বলের ক্রিকেট সম্বন্ধে কোন কোন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করেছেন যে, ইসিবি কর্তৃক প্রস্তাবিত এই পদ্ধতি "ঐ গলি"-র দিকে ক্ষুদ্র একটি পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়। অন্যদিকে, অনেকে আবার একে চমৎকার উদ্ভাবন বলে প্রশংসা করেছেন।

ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট, ২০২০ সালে এই নতুন পদ্ধতি প্রচলনের পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। রুটের মতে, এটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের দর্শকদের আকৃষ্ট করবে।[১৩] ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এউইন মরগান-ও এই পদ্ধতি সম্বন্ধে একই ধরনের মতামত প্রকাশ করেছেন।[১৪] প্রাক্তন টি-২০ অধিনায়ক স্টুয়ার্ট ব্রড বলেছেন যে, তিনি এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে ব্যাপক আশাবাদী।[১৫] ব্রডের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে মাইকেল ভন বলেন যে, এই ধারণা সম্প্রচারকদের কাছে আকর্ষণীয় হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] মাইকেল আথারটন উল্লেখ করেন যে, একটি টি-২০ ম্যাচ তিন ঘণ্টার মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, এই নতুন পদ্ধতিতে সেটা করা সম্ভব হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

নিউজিল্যান্ডের অল-রাউন্ডার জিমি নিশাম এই পদ্ধতি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন যে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কেন ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করছে যখন বর্তমানে প্রচলিত পদ্ধতি-ই এতটা জনপ্রিয়।[১৬] বর্তমান সময়ে সীমিত ওভার ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড় ডাভিড মালান এবং মার্ক উড মত প্রকাশ করেছেন যে, নতুন পদ্ধতির প্রচলন স্বত্বেও টোয়েন্টি২০-ই তাদের প্রথম পছন্দ থাকবে।[১৭]

এমসিসি'র প্রাক্তন প্রধান কিথ ব্র্যাডশ ১০০-বলের টুর্নামেন্টকে উদ্ভাবনের নামে কেবল নামকাওয়াস্তে একটা উদ্ভাবন বলে অভিহিত করে বলেছেন, ইসিবির এই পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছে টি-২০ এর ব্যাপক প্রসার চলাকালে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারা।[১৮] সার্বিকভাবে, খেলোয়াড়েরা এই নতুন ধারণার প্রতি মুক্তমনা বলেই, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস এর পেশাদার ক্রিকেটার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে।[১৯]

ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ক্রিকেটের বাণিজ্যিকীকরণ নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং তিনি এই পদ্ধতির পুরোপুরি পক্ষপাতী নন।[২০]

অন্যদিকে, বর্তমানে প্রচলিত বিগ ব্যাশ লীগ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোন অভিপ্রায় নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া'র।[২১] তারা সংশয় প্রকাশ করে বলেছে যে, আরও সংক্ষিপ্ততর পদ্ধতির সূচনা টেস্ট ক্রিকেট আরও বেশি উপেক্ষা করার শামিল।[২২] তাদের ওয়েবসাইটে পরিচালিত এক জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশেরও বেশি এই পদ্ধতির বিরোধিতা করেছেন।[১৫]

তথ্যসূত্র

  1. https://www.thehundred.com/info/competition-rules
  2. "T20: English counties vote for new eight-team competition"। BBC Sport। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৯ 
  3. Ali Martin (১৯ এপ্রিল ২০১৮)। "ECB unveils plans for tournament with 100-ball format and 10-ball special over"The Guardian। Guardian News and Media। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. Dan Roan (১৯ এপ্রিল ২০১৮)। "ECB holds talks to introduce 100-ball format to new competition"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৮ 
  5. Vithushan Ehantharajah (১৮ জুলাই ২০১৮)। "ECB appoint Trent Woodhill as consultant for its 100-ball T20 tournament"। Cricbuzz। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৮ 
  6. Elizabeth Ammon (২৬ এপ্রিল ২০১৮)। "100-ball scoreboard may be simplified to lure new fans"The Times  (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  7. Mat Collis (১১ জুন ২০১৯)। "Warwickshire Sunday Smash starts with a bang"। Warwickshire County Cricket Club। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯ 
  8. "Playing conditions for The Hundred confirmed"। ECB। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুন ২০১৯ 
  9. "County to debut 100-ball cricket this week"Shropshire Star। MNA Media। ১১ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১৯ 
  10. "100-ball cricket: New short-form competition confirmed by ECB"। BBC Sport। ২৯ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৯ 
  11. "The Hundred: ECB confirms playing conditions for new format"। BBC Sport। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৯ 
  12. Mark Hughes; Elizabeth Ammon (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Strategic timeouts to be feature of The Hundred"The Times  (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  13. George Dobell (১৯ এপ্রিল ২০১৮)। "The Hundred 'will bring new people to cricket' - Root"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০১৮ 
  14. Andrew Miller; Alan Gardner (১৯ এপ্রিল ২০১৮)। "Eoin Morgan declares himself a 'big fan' of ECB's 100-ball plans"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৮ 
  15. "Mixed reaction to ECB's '100-ball' format"Cricket.com.au 
  16. "Mixed reaction to ECB's '100-ball' format"। Cricket.com। ২০ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৮ 
  17. "Malan, Wood raise concerns over 100-ball tournament"। Cricbuzz। ৮ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৮ 
  18. Andrew Miller (২৭ এপ্রিল ২০১৮)। "Former MCC chief Keith Bradshaw queries ECB innovation for innovation's sake"Cricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৮ 
  19. Rob Johnston (৮ মে ২০১৮)। "Players remain open-minded about ECB's 100-ball proposal"। Cricbuzz। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১৮ 
  20. "Virat Kohli raises concerns over 100-ball format"Cricinfo। ESPN। ২৯ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৮ 
  21. Jon Pierik (২০ এপ্রিল ২০১৮)। "CA offers straight bat to 100-ball format"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৮ 
  22. Michael Vaughan (২১ এপ্রিল ২০১৮)। "100-ball game can prove a winner but Test cricket ignored once more"The Sydney Morning Herald। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ