হালধীয়া চরায়ে বাওধান খায়
হালধীয়া চরায়ে বাওধান খায় (The Catastrophe) | |
---|---|
পরিচালক | জাহ্নু বরুয়া |
প্রযোজক | শৈলধর বরুয়া জাহ্নু বরুয়া |
চিত্রনাট্যকার | জাহ্নু বরুয়া |
উৎস | হোমেন বরগোহাঞি-এর একেই নামের উপন্যাস |
শ্রেষ্ঠাংশে | ইন্দ্র বনিয়া পূর্ণিমা পাঠক শইকীয়া |
সুরকার | সত্য বরুয়া |
চিত্রগ্রাহক | অনুপ জোটবানী |
মুক্তি | ৩১ আগস্ট, ১৯৮৭ |
স্থিতিকাল | ১২০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | অসমীয়া |
হালধীয়া চরায়ে বাওধান খায় (ইংরেজি: The Catastrophe) ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিশিষ্ট পরিচালক জাহ্নু বরুয়ার তৃতীয় অসমীয়া চলচ্চিত্র। পাটকাই ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই ছবিটির কাহিনীভাগ হোমেন বরগোহাঞি-এর একইনামের বহু পঠিত উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ ছবির স্বর্ণকমল পুরস্কার পাওয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পুরস্কারও পেয়েছিল। ছবিটি ৩৫ মিঃমিঃতে নির্মাণ করা হয়েছিল।
কাহিনী
[সম্পাদনা]রসেশ্বর একজন দুখী চাষী। পত্নী এবং দুটি সন্তান সহ চারজনের পরিবার। সামান্য একটুকুরা জমিতে চাষবাস করে কোনরকমে জোড়া-তালি দিয়স সংসার চালায়। একফোটা বৃষ্টির আশায় সকলে আকাশপানে চেয়ে থাকে। অবশেষে বহু আকাংক্ষিত বৃষ্টির ধারা নামল। রসেশ্বর লাঙল নিয়ে হাল চষতে গেল। মাঠে গিয়েই রসেশ্বর খবর পেল যে যেটুকু জমি পুরুষানুক্রমে চাষ করে আসছে, সেই জমি এখন থেকে গাঁওয়ের প্রভাবশালী মহাজন সনাতনের। রসেশ্বর সনাতন মহাজনের কাছে ঋণগ্রস্ত ছিল। সেই ঋণ এবং তার বাবদ প্রাপ্য সুদের বিনিময়ে মহাজন জমিটি দখল করেন। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা করেন। কিন্তু রঙাফিটার মেরপাকে ন্যায় পাওয়া দূরের কথা, তিনি আরও বেশি দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এমনভাবে নির্বাচন এল। সনাতন মহাজনও নির্বাচন প্রার্থী হল। পেটের দায়ে রসেশ্বর চিরশক্র সনাতন মহাজনের হয়ে নির্বাচনে কাজ করতে বাধ্য হল। সৌভাগ্যক্রমে রসেশ্বরের মামলাটি একজন সৎ হাকিমের কাছে গেল। হাকিম দেখলেন যে ন্যায়িক যুদ্ধে রসেশ্বরের জমি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বা মামলা চালিয়ে যাওয়াও একজন কপর্দকহীন মানুষের জন্য অসম্ভব কথা। তাই হাকিম মামলা চালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অন্য একটি পন্থা দেয়। হাকিম মহাজনকে বোঝায় যে মহাজন যেহেতু একজন নির্বাচনী প্রার্থী, রসেশ্বরের বিষয়টি বিরোধীপক্ষ একটি ইস্যু করে নিতে পারে। অতএব জমিটি রসেশ্বরকে ফিরিয়ে দেয়া উচিত। মহাজন মেনে নিলেন এবং জমি ফিরিয়ে দিলেন।
অভিনয়ে
[সম্পাদনা]
|
কলাকুশলী
[সম্পাদনা]- শ্রেষ্ঠ ছবির জাতীয় পুরস্কার (স্বর্ণকমল) (১৯৮৭)
- লোকার্ণো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব:
- সিলভার লিওপার্ড
- ওয়র্ল্ড একুম্যানিকাল এওয়ার্ড
- সিটিজেন্স্ প্রাইজ
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (ইন্দ্র বনিয়া)
- টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব: এশিয়ার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার
- এমিয়েন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ফ্রান্স:
- শ্রেষ্ঠ ছবি
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা
- রাজ্য পুরস্কার: শ্রেষ্ঠ ছবি, শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা
- ভারতীয় প্যানোরামায় নির্বাচিত
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Jahnu Barua Official Website - Achivements"। ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ December 06, 2011। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)