বিষয়বস্তুতে চলুন

সুরেশ পেরেরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুরেশ পেরেরা
සුරේශ් පෙරේරා
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যানহেত্তিগে সুরেশ অশঙ্কা পেরেরা
জন্ম (1978-02-16) ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ (বয়স ৪৬)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৩)
২৭ আগস্ট ১৯৯৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২২ আগস্ট ২০০১ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৫)
১৯ জুন ১৯৯৮ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১১ ডিসেম্বর ২০০১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৫ - ২০০৩সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব
২০০৩ - ২০০৪কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব
২০০৫ - ২০০৬বাদুরেলিয়া স্পোর্টস ক্লাব
২০০৬ - ২০০৯মুরস স্পোর্টস ক্লাব
২০০৮ওয়েয়াম্বা
২০০৯কন্দুরাতা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২০ ৮৮ ১০৫
রানের সংখ্যা ৭৭ ১৯৫ ২,৪৩১ ১,৬২২
ব্যাটিং গড় ২৫.৬৬ ১৭.৭২ ২৪.০৬ ২৩.৮৫
১০০/৫০ ০/০ ০/১ ০/৭ ০/৭
সর্বোচ্চ রান ৪৩* ৫৬* ৭৮ ৯০
বল করেছে ৪০৮ ৫৭৯ ৬,৯১৪ ১,৮০৫
উইকেট ১৩ ১৪৭ ৬০
বোলিং গড় ১৮০.০০ ৪০.১৫ ২৪.৯০ ২৮.৫৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ১/১০৪ ২/২৫ ৭/৭৩ ৪/২০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৪/– ৪৪/– ২৬/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২ জুলাই ২০২০

অ্যানহেত্তিগে সুরেশ অশঙ্কা পেরেরা (সিংহলি: සුරේශ් පෙරේරා; জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিক থেকে ২০০০-এর দশকের শুরুরদিক পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাদুরেলিয়া স্পোর্টস ক্লাব, কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব, মুরস স্পোর্টস ক্লাব, সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব ও ওয়েয়াম্বা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন সুরেশ পেরেরা

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

কলম্বোভিত্তিক ইসিপাথানা কলেজ থেকে পড়াশুনো সম্পন্ন করেন। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সুরেশ পেরেরা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮ সালে সফররত ইংল্যান্ড এ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন ও প্রথম সকলের কাছে নিজেকে পরিচিত করে তুলেন।

ডিসেম্বর, ১৯৯৫ সাল থেকে অক্টোবর, ২০০৯ সাল পর্যন্ত ঘরোয়া পর্যায়ের খেলায় সাতটি ভিন্ন ভিন্ন দলের সাথে খেলেছেন তিনি। তবে, খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ খেলাই কলম্বোভিত্তিক সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন।

ডিসেম্বর, ১৯৯৫ সালে ১৭ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সুরেশ পেরেরা’র অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সারাভানামুত্তু ট্রফি প্রতিযোগিতায় সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের সদস্যরূপে দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[] ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।[] ১৯.০৩ গড়ে ২৯ উইকেট পান।[] এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা এ দলের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ লাভ করেন।[]

ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে সুরেশ পেরেরা তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন ৭৮। ২০০০-০১ মৌসুমের প্রিমিয়ার চ্যাম্পিয়নশীপে মুরস স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে এ রান তুলেন।[][]

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কা এ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে তিনি তার ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ৭/৭৩ পান তিনি।[][]

২০০২-০৩ মৌসুম শেষে সিংহলীজ ক্লাব ত্যাগ করেন। এরপর, ২০০৩-০৪ ও ২০০৪-০৫ মৌসুমে কলম্বো সিসি’র পক্ষে খেলেন। এরপর, ২০০৫-০৬ মৌসুমে বাদুরেলিয়া এসসি’র পক্ষে খেলার পর ২০০-৭-০৮ মৌসুম থেকে ২০০৯-১০ মৌসুম পর্যন্ত মুরসের সদস্য হন। পাশাপাশি, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে টুয়েন্টি২০ দল যথাক্রমে ওয়েয়াম্বাকন্দুরাতার সদস্য হন।[] অক্টোবর, ২০০৯ সালে সর্বশেষ বড় ধরনের খেলায় অংশ নেন। প্রিমিয়ার লিমিটেড ওভার্স টুর্নামেন্টে মুরসের সদস্যরূপে রাগামা সিসি’র পক্ষে খেলেন তিনি।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও বিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সুরেশ পেরেরা। ২৭ আগস্ট, ১৯৯৮ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২২ আগস্ট, ২০০১ তারিখে ক্যান্ডিতে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৮ সালে সিঙ্গার-আকাই নিদাহাস ট্রফি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় সুরেশ পেরেরা’র। ভারতের বিপক্ষে দুইটি ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[]

ইংল্যান্ড গমন

[সম্পাদনা]

১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে ওভাল টেস্টে তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অ্যালেক স্টুয়ার্টের উইকেট লাভের পাশাপাশি নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনোদনধর্মী খেলা উপহার দিয়ে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন।[] এ ইনিংস খেলাকালীন রেকর্ডসংখ্যক ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকান। তন্মধ্যে একটি ছক্কার মার ছিল। ড্যারেন গফ, অ্যাঙ্গাস ফ্রেজারডমিনিক কর্কের ন্যায় পেস বোলার সমৃদ্ধ দলের বোলিং মোকাবেলা করে এ সংগ্রহ গড়েন।[১০]

ঐ বছর শেষে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে সুরেশ পেরেরা শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিত্ব করেন। ব্রোঞ্জপদকের ন্যায় স্থান নির্ধারণী খেলায় নিউজিল্যান্ডের কাছে তার দল পরাজয়বরণ করেছিল।[]

ভারতের মুখোমুখি

[সম্পাদনা]

বেশ কয়েক মৌসুম পিঠের হাড়ের ফাটলের কারণে স্বাভাবিক খেলা উপস্থাপন করতে পারেননি। তাসত্ত্বেও, ভারত, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ২০০১ সালের কোকা-কোলা কাপ ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরে আসেন।[১১] এ প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কার সাতটি খেলার সবকটিতেই তার অংশগ্রহণ ছিল।[১২] তন্মধ্যে, দ্বিতীয় খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ২৮ রান সংগ্রহ করেন। অষ্টম উইকেট জুটিতে কুমার ধর্মসেনা’র (২৬) সাথে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। এরপর, ভারতের ইনিংসের প্রথম দুই উইকেট করায়ত্ত্ব করেন।[১৩]

বিতর্কিত ভূমিকা

[সম্পাদনা]

এরপর, ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কায় সফররত ভারত দলের বিপক্ষে তিন টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের দুই টেস্টে খেলেন তিনি।[] এক পার্শ্ব থেকে চটপটে ভঙ্গীমায় বোলিং করার কারণে পরিচিতি পেয়েছিলেন।[১৪] গালেতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টসহ ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্ট শেষে স্টিভ বাকনর তার বোলিংয়ে সন্দেহতা প্রকাশ করে প্রতিবেদন লেখেন।[১৫] পূর্ববর্তী ঘরোয়া মৌসুমে অশোকা ডি সিলভাও তার সম্পর্কে প্রতিবেদন লিখেছিলেন।[১৬] এরপর, তার বোলিং ভঙ্গীমা পরিবর্তন করে ডিসেম্বর, ২০০১ সালে খেলেন। এ পর্যায়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।[১০][১৭] একই দলের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় অংশ নেন। এটিই তার সর্বশেষ টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ ছিল।[] ২০০১ সালের এলজি অ্যাবেন্স ত্রিদেশীয় সিরিজে দুইটি ওডিআইয়ে অংশ নেন। এগুলোও তার সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা ছিল।[]

কিন্তু, এরপর এক বছরেরও অধিক সময় পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত হন ও খেলার বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। ২০০০-০১ মৌসুমে খেলার জগতে ফিরে আসেন। সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে খেলেন ও জুলাই, ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত কোকা-কোলা কাপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এরপর, আগস্ট, ২০০১ সালে ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে তার অংশগ্রহণ ছিল। নিজ দেশে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একটি খেলায় অপরাজিত ৫৬ রান করেন। তবে, বল হাতে বেশ নাকানিচুবানি খান।

কোচ ডেভ হোয়াটমোরের অভিমত, শ্রীলঙ্কার সর্বাপেক্ষা সহজাত অল-রাউন্ডার হিসেবে সুরেশ পেরেরা এক সময় নিজেকে চিত্রিত করেছিলেন। তার প্রতিভা বিকাশে তিনি কিছুটা সুযোগ দিয়েছিলেন। ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার সুরেশ পেরেরা ক্ষিপ্রগতিভাব বজায় রেখে বলকে সুইং করানোয় দক্ষ ছিলেন। চক্ষু ইন্দ্রিয়কে কাজে লাগিয়ে বল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রান তুলতে পারতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। ২০০০-এর দশকের শেষদিকে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থে চলে যান। ঐ শহরে সস্ত্রীক বসবাস করছেন। ক্রিকেট খেলায় যুক্ত থেকে অবসর সময়ে শ্রীলঙ্কায় ব্যাংক টেলার হিসেবে কাজ করছেন। নিজস্ব ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পূর্বে বেয়ারা ও ফোর্কলিফ্ট চালক হিসেবে কাজ করেছেন।[১০] ২০১৩-১৪ মৌসুমে পার্থের স্থানীয় প্রতিযোগিতায় বাসেনডিন ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।[১৮]

পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]
ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
ভারত আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো ২২ জুলাই, ২০০১ ২৮ (৩১ বল: ১x৪, ১x৬); ৬-০-২৬-২, ১ কট  শ্রীলঙ্কা ৬ রানে বিজয়ী[১৯]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. First-class matches played by Suresh Perera (88) – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  2. First-class batting and fielding in each season by Suresh Perera – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  3. First-class bowling in each season by Suresh Perera – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  4. Moors Sports Club v Sinhalese Sports Club, Premier Championship 2000/01 (Group B) – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  5. Northamptonshire v Sri Lanka A, Sri Lanka A in England 1999 – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  6. Teams Suresh Perera played for – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  7. List A matches played by Suresh Perera (105) – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  8. ODI matches played by Suresh Perera (20) – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  9. Test matches played by Suresh Perera (3) – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  10. Tristan Lavalette (12 May 2014). "Bassendean's Sri Lankan star who wasn't" – ESPNcricinfo. Retrieved 13 May 2014.
  11. S. Dinakar (24 July 2001). "Can New Zealand solve the Muralitharan puzzle?" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ মে ২০১৪ তারিখে – The Hindu. Retrieved 13 May 2014. Retrieved 13 May 2014.
  12. Batting and fielding for Sri Lanka in Coca-Cola Cup (Sri Lanka) 2001 – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  13. Sri Lanka v India, Coca-Cola Cup (Sri Lanka) 2001 – CricketArchive. Retrieved 13 May 2014.
  14. Suresh Perera playing profile and statistics – ESPNcricinfo. Retrieved 13 May 2014.
  15. BCCSL (18 August 2001). "Suresh Perera reported for suspect action" – ESPNcricinfo. Retrieved 13 May 2014.
  16. Charlie Austin (21 August 2001). "Sri Lanka coach throws support behind reported bowler" – ESPNcricinfo. Retrieved 13 May 2014.
  17. (6 December 2001). "Perera back for Sri Lanka" – BBC News. Retrieved 13 May 2014.
  18. Tristin Lavalette (6 March 2014). "What happened to Sri Lanka’s Suresh Perera?" – The Roar. Retrieved 13 May 2014.
  19. "2001-2002 Coca-Cola Cup (Sri Lanka) - 3rd Match - Sri Lanka v India - Colombo" 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]