অমল সিলভা
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | সম্পাথওয়াদুগে অমল রোহিতা সিলভা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মোরাতুয়া, শ্রীলঙ্কা | ১২ ডিসেম্বর ১৯৬০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৩) | ১১ মার্চ ১৯৮৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৫ আগস্ট ১৯৮৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৩৯) | ৩ নভেম্বর ১৯৮৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ অক্টোবর ১৯৮৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ অক্টোবর ২০১৬ |
সম্পাথওয়াদুগে অমল রোহিতা সিলভা (তামিল: அமல் சில்வா; জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯৬০) মোরাতুয়ায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন অমল সিলভা।
দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক ছিলেন।[১] এছাড়াও বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামতেন ও ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে মোরাতুয়া স্পোর্টস ক্লাব, নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব, শ্রীলঙ্কা কোল্টস একাদশ, গালে ডিস্ট্রিক্টস ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আমন্ত্রিত একাদশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।
মোরাতুয়ার প্রিন্স অব ওয়েলস কলেজ ও কলম্বোর সেন্ট পিটার্স কলেজের সাবেক ছাত্র তিনি।[২]
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা]১১ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিন্তু ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। তবে ঐ টেস্টে ২ ক্যাচ নিয়েছিলেন।
প্রথম পছন্দের গ্লাভসম্যান হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্তির জন্য তাকে সদাসর্বদাই গাই ডি অলউইসের সাথে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হয়েছে। কিন্তু ১৯৮৪ সালে অলউইসের আঘাতপ্রাপ্তি তার জন্য শাপেবর এনে দেয়। দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান ও অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। লর্ডসে তার দৃঢ়তাপূর্ণ নৈপুণ্যে ড্র করতে সমর্থ হয়।[৩] তার প্রথম সেঞ্চুরির ফলে তিনি নিজস্ব প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ৯১ রান টপকে যান। এ সেঞ্চুরিটি তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম ছিল।[৪] এছাড়াও উইকেটের পিছনে অবস্থান করে তিন ক্যাচ নেন।
ভারতের বিপক্ষে এসএসসিতে ৯ ক্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ড্র এনে দেন। দ্বিতীয় টেস্টে অবিস্মরণীয় অল-রাউন্ড নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ১১১ রানসহ, ৮ ক্যাচ ও ১ স্ট্যাম্প নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। কিন্তু এই অপ্রত্যাশিত সাফল্যের পর তার খেলোয়াড়ী জীবন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। নতুন বলের বিপক্ষে তাকে নিদারুণ সংঘাতের মুখোমুখি হতে হয় ও উইকেট-রক্ষণেও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডবিহীন হয়ে পড়ে। ফলশ্রুতিতে এ সিরিজের পর ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার জন্য দল নির্বাচকমণ্ডলীকে বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। এরপর অবশ্য ১৯৮৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একটিমাত্র টেস্টের মাধ্যমে দলে ফিরে আসলেও তা যথেষ্ট ছিল না।[৫] কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ডের পক্ষে উইকেট-রক্ষণে বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছিলেন।[৬]
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট
[সম্পাদনা]খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর দুই মেয়াদে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের চার সদস্যবিশিষ্ট দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। ২০০৭ সালে প্রথমবার ও ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হন তিনি।[৭] তন্মধ্যে, ২০১১ সালে তার দল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে। কিন্তু ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে ২০১২ সালে পদত্যাগ করেন তিনি। ৩ মে, ২০১২ তারিখে এক প্রতিবেদককে জানান যে, আমি আমার পদত্যাগপত্র ক্রীড়ামন্ত্রীর বরাবরে প্রেরণ করেছি।[৮] তার পরিবর্তে অশান্ত ডিমেল, ডন অনুরাসিরি এবং হেমন্ত বিক্রমারত্নের যে-কোন একজন সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে আসীন হবেন বলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এক কর্মকর্তা জানান।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Aravinda de Silva takes over as chief selector, Sa'adi Thawfeeq, Sri Lanka news May 26, 2010, retrieved: 14 October, 2016
- ↑ "Cambrians field a formidable team this year"। ২০ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Sri Lanka's impressive Lord's debut, Martin Williamson
- ↑ player profile of Amal Silva in cricketarchive
- ↑ player profile of Amal Silva in espncricinfo,Johann P Jayasekera, Sep 1999[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Aravinda de Silva takes over as chief selector, Sa'adi Thawfeeq, Sri Lanka news May 26, 2010
- ↑ Amal Silva resigns as Sri Lanka selector
- ↑ SL cricket selector Amal Silva leaves panel
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- সুরঙ্গা লকমল
- উইকেট-রক্ষক
- শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল
- ২০১৩-১৪ সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বনাম শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে অমল সিলভা (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে অমল সিলভা (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৯৬০-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার
- মোরাতুয়া স্পোর্টস ক্লাবের ক্রিকেটার
- শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
- শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্রিকেটার
- শ্রীলঙ্কার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- শ্রীলঙ্কান উইকেট-রক্ষক
- মোরাতুয়ার ব্যক্তিত্ব
- সেন্ট পিটার্স কলেজ, কলম্বোর প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- প্রিন্স অব ওয়েলস কলেজ, মোরাতুয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- উইকেট-রক্ষক