সিন্ধু নদ
সিন্ধু নদ (دريائے سِندھ (Darya-e-sindh)) | |
সিন্ধু নদীর স্যাটেলাইট ইমেজ
| |
দেশ | পাকিস্তান (৯৩%) ভারত (৫%) চীন (২%) |
---|---|
উপনদী | |
- বাঁদিকে | জান্সকার নদী, চন্দ্রভাগা নদী, শতদ্রু নদী, সোন নদী, বিপাশা নদী, ইরাবতী নদী, দ্রাস নদী, সুরু নদী, ঝিলাম নদী, কৃষ্ণগঙ্গা নদী |
- ডানদিকে | শোক নদী, গিলগিট নদী, কাবুল নদী, কররাম নদী, গোমাল নদী |
নগরসমূহ | লেহ, শুক্যুর, হায়দ্রাবাদ, ডেরা ইসমাইল খান |
Primary source | Sênggê Zangbo |
- অবস্থান | তিব্বতীয় মালভূমি |
Secondary source | Gar |
- location | Tibetan Plateau |
মোহনা | আরব সাগর |
- অবস্থান | সিন্ধু বদ্বীপ, পাকিস্তান |
- উচ্চতা | ০ মিটার (০ ফিট) |
- স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৯′৪০″ উত্তর ৬৭°২৫′৫১″ পূর্ব / ২৩.৯৯৪৪৪° উত্তর ৬৭.৪৩০৮৩° পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৩,২০০ কিলোমিটার (১,৯৮৮ মাইল) |
অববাহিকা | ১১৬৫০০০ বর্গকিলোমিটার (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "১"। বর্গমাইল) |
প্রবাহ | for আরব সাগর |
- গড় | ৬৬০০ m³/s (এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "৬"। ft³/s) |
সিন্ধু নদী অববাহিকার মানচিত্র
|
সিন্ধু নদ (উর্দু: دریائے سندھ দরিয়া-এ-সিন্ধ; সিন্ধি: سنڌو درياھ সিন্ধু দরিয়াহ; সংস্কৃত / হিন্দি: सिन्धु সিন্ধু; ফার্সি: سند সিন্দ; পাঞ্জাবী: سندھ / ਸਿੰਧ সিন্ধ) পাকিস্তানের দীর্ঘতম এবং গুরুত্বপূর্ণ নদ এবং ভারত উপমহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নদনদীগুলোর একটি যার নাম অনুসারে ভারতের নাম ইংরেজিতে ইন্ডিয়া বা ফার্সিতে হিন্দ/হিন্দুস্তান হয়েছে। সিন্ধু নদী (সিন্ধু নামেও পরিচিত) এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদী। মানস সরোবর -এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় তিব্বতীয় মালভূমি থেকে উদ্গত হয়ে নদীটি জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলের মধ্য দিয়ে গিলগিট-বালতিস্তান ও হিন্দুকুশ সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয় এবং তারপর সিন্ধে করাচির বন্দর নগরীর নিকটবর্তী আরব সাগরে মিলিত হবার জন্য সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে দক্ষিণ অভিমুখে প্রবাহিত হয়।[১][২] এটি পাকিস্তানের দীর্ঘতম নদী এবং জাতীয় নদী। [৩]
নদীটির মোট নিষ্কাশন ক্ষেত্র ১,১৬৫,০০০ কিমি ২ (৪৫০,০০০ বর্গ মাইল) অতিক্রম করেছে। এর আনুমানিক বার্ষিক প্রবাহ প্রায় ২৪৩ কিলোমিটার (৫৮ কিলোমিটার), যা নীল নদীর দ্বিগুণ এবং টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটস নদীগুলির মিলিত প্রবাহের তিনগুণ, যা বার্ষিক প্রবাহের দিক দিয়ে বিশ্বের ২১তম বৃহত্তম নদী সৃষ্টি করেছে। [৪] লাদাখে জানসকার বাম তীরভূমির উপনদী। সমভূমিতে, বাম তীরভূমির উপনদী পাঞ্জনাড যার নিজের পাঁচটি প্রধান উপনদী রয়েছে, যথা চন্দ্রভাগা/চেনব, বিতস্তা/ঝিলাম, ইরাবতী, বিপাশা এবং শতদ্রু[৫]। এর প্রধান দক্ষিণ তীরবর্তী শাখাগুলি হল শোক, গিলগিট, কাবুল, গোমল এবং কুররাম। পর্বতীয় ঝরনা থেকে নির্গত এবং হিমবাহ এবং হিমালয়ের নদীসমূহের দ্বারা প্রতিপালিত নদী সমৃদ্ধ বনভূমি, সমতলভূমি এবং অনুর্বর গ্রামাঞ্চলের বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ করে।
উপনদীগুলিসহ সিন্ধু উপত্যকার উত্তর অংশ,পাঞ্জাব অঞ্চল গঠন করে, যদিও সিন্ধু নিচের গতিপথ যা সিন্ধ নামে পরিচিত একটি বৃহৎ বদ্বীপে শেষ হয়। ঐ অঞ্চলের অনেক সংস্কৃতির জন্য নদীটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ৩য় সহস্রাব্দ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ব্রোঞ্জ যুগীয় একটি প্রধান শহুরে সভ্যতার উত্থান দেখেছে। দ্বিতীয় সহস্রাব্দে পাঞ্জাব অঞ্চল, হিন্দু ঋকবেদের স্তবগানে, সপ্ত সিন্ধু হিসাবে উল্লেখিত এবং পারশী আবেস্তারে হ্যাপ্টা হিন্দু (উভয় শব্দ "সাত নদী" ) হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সিন্ধু উপত্যকায় উদ্ভূত প্রথম ঐতিহাসিক রাজ্যগুলিতে গান্ধার এবং সৌবীর রর রাজবংশ অন্তর্ভুক্ত। সিন্ধু নদীটি প্রাচীনকালের প্রারম্ভিক সময়ের পাশ্চাত্যের জ্ঞান নিয়ে এসেছিল, যখন আনুমানিক. ৫১৫ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে, পারস্যের রাজা দারিয়াস তার গ্রিক অনেষ্বক সির্যালেক্স অফ করিয়্যান্ডকে নদীর অনুসন্ধান করতে পাঠিয়েছিলেন।
সিন্ধু এবং ভারতের নাম
[সম্পাদনা]ভারত "সিন্ধু নদের দেশ" এর জন্য একটি গ্রিক এবং ল্যাটিন শব্দ। যে অঞ্চলের মধ্য দিয়ে নদীটি সমুদ্রে মিশেছে সেটি সিন্ধু নামে পরিচিত এবং এই নাম নদীটির (সংস্কৃত সিন্ধু) নাম থেকে নেওয়া। .[৬]
মেগাস্থেনিসের বই ইন্ডিকা নামটি, নদীটির গ্রিক নাম, "ইন্দোস" (Ἰνδός) থেকে এসেছে এবং Nearchusএর সমকালীন বিবরণটি বর্ণনা করে যে, আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট নদী অতিক্রম করে এসেছিলেন। প্রাচীন গ্রিকরা ভারতীয়দের (বর্তমানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ভারত ও পাকিস্তানের জনগণ) "ইন্ডোই" (Ἰνδοί) হিসাবে উল্লেখ করেছেন, যা আক্ষরিক অর্থে "সিন্ধুর মানব"।[৭]
ঋগ্বেদ ও সিন্ধু
[সম্পাদনা]ঋগ্বেদ কয়েকটি পৌরাণিক নদীর বর্ণনা করে, যার মধ্যে "সিন্ধু" একটি। ঋগ্বেদিয় "সিন্ধু" বর্তমানের সিন্ধু নদ বলে মনে করা হয় এবং তার পাঠ্যাংশে ১৭৬ বার প্রত্যায়িত হয় - বহুবচন হিসাবে ৯৫ বার, প্রায়শই জাতিগত অর্থে ব্যবহৃত হয়। ঋগ্বেদে, পরের দিকের স্তোত্রে বিশেষত সিন্ধু নদকে বোঝানোর জন্য শব্দটির অর্থ সীমাবদ্ধ করা হয়, যেমন নদীস্তুতি শুক্তা বন্দনায় উল্লিখিত হয়েছে নদীগুলির তালিকা। ঋগ্বেদীয় স্তোত্রগুলিতে সমস্ত নদীগুলি স্ত্রীলিঙ্গ প্রয়োগ করে উল্লিখিত কিন্তু "সিন্ধু" একমাত্র নদী যাকে পুংলিঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যার অর্থ সিন্ধু সমগ্র নদীর মধ্যে সাহসী এবং অন্যান্য সমস্ত নদীগুলির মধ্যে সর্বশ্রষ্ঠ।
ভূগোল
[সম্পাদনা]উপ নদী
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Blankonthemap The Northern Kashmir WebSite
- Bibliography on Water Resources and International Law ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে See Indus River. Peace Palace Libray
- Northern Areas Development Gateway
- The Mountain Areas Conservancy Project
- Indus River watershed map (World Resources Institute) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে
- Indus Treaty
- Baglihar Dam issue ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৭ জুন ২০০৫ তারিখে
- Indus
- Indus Wildlife
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Swain, Ashok (২০০৪)। Managing Water Conflict: Asia, Africa and the Middle East। Routledge। পৃষ্ঠা 46। আইএসবিএন 1135768838।
1,800 miles long river after flowing out of Tibet through the Himalayas enters Jammu and Kashmir in India and then moves into Pakistan
- ↑ The Indus Basin of Pakistan: The Impacts of Climate Risks on Water and Agriculture। World Bank publications। পৃষ্ঠা 59। আইএসবিএন 9780821398753।
- ↑ "Geography: The rivers of Pakistan"। Dawn। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Indus water flow data in to reservoirs of Pakistan"। ৬ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Jaishree Devi (২০০৮)। Myar Anchal (Bengali)। Northern Book Centre। পৃষ্ঠা 10–। আইএসবিএন 978-81-7211-250-9।
- ↑ "An A-Z of country name origins | OxfordWords blog"। OxfordWords blog (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৫-১৭। ২০১৭-০৭-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৬-২৩।
- ↑ Kuiper 2010, পৃ. 86।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |