সলোমন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
দলের লোগো
ডাকনামবনিতো
অ্যাসোসিয়েশনসলোমন দ্বীপপুঞ্জ ফুটবল ফেডারেশন
কনফেডারেশনওএফসি (ওশেনিয়া)
প্রধান কোচস্ট্যানলি ওয়াইটা
অধিনায়কবেঞ্জামিন টটোরি
সর্বাধিক ম্যাচহেনরি ফা'আরোদো (৬১)
শীর্ষ গোলদাতাকমিন্স মেনাপি (৩৪)[১]
মাঠলোসন টামা স্টেডিয়াম
ফিফা কোডSOL
ওয়েবসাইটwww.siff.com.sb
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৩২ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[২]
সর্বোচ্চ১২০ (অক্টোবর ২০০৭, এপ্রিল ২০০৮)
সর্বনিম্ন২০০ (জানুয়ারি–মার্চ ২০১৬)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৩৬ বৃদ্ধি ২৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[৩]
সর্বোচ্চ১০৯ (সেপ্টেম্বর ২০০৫)
সর্বনিম্ন১৭৭ (নভেম্বর ২০১৬)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ৬–৩ নতুন হেব্রিডিজ 
(ফিজি; ৩০ আগস্ট ১৯৬৩)
বৃহত্তম জয়
 সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ১৬–০ কুক দ্বীপপুঞ্জ 
(তাহিতি; ২১ আগস্ট ১৯৯৫)
বৃহত্তম পরাজয়
 তাহিতি ১৮–০ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ 
(ফিজি; ৮ ডিসেম্বর ১৯৬৩)
ওএফসি নেশন্স কাপ
অংশগ্রহণ৭ (১৯৮০-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যরানার-আপ (২০০৪)

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Solomon Islands national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৬৩ সালের ৩০শে আগস্ট তারিখে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; ফিজিতে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ নতুন হেব্রিডিজকে কাছে ৬–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।

২৫,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট লোসন টামা স্টেডিয়ামে বনিতো নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হোনিয়ারায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্ট্যানলি ওয়াইটা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বায়ের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় বেঞ্জামিন টটোরি

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, ওএফসি নেশন্স কাপে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এপর্যন্ত ৭ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০০৪ ওএফসি নেশন্স কাপের ফাইনালে পৌঁছানো, উক্ত দুই লেগের ফাইনালে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে সামগ্রিকভাবে ১১–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

হেনরি ফা'আরোদো, বেঞ্জামিন টটোরি, হাদিসি অঁগারি, কমিন্স মেনাপি এবং গেগামে ফেনির মতো খেলোয়াড়গণ সলোমন দ্বীপপুঞ্জের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১২০তম) অর্জন করে এবং ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০০তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১০৯তম (যা তারা ২০০৫ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৭৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৩০ অপরিবর্তিত  মালয়েশিয়া ১১২২.৮৭
১৩১ অপরিবর্তিত  মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ১১২১.৩৪
১৩২ অপরিবর্তিত  সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ১১১৩.৫৭
১৩৩ অপরিবর্তিত  রুয়ান্ডা ১১০৭.০৪
১৩৪ অপরিবর্তিত  নিকারাগুয়া ১১০৪.২৬
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[৩]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৩৫ হ্রাস ১২  সিয়েরা লিওন ১৩১১
১৩৬ বৃদ্ধি  রুয়ান্ডা ১৩০৮
১৩৬ বৃদ্ধি ২৪  সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ১৩০৮
১৩৮ বৃদ্ধি  মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ১৩০৬

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১৩
ফ্রান্স ১৯৯৮ ২২ ২৩
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ ১৭ ১০
জার্মানি ২০০৬ ১১ ২৪ ১৮
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ২৩
ব্রাজিল ২০১৪ ১১ ১০ ২৭
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ১১ ১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৫৪ ২১ ২৪ ১১২ ১১৫

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Soccer: the Ultimate Guide। DK Publishing। ১৯ এপ্রিল ২০১০। পৃষ্ঠা 108। আইএসবিএন 978-0-7566-6318-6। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  3. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]