হোনিয়ারা

স্থানাঙ্ক: ৯°২৫′৫৫″ দক্ষিণ ১৫৯°৫৭′২০″ পূর্ব / ৯.৪৩১৯৪° দক্ষিণ ১৫৯.৯৫৫৫৬° পূর্ব / -9.43194; 159.95556
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হোনিয়ারা
হোনিয়ারা
হোনিয়ারা
হোনিয়ারার পতাকা
পতাকা
হোনিয়ারা গুয়াদোকানাল-এ অবস্থিত
হোনিয়ারা
হোনিয়ারা
গুয়াদোকানাল দ্বীপে হোনিয়ারা অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৯°২৫′৫৫″ দক্ষিণ ১৫৯°৫৭′২০″ পূর্ব / ৯.৪৩১৯৪° দক্ষিণ ১৫৯.৯৫৫৫৬° পূর্ব / -9.43194; 159.95556
দেশ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
প্রদেশহোনিয়ারা শহর
দ্বীপগুয়াদালকানাল
সরকার
 • নগরপালইসরায়েল মায়েওলি
আয়তন
 • মোট২২ বর্গকিমি (৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা২৯ মিটার (৯৫ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১৭)
 • মোট৮৪,৫২০
 • জনঘনত্ব৩,৮০০/বর্গকিমি (১০,০০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলUTC (ইউটিসি+১১)
জলবায়ুAf

হোনিয়ারা (ইংরেজি: Honiara) দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত সার্বভৌম দ্বীপরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী। এটি গুয়াদালকানাল দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে মাতানিকো নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি বন্দর শহর ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে নারিকেল, পামগাছ থেকে প্রস্তুতকৃত দ্রব্য, মাছ ও কাঠের ব্যবসা আছে। এছাড়া দ্বীপের মধ্যভাগে অবস্থিত গোল্ড রিজ এলাকা থেকে প্রাপ্ত কিছু স্বর্ণেরও বাণিজ্য হয়। শহরের পূর্বদিকে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের আগে হোনিয়ারার কোনও অস্তিত্ব ছিল না। যুদ্ধের সময় এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটি ও সদর দফতর প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে এখানে একটি লোকালয় গড়ে ওঠে। তুলাগি নামের শহরের পরিবর্তনে ১৯৫২ সালে হোনিয়ারাকে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণাধীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজধানীতে পরিণত হয়। ১৯৭৮ সালে দ্বীপগুলি স্বাধীনতা লাভ করলে এটি নব্যসৃষ্ট রাষ্ট্রেরও জাতীয় রাজধানীর মর্যাদা পায়। পয়েন্ট ক্রুজ নামক সমুদ্র এলাকার পেছনে সরু একটি উপকূলীয় এক চিলতে ভূখণ্ডে সরকারী ভবনগুলি দাঁড়িয়ে আছে। শহরটি কুকুম মহাসড়কের উপরে অবস্থিত, যা ব্যবহার করে বিমানবন্দরে পৌঁছানো যায়। ১৯৬০-এর দশকে সরকারী ও বেসরকারী খাতের সংস্থাগুলি নতুন রাজধানীকে উন্নয়নের বিরাট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১৯৮০-এর দশকে প্রথম বহুতল ভবনগুলি নির্মাণ করা হয়।

১৯৯০-এর দশকের শেষভাগ থেকে হোনিয়ারা শহরটি জাতিগত সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দাঙ্গার শিকার হয়ে আসছে। ২০০০ সালে একটি ক্যু-এর প্রচেষ্টা হলে বিদ্রোহ শুরু হয় এবং জাতিগত মালাইতান এবং গুয়াদালকানালের আদিবাসীদের দুই দলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় নির্বাচন-পরবর্তী দাঙ্গা-হাঙ্গামাতে হোনিয়ারার চীনা-অধ্যুষিত এলাকা বা চায়নাটাউনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এখানে প্রায় ৮৪ হাজার লোকের বাস। হোনিয়ারার জনগণের সিংহভাগ খ্রিস্টান। এখানকার জলবায়ু ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য প্রকৃতির।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]