শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ
প্রাক্তন নাম | বরিশাল মেডিকেল কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | শেখার জন্যে প্রবেশ করো; সেবার জন্যে বেরিয়ে যাও॥ |
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল |
স্থাপিত | ১৯৬৮(ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ১৯৬৪[১] |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়[১] |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফয়জুল বাশার |
পরিচালক | ডাঃ সাইফুল ইসলাম |
শিক্ষার্থী | এমবিবিএসঃ ২২০ ও বিডিএসঃ ৫২ (সেশনপ্রতি) |
স্নাতক | এমবিবিএস, বিডিএস |
স্নাতকোত্তর | এমফিল, ডিপ্লোমা |
অবস্থান | , ২২°৪১′১৭″ উত্তর ৯০°২১′৪০″ পূর্ব / ২২.৬৮৮° উত্তর ৯০.৩৬১° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | আবাসিক |
সংক্ষিপ্ত নাম | শেবামেক/এসবিএমসি/শেবাচিম |
ওয়েবসাইট | sbmc |
https://www.sbmc.edu.bd/ |
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সংক্ষেপে শেবাচিম) বাংলাদেশের দক্ষিণের বিভাগীয় শহর বরিশাল এর দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।[২] সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; পুরোনো আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. এবং বি.ডি.এস. কোর্সে শিক্ষাকার্যক্রমে প্রতিবছর যথাক্রমে ২২০ ও ৫২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে।
অবস্থান
[সম্পাদনা]এই প্রতিষ্ঠানটি বরিশাল শহরের দক্ষিণ আলেকান্দায় অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।১৯৬৮ সালে এতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। স্থাপনকালীন এর নাম ছিলো বরিশাল মেডিকেল কলেজ যা পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে বরিশালের মহান নেতা, শের-ই-বাংলা (অর্থঃ 'বাংলার বাঘ') নামে খ্যাত আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে নামকরণ করা হয়।[৩]
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]এখানে রয়েছে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল,ত্রিশ শয্যা বিশিষ্ট বার্ণ এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট,দশ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ।রয়েছে একটি একাডেমিক ভবন ৩টি ছাত্রাবাস, ২টি ছাত্রী নিবাস, ২টি ইন্টার্নী ডক্টরস হস্টেল, ১টি নার্সিং কলেজ, ১টি নার্সিং ছাত্রীনিবাস, ১টি নার্সিং ছাত্রাবাস,১ টি ইনষ্টিটিউট অব হেলথ্ টেকনোলজী ভবন, ১টি হেলথ্ টেকনোলজি ছাত্রাবাস, ১ টি হেলথ্ টেকনোলজি ছাত্রীনিবাস,
১টি মসজিদ, ১টি জিমনেসিয়াম,সুবিশাল খেলার মাঠ।ক্যাম্পাসের মধ্যে ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস,আর এইচ স্টেপ,মর্গ,ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার,ডটস কর্ণার রয়েছে।কলেজের সামনে একটি শহিদ মিনার রয়েছে,আছে একটি মুক্তমঞ্চ;এছাড়া গোল্ডেন জুবিলি উদ্যাপনের স্মারক স্তম্ভ ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে।২০২০ সালে করোনা বিভাগ এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৮ টি আইসিউ শয্যা ও ১৫০ ট বেড নিয়ে।
অনুষদ ও বিভাগ
[সম্পাদনা]এর শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের অধীনে পরিচালিত হয়।রয়েছে ১৯টি বিভাগ,৪টি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিন মাল্টিমিডিয়া লেকচার গ্যালারি,একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি,স্টুডেন্টস রিডিং রুম,ডক্টরস রিডিং রুম,সাইবার ক্যাফে,টিচারস লাউঞ্জ ও ডরমিটরি।
ভর্তি
[সম্পাদনা]প্রতি বছর এখানে ২৫২জন ছাত্র-ছাত্রী গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে (এমবিবিএস ও বিডিএস) ভর্তি হন। এখানে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন কোর্স হিসেবে রয়েছে এমফিল ও ডিপ্লোমা। এছাড়াও প্রতি বছর ১০০ জন ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং এ ভর্তি হয় এবং ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এ ৮০ এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারিতে ২৫ জন ভর্তি হয়।
সংগঠন
[সম্পাদনা]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]- ডাঃ শাহজাহান(মুক্তিযোদ্ধা)
সেক্টর মেডিকেল অফিসার,৯ নং সেক্টর
- অধ্যাপক ডাঃ শরফুদ্দিন আহমেদ
ভিসি,বিএসএমএমইউ
- অধ্যাপক ডাঃ মোমেনুজ্জামান
কার্ডিওলজিস্ট
- অধ্যাপক ডাঃ জাহাঙ্গীর কবীর
কার্ডিয়াক সার্জন
- অধ্যাপক ডাঃ গণি মোল্লা
ডিরেক্টর,নিটোর
- অধ্যাপক ডাঃ মীর জামাল আহমেদ
ডিরেক্টর,জাতীয় হ্রদরোগ ইন্সটিটিউট।
ফটো গ্যালারি
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ মো. আবদুল লতিফ (২০১২)। "শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "মেডিকেল কলেজ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "ABOUT SBMC"। Sher-e-Bangla Medical College-কলেজ কর্তৃপক্ষ। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Sandhani"।
- ↑ "Medicine Club"।
- ↑ "RED CRECENT YOUTH"।