কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ
প্রাক্তন নাম | মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ |
---|---|
ধরন | সরকারি মেডিকেল বিদ্যালয় |
স্থাপিত | ২০১৪ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাকির হোসেন |
শিক্ষার্থী | ৩৫৫ |
স্নাতক | ৩৫৫ |
অবস্থান | মানিকগঞ্জ সদর , , ২৩°৫২′০৯″ উত্তর ৯০°০০′০২″ পূর্ব / ২৩.৮৬৯২° উত্তর ৯০.০০০৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | নগর,২২ একর |
ভাষা | ইংরেজি |
ওয়েবসাইট | cmmc |
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। ২০১৪ সালে অনুমোদিত নতুন ৬টি মেডিকেল কলেজের মধ্যে এটি একটি।[১] এটি মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় অবস্থিত। কলেজটি মেডিসিন অনুষদের অধীনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ সালের এটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এটি মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজ থেকে সাময়িকভাবে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। ২৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক জয়রায় নির্মিত কলেজ এর স্থায়ী ক্যাম্পাস এর একাডেমিক ভবন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক দুইটি হোস্টেল ভবনের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে মেডিকেল কলেজটির সব ধরনের প্রশাসনিক এবং একাডেমিক কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হচ্ছে।[২][৩][৪][৫]
এটি এমবিবিএস ডিগ্রির জন্য ৫ বছরের কোর্স প্রদান করে এবং প্রতি বছর ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়ে থাকে।২০২৩-২৪ সেশন থেকে ১২৫ জন কর ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবে।একই ক্যাম্পাসে ৫০০ বেড হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৩১ টি বিভাগ চালু আছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
২০১৪-১৫ অর্থবছরে, বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পটুয়াখালী, টাঙ্গাইল ও রাঙ্গামাটিতে ৬টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমোদন দেয়। এটি তার অংশ হিসেবে তৈরি হয়। মেডিকেল কলেজটি "মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ" নামে চালু হলেও পরবর্তীতে ২০১৭ সালে মাননীয় রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে এর নাম পরিবর্তিত হয়ে "কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ" হয়। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ সনের এম,বি,বি,এস ব্যাচে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৫১ টি করে আসন বরাদ্দ করা হয়। ২০১৮-১৯ সেশনে এর আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৫ এবং ২০২০-২১ সেশনে ৭৫ করা হয়। বর্তমানে এর মোট শিক্ষার্থীসংখ্যা ৩৩৪ জন।
ভর্তি[সম্পাদনা]
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিজিএইচএসের অধীনে মেডিকেল শিক্ষা পরিচালক কর্তৃক, বাংলাদেশের সকল সরকারি মেডিকেল কলেজের স্নাতক এমবিবিএস কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হয়। পরীক্ষায় একটি লিখিত এমসিকিউ পরীক্ষা থাকে, যা সারাদেশে একই দিনে সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় মেধা, জেলা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, উপজাতি কোটা ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের বাছাই করা হয়। বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য, তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন বছরের জন্য একাডেমিক পঞ্জিকা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি দ্বারা করা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় একটি লিখিত এমসিকিউ পরীক্ষা থাকে।
অধিভুক্তি[সম্পাদনা]
কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। ৫ বছর পড়ার পর ও চূড়ান্ত পেশাদার এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করে । এই কলেজটি সরাসরি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) দ্বারা পরিচালিত ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত।
পেশাদার পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় এবং সেইরুপে ফলাফল দেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা নিয়মিত বিরতিতে নেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "নতুন ৬ মেডিকেল কলেজে ভর্তি আসন্ন শিক্ষাবর্ষে"। www.jugantor.com। ৪ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "কর্নেল মালেক সরকারি মেডিকেল কলেজ এর একাডেমিক ভবন ও হোস্টেল উদ্বোধন"। ২৬ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০২০।
- ↑ "৮ মেডিকেল কলেজে নির্মাণ হবে আধুনিক ভবন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- ↑ "মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- ↑ "মেডিকেল শিক্ষার্থীর দায়বদ্ধতা রয়েছে জনগণের কাছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |