লেস জ্যাকসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লেস জ্যাকসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামহার্বার্ট লেসলি জ্যাকসন
জন্ম(১৯২১-০৪-০৫)৫ এপ্রিল ১৯২১
হুইটওয়েল, ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৫ এপ্রিল ২০০৭(2007-04-25) (বয়স ৮৬)
চেস্টারফিল্ড, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক২৩ জুলাই ১৯৪৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট৬ জুলাই ১৯৬১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৪৭১৯৬৩ডার্বিশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪১৮
রানের সংখ্যা ১৫ ২০৮৩
ব্যাটিং গড় ১৫.০০ ৬.১৯
১০০/৫০ –/– –/–
সর্বোচ্চ রান ৩৯*
বল করেছে ৪৯৮ ৮৩২৬৭
উইকেট ১৭৩৩
বোলিং গড় ২২.১৪ ১৭.৩৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১১৫
ম্যাচে ১০ উইকেট ২০
সেরা বোলিং ২/২৬ ৯/১৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১৩৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ এপ্রিল ২০১৮

হার্বার্ট লেসলি জ্যাকসন (ইংরেজি: Les Jackson; জন্ম: ৫ এপ্রিল, ১৯২১ - মৃত্যু: ২৫ এপ্রিল, ২০০৭) ডার্বিশায়ারের হুইটওয়েল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট বোলার ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন লেস জ্যাকসন

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

খনিজ গ্রাম হুইটওয়েলে তেরো সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন লেস জ্যাকসন। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। আশি বছর বয়সী আরেক ভাই ১৯৫০ সালে ক্রেসওয়েল কয়লাখনি দূর্ঘটনায় নিহত হন।

হুইটওয়েল চার্চ অব ইংল্যান্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে খনিশ্রমিক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। তার বাবা সুদক্ষ ক্রিকেটার ছিলেন। হুইটওয়েল ক্রিকেট ক্লাবের মাধ্যমে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে তার। এখান থেকে চলে আসার পূর্ব-পর্যন্ত তিনি মাঝে-মধ্যেই শনিবারে খেলা দেখতে থাকেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেকের সাথে তিনিও ১৯৪৭ সালে ওয়ার্কসপে পেশাদারী পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেন। বাসেটল লীগের খেলায় অংশ নেন ও ১৯৪৭ সালের শেষদিকে ডার্বিশায়ারের সদস্য হন। ৫ জুলাই, ১৯৪৭ তারিখে কেন্টের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অভিষেক ঘটে তার। ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটারদ্বয় - ক্লিফ গ্লডউইন ও পরবর্তীতে হ্যারল্ড রোডসের সাথে অবিস্মরণীয় বোলিং জুটি গড়েন। ১৯৪৯ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে যোগদানের দ্বিতীয় মৌসুমে ২০.৪১ গড়ে ১২০ উইকেট দখল করেন।

১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সময়কালে বিশ রানের কম খরচায় প্রত্যেক মৌসুমে উইকেট পেয়েছেন। তন্মধ্যে, ১৯৫১, ১৯৫৫ ও ১৯৬১ সাল বাদে প্রত্যেক মৌসুমেই শতাধিক উইকেট দখল করেন। ঐ সালগুলোতে বহুবার আঘাতের কবলে পড়েছেন তিনি। ১৯৫৮ সালে ১০.৯৯ রানে ১৪৩ উইকেট পেয়েছেন। এ গড়টি টম রিচার্ডসন বাদে অন্য কোন নিয়মিত প্রথম-শ্রেণীর বোলারের পক্ষে সম্ভব হয়নি।[২] এ অর্জনটি অত্যন্ত আশাপ্রদ ছিল। গুরুতর আঘাতের কারণে তখন জ্যাকসন মৌসুমের অধিকাংশ সময় মিডিয়াম পেস বোলিং করেছিলেন।

১৯৫৯ সালে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ ও পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে ১৩.৬১ গড়ে ১৬০ উইকেট পান।[৩] সর্বমোট দশবার ঘরোয়া ক্রিকেটে শতাধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান। ফ্রেড ট্রুম্যান জ্যাকসন সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, কাউন্টি ক্রিকেটের ছয় দিনের খেলায় সেরা দূর্বল বোলার।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে মাত্র দুই টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন লেস জ্যাকসন। একটি ১৯৪৯ সালে ও অপরটি ১৯৬১ সালে। ২৩ জুলাই, ১৯৪৯ তারিখে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে লেস জ্যাকসনের।

টেস্টের পূর্বে প্রস্তুতিমূলক খেলায় ৬/৩৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ফলশ্রুতিতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন তিনি।[৪] ব্রায়ান ক্লোজের সাথে একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। দলের প্রথম পছন্দের ফাস্ট বোলার আলেক বেডসারের বিশ্রামজনিত অনুপস্থিতিতে ট্রেভর বেইলি’র সাথে বোলিং উদ্বোধন করেন। জ্যাকসন খেলায় ২/৪৭ ও ১/২৫ পান। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। চতুর্থ ও সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে বেডসার তার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে তাকে নেয়া হয়নি। জন ওয়ারকে তার বিপরীতে নেয়া হয়। ওয়ার একমাত্র টেস্টে ২৮৪ রান খরচায় একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। তবে, কমনওয়েলথ দলের সদস্যরূপে ভারত সফরে যান। কিন্তু, কনুইয়ে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে সফরের শুরুতেই তাকে দেশে ফেরৎ পাঠিয়ে দেয়া হয়।

১৯৫০ সালে জ্যাকসনকে আরও একটি টেস্টের পূর্ব-প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নিতে হয়েছিল। কিন্তু, আশানুরূপ ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনা করতে পারেননি তিনি। উইকেট উপযোগী পিচে জিম লেকার ৮/২ ও বব বেরি বহিঃএকাদশের পক্ষে বাদ-বাকী উইকেটগুলো দখল করেছিলেন।[৫]

দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য লেস জ্যাকসনকে দীর্ঘ বারো বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছে। দৃশ্যতঃ এর জন্য অভিজাত শ্রেণীতে ইংরেজ অধিনায়ক ফ্রেডি ব্রাউন শুরুর দিকে ও শেষদিকে ইংল্যান্ড দল নির্বাচক গাবি অ্যালেনকে দোষারোপ করা হয়েছিল। অবশেষে ৪০ বছর বয়সে হেডিংলিতে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৬১ সালে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাকে খেলার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।[৬] এবারো ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দের ফাস্ট বোলার আঘাতপ্রাপ্ত ব্রায়ান স্ট্যাদামের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। ট্রুম্যানকে যথাসাধ্য সহায়তা করেন। খেলায় তিনি ২/৫৭ ও ২/২৬ নিয়ে ইংল্যান্ডের আট উইকেটের বিজয়ে অংশ নেন। স্ট্যাদাম পরবর্তী দুই টেস্টে অংশ নেন ও জ্যাক ফ্লাভেলকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরপর আর তাকে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিতে দেখা যায়নি। ১২ বছরের এ ব্যবধানটি যে-কোন ইংরেজ টেস্ট ক্রিকেটারের জন্য দীর্ঘদিনের ও কেবলমাত্র দুই টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

লেস জ্যাকসন সহজাত প্রকৃতিতে দ্রুততার সাথে সরল ভঙ্গীমায় অগ্রসর হতেন এবং নিখুঁত ও মিতব্যয়ী বোলিং করে স্মরণীয় হয়ে আছেন।[৭] উইকেটের উভয়দিক দিয়েই বলকে সুইং করানোয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। দীর্ঘ ছয় ফুট উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে বোলিং করতেন। স্বল্প দূরত্ব থেকে বোলিং করতেন। ফলে দীর্ঘ সময় একাধারে বোলিং কার্য চালিয়ে যেতেন। কাউন্টি ক্রিকেটের অরক্ষিত উইকেটে তাকে মোকাবেলা করা দুষ্কর হয়ে পড়তো।

ফাস্ট কিংবা ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের অধিকারী লেস জ্যাকসন নিখুঁত বোলিং ও সুরক্ষিত উইকেট তুলে নেয়ার কারণে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত কাউন্টি ক্রিকেটে ডার্বিশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ইংরেজ বোলিং গড়ে নিয়মিতভাবে শীর্ষে কিংবা কাছাকাছি অবস্থানে থেকেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে অনুপস্থিতির জন্য জ্যাকসনের দূর্বল ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপনা বৃহদাংশে দায়ী।

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

জনপ্রিয় ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ক্রিকেটের সর্বাপেক্ষা গুরুতর অপরাধ হিসেবে লেস জ্যাকসনকে যুপকাষ্ঠে বলিদান করা হয়েছে। ১৯৫০-এর দশকে সর্বাপেক্ষা সমীহ করা ফাস্ট বোলার ছিলেন তিনি। তবে, তাকে কেবলমাত্র দুইবার ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলতে দেখা যায়। নিজেকে লুকিয়ে রাখার প্রবৃত্তি, প্রতিকূল মনোভাব ও স্পষ্টবাদী মতামতের কারণে এমসিসি কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি। অথচ, ঐ সময়ে অ্যালেক বেডসার ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে একাকী সামাল দিয়ে হিমশিম খেয়েছেন। জ্যাকসনকে প্রত্যাখ্যানের ফলে গুরুতর ক্ষতির সম্মুখিন করা হয়েছে।

এছাড়াও বেটম্যান আরও যুক্ত করেছেন যে, কাউন্টি ক্রিকেটে জ্যাকসন, ট্রুম্যানটাইসনের চেয়েও ভয়ঙ্কর প্রকৃতির বোলার ছিলেন।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

১৯৫৯ সালে লেস জ্যাকসনকে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি করেছেন অপরাজিত ৩৯। কেবলমাত্র ৩০ রানের কোটা অতিক্রম করেছেন মাত্র দুইবার। জুলাই, ১৯৪৯ থেকে আগস্ট, ১৯৫০ সাল পর্যন্ত একান্নটি ইনিংস খেলে কোন দুই অঙ্কের কোঠা স্পর্শ করতে পারেননি তিনি।[৮] কেবলমাত্র জেম শ, নবি ক্লার্ক, এরিক হোলিস (দুইবার), ব্রায়ান বোশায়েরমার্ক রবিনসন তার তুলনায় এগিয়েছিলেন। ফ্রেড ট্রুম্যান, ফ্রাঙ্ক টাইসন ও সতীর্থ ক্লিফ গ্লডউইনের ন্যায় শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগীরা ব্যাটসম্যান হিসেবে তার তুলনায় শ্রেয়তর ছিলেন।

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৬৩ সালের শেষে ডার্বিশায়ার থেকে অবসর নেন লেস জ্যাকসন। ডার্বিশায়ারের যে-কোন বোলারের চেয়ে সর্বাধিক উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান। ১৭.৩৬ গড়ে ১,৭৩৩টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভের রেকর্ডটি অদ্যাবধি টিকে রয়েছে স্বমহিমায়। এরপর ১৯৬৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে এনফিল্ডের পক্ষে খেলেন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ব্রাডফোর্ড লীগে আন্ডারক্লিফের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

ডার্বিশায়ারে একই নামের ব্রায়ান জ্যাকসন ও দীর্ঘদিনের দলীয় সঙ্গী তৎকালীন চুয়ান্ন বছর বয়সী গ্লডউইনকে নিয়ে ৪৯ বছর বয়সে এমসিসি’র সদস্যরূপে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ৫ জুলাই, ১৯৭০ তারিখে লর্ডসে ১৮৭০ সালে ডার্বিশায়ারের প্রথম খেলার স্মারকসূচক শতবার্ষিকী খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।[৯] ১৯৯৫ সালে ডার্বিশায়ার প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে শীতকালে খনির কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। এরপর ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জাতীয় কয়লা বোর্ডে যুক্ত ছিলেন।

দেহাবসান[সম্পাদনা]

২৫ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে নিজ ৮৬তম জন্মদিনের তিন মাস পূর্বে চেস্টারফিল্ডে স্বল্পকালীন রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটে। ২৫ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে তার মৃত্যুর সংবাদ ঘোষণা করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত লেস জ্যাকসন ১৯৪২ সালে নর্মা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। নর্মা ১৯৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ দম্পতি এক কন্যা রেখে গেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 99আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. Preston, Norman (editor); Wisden Cricketers' Almanac, Ninety-Sixth Edition (1959); pp. 57-60
  3. Preston, Norman (editor); Wisden Cricketers' Almanac, Ninety-Seventh Edition (1960); pp. 250, 342
  4. Test no. 316: England v New Zealand at Old Trafford, 1949
  5. England v The Rest in 1950
  6. Test no. 509: England v Australia at Headingley, Leeds
  7. Les Jackson CricInfo profile
  8. Webber, Roy; The Playfair Book of Cricket Records; p. 317. Published 1951 by Playfair Books.
  9. Derbyshire v Marylebone Cricket Club in 1970

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]