রোহন জয়সেকরা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রোহন জয়সেকরা
රොහාන් ජයසේකර
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরোহন স্ট্যানলি অমরাশ্রীবর্ধনে জয়সেকরা
জন্ম (1957-12-07) ৭ ডিসেম্বর ১৯৫৭ (বয়স ৬৬)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
সম্পর্কএসডিএ জয়সেকরা (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ১৩)
২২ মার্চ ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২১)
১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই১২ মার্চ ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ১৭ ৩৫৬ ৪৪
ব্যাটিং গড় ১.০০ ১৭.০০ ২৯.৬৬ ২২.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/৩ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১৭ ৭৯* ২৭
বল করেছে ১৮
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ০/০ ৬/২ ১/১
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

রোহন স্ট্যানলি অমরাশ্রীবর্ধনে জয়সেকরা (সিংহলি: රොහාන් ජයසේකර; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৭) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২] এছাড়াও,কানাডা দলের সদস্যরূপে আইসিসি ট্রফির চারটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন রোহন জয়সেকরা

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত রোহন জয়সেকারা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এ পর্যায়ে শ্রীলঙ্কা বোর্ড একাদশের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ও উইকেট-রক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। খেলায় তার দল ১১৩ রানে পরাজয়বরণ করেছিল।

১৯৭৯ সালের গ্রীষ্মে শ্রীলঙ্কা দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে দ্বৈত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন রোহন জয়সেকরা। আগ্রাসী ব্যাটসম্যান ও নিয়মিত উইকেট-রক্ষক স্ট্যানলি জয়সিংহে’র সহকারী ছিলেন। স্ট্যানলি জয়সিংহেকে প্রাধান্য দেয়ায় ১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাননি তিনি।

ঐ সময়ে শ্রীলঙ্কা দলের টেস্ট মর্যাদা ছিল না। ফলে, কোন টেস্ট কিংবা একদিনের আন্তর্জাতিকের সিরিজ আয়োজন করা হয়নি। তবে, দলটি ১৯৭৯ সালের আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ঐ প্রতিযোগিতায় নেদারল্যান্ডস দলের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ৫ রান সংগ্রহ করলেও শ্রীলঙ্কা দল ৪৫ রানের জয় তুলে নেয়। এ সফরে দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। ভ্যানবার্ন হোল্ডারইউনুস আহমেদের ন্যায় আন্তর্জাতিকমানের খেলোয়াড়সমৃদ্ধ ওরচেস্টারশায়ার দলের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৯ রান তুলেন। খেলাটি ড্রয়ে পর্যবসিত হয়েছিল। ৫৫ রানের দ্বিতীয় অর্ধ-শতরানের ইনিংসটি খেলেন গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রোহন জয়সেকরা। ২২ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের পর ১৯৮১-৮২ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত বড়োদের দলে খেলার সুযোগ পাননি। ঐ মৌসুমে বোর্ড একাদশের সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫২ রান সংগ্রহ করেন। নিজদেশে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে ক্যান্ডির অ্যাসগিরিয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ খেলাটি ড্র হয়েছিল।[৩] ফলশ্রুতিতে শ্রীলঙ্কার প্রথম আন্তর্জাতিক খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলার সুযোগ লাভ করেন তিনি।

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গ্রাহাম গুচের ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করতে না পারায় শ্রীলঙ্কা দলকে খেসারগ গুণতে হয়। উদ্বোধনী বোলার অশান্ত ডিমেলের খেলার শুরুতে বলটি ধরতে না পারায় দলটির যাত্রা মন্দভাবে শুরু হয়। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪২ বলে ১৭ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে ৪৫ ওভারে ২১২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নিচেরসারিতে বেশ চাপের সৃষ্টি করে। সিদাথ ওয়েতিমুনি’র সাথে জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহকে ৭৪ রানে নিয়ে যান। জয়ের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে পরাজয়বরণ করতে বাধ্য হয়।[৪][৫]

মহেশ গুণতিলকেকে প্রাধান্য দেয়ায় পরবর্তী ওডিআইয়ে মাঠের বাইরে অবস্থান করেন। তাসত্ত্বেও, ১৯৮১-৮২ মৌসুমে গুণতিলকের সাথে পাকিস্তানে গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। প্রথম ওডিআইয়ে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেন। ব্যাটিং করার সুযোগ না পেলেও লাহোরে সফরের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। প্রথম ইনিংসে তিন বল মোকাবেলান্তে ইমরান খানের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন। ব্যাটিংয়ের অবস্থানে পরিবর্তন করে দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় নম্বরে নামেন। পুনরায় তিনি ইমরান খানের বলে বোল্ড হন। এবার করেন ২ রান। খেলায় ইমরান খান ১৪ উইকেট পেয়েছিলেন। এটিই শ্রীলঙ্কার পক্ষে তার সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।

কানাডায় অভিবাসন[সম্পাদনা]

শ্রীলঙ্কা থেকে কানাডায় চলে যান। ১৯৮৬ সালের আইসিসি ট্রফিতে কানাডার সদস্যরূপে চারটি খেলায় অংশ নেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শূন্য রানে বিদেয় নেন। তবে, প্রতিযোগিতায় দলের সর্বশেষ খেলায় ফিজির বিপক্ষে কানাডার ২৪৭ রানের বিজয়ে তিনি অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়াও, ফিজির বিপক্ষে খেলায় তিনি উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।

তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা শান্ত জয়সেকরা ১৯৯৪ সালের আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় কানাডার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. List of Sri Lanka Test Cricketers
  2. "Sri Lanka – Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  3. "Sri Lanka Board President's XI v England XI (1981/82)"। Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১০ 
  4. "England in Sri Lanka ODI Series (1981/82): 1st ODI"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১০ 
  5. "First One-day International: Sri Lanka vs England 1981–82"Wisden। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১০ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]