মার্ক গিলেস্পি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(মার্ক জিলেস্পি থেকে পুনর্নির্দেশিত)
মার্ক গিলেস্পি
২০০৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে মার্ক গিলেস্পি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমার্ক রেমন্ড গিলেস্পি
জন্ম (1979-10-17) ১৭ অক্টোবর ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
ওয়াঙ্গানুই, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামডিজ্জি
উচ্চতা৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩৫)
১৬ নভেম্বর ২০০৭ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট২৩ মার্চ ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৫)
২৮ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই১৩ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ২০)
২২ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টি২০আই১৩ জুন ২০০৮ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৯/০০ – ২০১৪/১৫ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩২ ৯৪ ১২৩
রানের সংখ্যা ৭৬ ৯৩ ১,৬৮৮ ৪৮৫
ব্যাটিং গড় ১০.৮৫ ১৫.৫০ ১৭.০৫ ১০.৭৭
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/৬ ০/০
সর্বোচ্চ রান ২৮ ২৮ ৮১* ৩১
বল করেছে ৮৬৮ ১,৫২১ ১৯,০৫১ ৬,১০৯
উইকেট ২২ ৩৭ ৩৮৫ ১৯৬
বোলিং গড় ২৮.৬৮ ৩৭.০০ ২৭.৯৭ ২৭.২২
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৯
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/১১৩ ৪/৫৮ ৬/৩৮ ৬/৩৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৬/– ২৪/– ১৮/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ মার্চ ২০১৯

মার্ক রেমন্ড গিলেস্পি (ইংরেজি: Mark Gillespie; জন্ম: ১৭ অক্টোবর, ১৯৭৯) ওয়াঙ্গানুই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০১২ সময়কালে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন ‘ডিজ্জি’ ডাকনামে পরিচিত মার্ক গিলেস্পি

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

শুরুরদিকে টয়া ক্রিকেট ক্লাবে খেলতেন। সেখানেই তিনি ‘টয়া টেরর’ ডাকনামে ভূষিত হন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ওয়েলিংটন দলের সদস্যরূপে ২৩.১৬ গড়ে ৪৩ উইকেট দখল করেছিলেন। কিন্তু, ক্যান্টারবারির বিপক্ষে ব্যাটিংকালে চোখে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হলে তার এই প্রতিশ্রুতিশীলতায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তার। তাসত্ত্বেও দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান। এরপর ২০০৬ সালের টপ-এন্ড সিরিজে নিউজিল্যান্ড এ দলের পক্ষে খেলেন। পরবর্তীতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের ১৪ সদস্যের দলে ঠাঁই হয় তার। কিন্তু কোন খেলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৫ টেস্ট ও ৩২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন মার্ক গিলেস্পি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৭-০৮ মৌসুমে জাতীয় পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ হন। এরফলে আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তাকে জাতীয় দলে রাখা হয়। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। কেনিয়ার বিপক্ষে ৪/৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ও নিজ দলকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।[১] এ প্রতিযোগিতায় তিনি সর্বমোট ৬ উইকেট পেয়েছিলেন।

সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে নিজ দেশে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত খেলায় নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩/৩৯ লাভ করলেও তার দল ১৮৯ রানে পরাজিত হয়েছিল। এরপর ত্রি-দেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কয়েকজন ব্যাটসম্যান তার বোলিংয়ে কুপোকাত হলেও এরজন্যে তাকে বেশ রান খরচ করতে হয়েছিল।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। শেন বন্ডের আঘাতের কারণে টেস্ট ক্রিকেট খেলার দ্বার উন্মোচিত হয় মার্ক গিলেস্পি’র। গটেংয়ের সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৬ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই পাঁচ উইকেট লাভের বিরাট কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন তিনি।[২] তিনি জ্যাক ক্যালিস, অ্যাশওয়েল প্রিন্স, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মার্ক বাউচার, পল হ্যারিস একে-একে তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। ঐ খেলায় সফরকারীরা পরাজিত হয়েছিল। ২০১২ সালে একই দলের বিপক্ষে তার বোলিংশৈলী পুনরায় ধরা দেয়।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে খেলেন। নিজস্ব প্রথম বিশ্বকাপে ডান কাঁধে আঘাতের কারণে দুই খেলায় স্বাভাবিক বোলিং করতে পারেননি ও উইকেট শূন্য অবস্থায় প্রতিযোগিতাটি শেষ করেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল সেমি-ফাইনাল অবধি পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল।

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

বিখ্যাত ইংরেজ বোলার বব উইলিস কিংবা অস্ট্রেলীয় বোলার ডেনিস লিলি’র দৌঁড়ানোর ভঙ্গীর সাথে অনেকাংশেই মিল খুঁজে পাওয়া যায় মার্ক গিলেস্পি’র বোলিং ভঙ্গীমায়। বলে কোন পেস না থাকলেও নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিপক্ষীয় ব্যাটিংয়ের শেষদিকে মৃত্যুদূতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Records - Twenty20 Internationals - Best figures in an innings"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৯-১২ 
  2. "2nd Test: South Africa v New Zealand at Centurion, Nov 16-18, 2007"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]