ম্যাথু মেনার্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্প্রসারণ! |
|||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{তথ্যছক ক্রিকেটার |
|||
{{Infobox cricketer |
|||
| name = ম্যাথু মেনার্ড |
| name = ম্যাথু মেনার্ড |
||
| image = |
| image = |
||
| country = ইংল্যান্ড |
| country = ইংল্যান্ড |
||
| fullname = ম্যাথু পিটার মেনার্ড |
| fullname = ম্যাথু পিটার মেনার্ড |
||
| birth_date = {{ |
| birth_date = {{জন্ম তারিখ ও বয়স|1966|3|21|df=yes}} |
||
| birth_place = [[Oldham|ওল্ডহাম]], [[Lancashire|ল্যাঙ্কাশায়ার]], [[ইংল্যান্ড]] |
| birth_place = [[Oldham|ওল্ডহাম]], [[Lancashire|ল্যাঙ্কাশায়ার]], [[ইংল্যান্ড]] |
||
| heightft = 5 |
| heightft = 5 |
||
৯৫ নং লাইন: | ৯৫ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''ম্যাথু পিটার মেনার্ড''' ({{lang-en|Matthew Maynard}}; [[জন্ম]]: [[২১ মার্চ]], [[১৯৬৬]]) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওল্ডহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।<ref name="Cap">{{বই উদ্ধৃতি| |
'''ম্যাথু পিটার মেনার্ড''' ({{lang-en|Matthew Maynard}}; [[জন্ম]]: [[২১ মার্চ]], [[১৯৬৬]]) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওল্ডহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।<ref name="Cap">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=If The Cap Fits |শেষাংশ=Bateman |প্রথমাংশ=Colin |লেখক-সংযোগ= |coauthors= |বছর=1993 |প্রকাশক=Tony Williams Publications |অবস্থান= |আইএসবিএন=1-869833-21-X |পাতা=117|ভাষা=en}}</ref> [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] ইংরেজ [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] [[Glamorgan County Cricket Club|গ্ল্যামারগনের]] প্রতিনিধিত্ব করেন। বর্তমানে [[সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের]] ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন '''ম্যাথু মেনার্ড'''। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ডের পক্ষে চার [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] ও চৌদ্দটি [[একদিনের আন্তর্জাতিক]] খেলেছেন। |
||
== খেলোয়াড়ী জীবন == |
== খেলোয়াড়ী জীবন == |
||
১০২ নং লাইন: | ১০২ নং লাইন: | ||
১৯৮৫ সালে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে যোগ দেন। অভিষেক খেলাতেই মনোরম সেঞ্চুরি করেন তিনি। পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে শতরানের কোটা পার করেন। ১৯৮৬ সালে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সহস্রাধিক রান তুলেন। গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৪টি সেঞ্চুরি যে-কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশী। এরফলে ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক আহুত হন ও ১৯৮৮ সালে ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৯৮৯ সালে আবারো তিনি খেলেন। তবে, [[মাইক গ্যাটিং|মাইক গ্যাটিংয়ের]] নেতৃত্বে বর্ণবৈষম্যবাদ নীতিতে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধঘোষিত তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকায় [[South African rebel tours|বিতর্কিত সফরে]] গেলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন থমকে দাঁড়ায়। এ সফরের বিষয়ে স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন যে, ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়ার প্রেক্ষিতে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট]] অঙ্গনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যেই তাঁর এই অংশগ্রহণ ছিল। তিন বছরের জন্য তাঁকে টেস্ট খেলার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া একাদশের]] বিপক্ষে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরির]] প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] অংশ নেয়ার জন্য তাঁকে দলে মনোনীত করা হয়। তবে সিরিজে [[ক্রিকেট ব্যাট|ব্যাট]] হাতে তেমন সফলতা পাননি। |
১৯৮৫ সালে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে যোগ দেন। অভিষেক খেলাতেই মনোরম সেঞ্চুরি করেন তিনি। পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে শতরানের কোটা পার করেন। ১৯৮৬ সালে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সহস্রাধিক রান তুলেন। গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৪টি সেঞ্চুরি যে-কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশী। এরফলে ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক আহুত হন ও ১৯৮৮ সালে ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৯৮৯ সালে আবারো তিনি খেলেন। তবে, [[মাইক গ্যাটিং|মাইক গ্যাটিংয়ের]] নেতৃত্বে বর্ণবৈষম্যবাদ নীতিতে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধঘোষিত তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকায় [[South African rebel tours|বিতর্কিত সফরে]] গেলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন থমকে দাঁড়ায়। এ সফরের বিষয়ে স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন যে, ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়ার প্রেক্ষিতে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট]] অঙ্গনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যেই তাঁর এই অংশগ্রহণ ছিল। তিন বছরের জন্য তাঁকে টেস্ট খেলার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া একাদশের]] বিপক্ষে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|সেঞ্চুরির]] প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] অংশ নেয়ার জন্য তাঁকে দলে মনোনীত করা হয়। তবে সিরিজে [[ক্রিকেট ব্যাট|ব্যাট]] হাতে তেমন সফলতা পাননি। |
||
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গ্ল্যামারগনকে পাঁচ [[মৌসুম (ক্রীড়া)|মৌসুম]] [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|অধিনায়কত্ব]] করেন। তন্মধ্যে, ১৯৯৭ সালে [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের]] শিরোপা জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৭৭ সালের পর কাপ ফাইনালে [[লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড|লর্ডসে]] ২০০০ সালে দলকে নিয়ে যান। একই বছর শেষবারের মতো ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি মাত্র ৩ ও [[শূন্য রান|০]] [[রান (ক্রিকেট)|রান]] তুলেন। |
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গ্ল্যামারগনকে পাঁচ [[মৌসুম (ক্রীড়া)|মৌসুম]] [[অধিনায়ক (ক্রিকেট)|অধিনায়কত্ব]] করেন। তন্মধ্যে, ১৯৯৭ সালে [[কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ|কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের]] শিরোপা জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৭৭ সালের পর কাপ ফাইনালে [[লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ড|লর্ডসে]] ২০০০ সালে দলকে নিয়ে যান। একই বছর শেষবারের মতো ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি মাত্র ৩ ও [[শূন্য রান|০]] [[রান (ক্রিকেট)|রান]] তুলেন। |
||
== কোচিং == |
== কোচিং == |
||
সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এর পরপরই তিনি খেলোয়াড়ী জীবন থেকে তাঁর অবসরের ঘোষণা দেন। [[কোচ (ক্রীড়া)|আন্তর্জাতিক কোচ]] হিসেবে স্বল্পকালীন দায়িত্বে থাকাকালে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেন। সাবেক ইংরেজ দলনেতা [[মাইক অ্যাথারটন]] তাঁর দায়িত্বের বিষয়ে সমালোচনা করে বলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিতর্কিত সফরের সাথে জড়িত কাউকে এ দায়িত্বে দেয়া উচিত হয়নি। সাবেক কোচ [[কিথ ফ্লেচার|কিথ ফ্লেচারের]] কাছ থেকেও তিনি সমালোচিত হন। মদ্যপান ও আড্ডারত কাউকে তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছে কিছু শিখতে পারবে না বলে জানান। এর পাল্টা জবাবে তিনি ফ্লেচারের ব্যবস্থাপনার দক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন। মেনার্ড কোচের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে থাকেন ও একপর্যায়ে ইংরেজ দলের জন্য পেশাদারী পর্যায়ের উপযোগী গানের সুর তৈরী করতে থাকেন। |
সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এর পরপরই তিনি খেলোয়াড়ী জীবন থেকে তাঁর অবসরের ঘোষণা দেন। [[কোচ (ক্রীড়া)|আন্তর্জাতিক কোচ]] হিসেবে স্বল্পকালীন দায়িত্বে থাকাকালে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেন। সাবেক ইংরেজ দলনেতা [[মাইক অ্যাথারটন]] তাঁর দায়িত্বের বিষয়ে সমালোচনা করে বলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিতর্কিত সফরের সাথে জড়িত কাউকে এ দায়িত্বে দেয়া উচিত হয়নি। সাবেক কোচ [[কিথ ফ্লেচার|কিথ ফ্লেচারের]] কাছ থেকেও তিনি সমালোচিত হন। মদ্যপান ও আড্ডারত কাউকে তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছে কিছু শিখতে পারবে না বলে জানান। এর পাল্টা জবাবে তিনি ফ্লেচারের ব্যবস্থাপনার দক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন। মেনার্ড কোচের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে থাকেন ও একপর্যায়ে ইংরেজ দলের জন্য পেশাদারী পর্যায়ের উপযোগী গানের সুর তৈরী করতে থাকেন। |
||
[[২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৭]] সালের [[ক্রিকেট বিশ্বকাপ|ক্রিকেট বিশ্বকাপের]] পর ডানকান ফ্লেচারের পদত্যাগের পর মে, ২০০৭ সালে [[অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার]] মেনার্ডের স্থলাভিষিক্ত হন। এ ঘোষণার পর এক স্বাক্ষাৎকারের মেনার্ড বলেন যে, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে তাঁর নিযুক্তির বিষয়ে প্রস্তাবনা এসেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| |
[[২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপ|২০০৭]] সালের [[ক্রিকেট বিশ্বকাপ|ক্রিকেট বিশ্বকাপের]] পর ডানকান ফ্লেচারের পদত্যাগের পর মে, ২০০৭ সালে [[অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার]] মেনার্ডের স্থলাভিষিক্ত হন। এ ঘোষণার পর এক স্বাক্ষাৎকারের মেনার্ড বলেন যে, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে তাঁর নিযুক্তির বিষয়ে প্রস্তাবনা এসেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি| ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/cricket/other_international/6632391.stm | কর্ম=BBC News | শিরোনাম=Maynard offered role with India | তারিখ=7 May 2007|ভাষা=en}}</ref> এরপূর্বে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ছয়টি দলের অন্যতম [[Nashua Titans|নশুয়া টাইটান্সকে]] পরিচালনা করেন। প্রথম মৌসুমে ব্যাপক অর্থেই সফলতা পান তিনি। ঘরোয়া চারদিনের প্রতিযোগিতা সুপারস্পোর্ট সিরিজের শিরোপা জিতে তাঁর দল ও মিওয়ে টি২০ চ্যালেঞ্জ টি২০ প্রতিযোগিতার ট্রফিও পায় দলটি। ২০১৪ মৌসুম শেষে [[David Nosworthy|ডেভিড নসওয়ার্থির]] প্রত্যাবর্তনের পর মেনার্ড সমারসেট দলের ক্রিকেট পরিচালকরূপে যোগ দেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.bbc.co.uk/sport/0/cricket/29425687 |শিরোনাম=Matthew Maynard: Somerset appoint ex-Glamorgan coach |প্রকাশক=BBC Sport |তারিখ=30 September 2014 |সংগ্রহের-তারিখ=30 September 2014|ভাষা=en}}</ref> |
||
১৯৯৮ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি| |
১৯৯৮ সালে [[উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক|উইজডেন]] কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricketarchive.com/Archive/Players/Overall/Wisden_Cricketers_of_the_Year.html |শিরোনাম=Wisden Cricketers of the Year |সংগ্রহের-তারিখ=2009-02-21 |প্রকাশক=CricketArchive|ভাষা=en}}</ref> ১৮ জুন, ২০১২ তারিখে তাঁর সন্তান [[Tom Maynard|টম মেনার্ডকে]] মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৬:০৭, ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ম্যাথু পিটার মেনার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওল্ডহাম, ল্যাঙ্কাশায়ার, ইংল্যান্ড | ২১ মার্চ ১৯৬৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১০.৫ ইঞ্চি (১.৭৯ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষক সমারসেট ক্রিকেট পরিচালক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | টম মেনার্ড (পুত্র, প্রয়াত) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৩২) | ৪ আগস্ট ১৯৮৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২৪) | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৫ জুলাই ২০০০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৫-২০৫ | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০-১৯৯২ | নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭-১৯৯৮ | ওতাগো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ আগস্ট ২০১৭ |
ম্যাথু পিটার মেনার্ড (ইংরেজি: Matthew Maynard; জন্ম: ২১ মার্চ, ১৯৬৬) ল্যাঙ্কাশায়ারের ওল্ডহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেন। বর্তমানে সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন ম্যাথু মেনার্ড। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ডের পক্ষে চার টেস্ট ও চৌদ্দটি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
শুরুতে মেনার্ড আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন ও দৃষ্টিনন্দন স্ট্রোকপ্লের কারণে সকলের নজর কাড়েন। পরবর্তীকালে উইকেট-রক্ষণের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। গ্ল্যামারগনের সদস্য থাকাবস্থায় ৪২.৫৩ গড়ে রান তুলেন এবং গ্লাভস হাতে নিয়ে ৩৭২ ক্যাচ ও ৭ স্ট্যাম্পিং করেন তিনি। তবে, বহুবার ইংল্যান্ডের ক্যাপ পরিধান করলেও কাউন্টির ক্রীড়াশৈলী টেস্টে প্রয়োগ করতে পারেননি তিনি।
১৯৮৫ সালে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে যোগ দেন। অভিষেক খেলাতেই মনোরম সেঞ্চুরি করেন তিনি। পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে শতরানের কোটা পার করেন। ১৯৮৬ সালে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে সহস্রাধিক রান তুলেন। গ্ল্যামারগনের খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৪টি সেঞ্চুরি যে-কোন খেলোয়াড়ের চেয়ে বেশী। এরফলে ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক আহুত হন ও ১৯৮৮ সালে ওভালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হন। ১৯৮৯ সালে আবারো তিনি খেলেন। তবে, মাইক গ্যাটিংয়ের নেতৃত্বে বর্ণবৈষম্যবাদ নীতিতে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধঘোষিত তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকায় বিতর্কিত সফরে গেলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন থমকে দাঁড়ায়। এ সফরের বিষয়ে স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন যে, ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়ার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যেই তাঁর এই অংশগ্রহণ ছিল। তিন বছরের জন্য তাঁকে টেস্ট খেলার অনুপযোগী ঘোষণা করা হয়। অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে গ্ল্যামারগনের সদস্যরূপে সেঞ্চুরির প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে অ্যাশেজ সিরিজে অংশ নেয়ার জন্য তাঁকে দলে মনোনীত করা হয়। তবে সিরিজে ব্যাট হাতে তেমন সফলতা পাননি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গ্ল্যামারগনকে পাঁচ মৌসুম অধিনায়কত্ব করেন। তন্মধ্যে, ১৯৯৭ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৭৭ সালের পর কাপ ফাইনালে লর্ডসে ২০০০ সালে দলকে নিয়ে যান। একই বছর শেষবারের মতো ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনি মাত্র ৩ ও ০ রান তুলেন।
কোচিং
সেপ্টেম্বর, ২০০৪ সালে ইংল্যান্ড দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। এর পরপরই তিনি খেলোয়াড়ী জীবন থেকে তাঁর অবসরের ঘোষণা দেন। আন্তর্জাতিক কোচ হিসেবে স্বল্পকালীন দায়িত্বে থাকাকালে কিছু বিতর্কের সৃষ্টি করেন। সাবেক ইংরেজ দলনেতা মাইক অ্যাথারটন তাঁর দায়িত্বের বিষয়ে সমালোচনা করে বলেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় বিতর্কিত সফরের সাথে জড়িত কাউকে এ দায়িত্বে দেয়া উচিত হয়নি। সাবেক কোচ কিথ ফ্লেচারের কাছ থেকেও তিনি সমালোচিত হন। মদ্যপান ও আড্ডারত কাউকে তরুণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছে কিছু শিখতে পারবে না বলে জানান। এর পাল্টা জবাবে তিনি ফ্লেচারের ব্যবস্থাপনার দক্ষতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেন। মেনার্ড কোচের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে থাকেন ও একপর্যায়ে ইংরেজ দলের জন্য পেশাদারী পর্যায়ের উপযোগী গানের সুর তৈরী করতে থাকেন।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর ডানকান ফ্লেচারের পদত্যাগের পর মে, ২০০৭ সালে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার মেনার্ডের স্থলাভিষিক্ত হন। এ ঘোষণার পর এক স্বাক্ষাৎকারের মেনার্ড বলেন যে, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে তাঁর নিযুক্তির বিষয়ে প্রস্তাবনা এসেছে।[২] এরপূর্বে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ছয়টি দলের অন্যতম নশুয়া টাইটান্সকে পরিচালনা করেন। প্রথম মৌসুমে ব্যাপক অর্থেই সফলতা পান তিনি। ঘরোয়া চারদিনের প্রতিযোগিতা সুপারস্পোর্ট সিরিজের শিরোপা জিতে তাঁর দল ও মিওয়ে টি২০ চ্যালেঞ্জ টি২০ প্রতিযোগিতার ট্রফিও পায় দলটি। ২০১৪ মৌসুম শেষে ডেভিড নসওয়ার্থির প্রত্যাবর্তনের পর মেনার্ড সমারসেট দলের ক্রিকেট পরিচালকরূপে যোগ দেন।[৩]
১৯৯৮ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[৪] ১৮ জুন, ২০১২ তারিখে তাঁর সন্তান টম মেনার্ডকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র
- ↑ Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits (ইংরেজি ভাষায়)। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 117। আইএসবিএন 1-869833-21-X।
- ↑ "Maynard offered role with India"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মে ২০০৭।
- ↑ "Matthew Maynard: Somerset appoint ex-Glamorgan coach" (ইংরেজি ভাষায়)। BBC Sport। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Wisden Cricketers of the Year" (ইংরেজি ভাষায়)। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১।
আরও দেখুন
- গ্লেন চ্যাপেল
- অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার
- মার্কাস ট্রেসকোথিক
- সমারসেট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ম্যাথু মেনার্ড (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ম্যাথু মেনার্ড (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ১৯৬৬-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ইংরেজ ক্রিকেটার
- ইংরেজ ক্রিকেট কোচ
- ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ
- উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার
- ওতাগোর ক্রিকেটার
- ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগের কোচ
- গ্ল্যামারগনের ক্রিকেটার
- গ্ল্যামারগন ক্রিকেট অধিনায়ক
- নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের ক্রিকেটার
- মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের ক্রিকেটার