বিষয়বস্তুতে চলুন

প্রবেশদ্বার:ইন্দোনেশিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

{{{১}}}

ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্র

ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর/উত্তর-পূর্ব ওশেনিয়া অঞ্চলের অন্তর্গত এবং ভারত মহাসাগরপ্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী অবস্থানে নিরক্ষরেখা বরাবর সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জীয় রাষ্ট্র। দেশটি মালয় দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। পাঁচটি বৃহৎ দ্বীপ দেশটির প্রায় ৯০% আয়তন গঠন করেছে। এগুলি হল সুমাত্রা, জাভা, সুলাওয়েসি, বোর্নিও দ্বীপের দক্ষিণ তিন-চতুর্থাংশ (কালিমান্তান) ও নিউ গিনি দ্বীপের পশ্চিম অর্ধাংশ (পাপুয়া)। ছয় হাজারেরও বেশি দ্বীপে মানববসতি আছে। পূর্বে সুমাত্রা থেকে পশ্চিমে নিউ গিনি পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়া প্রায় ৫,১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ, আর উত্তর-দক্ষিণে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার। ১৯,০৪,৫৬৯ বর্গকিলোমিটার (৭,৩৫,৩৫৮ বর্গমাইল) আয়তনবিশিষ্ট ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপপুঞ্জীয় রাষ্ট্র এবং আয়তনের নিরিখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম ও বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম দেশ। ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা ২৮ কোটি, ফলে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বাধিক জনবহুল, বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুলমুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনবহুল দেশ। জাভা দ্বীপে দেশটির অর্ধেকের বেশি অধিবাসীর বাস; এটি বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ

ইন্দোনেশিয়া একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত প্রজাতন্ত্র যেখানে একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভা আছে। দেশটি ৩৮টি প্রদেশ নিয়ে গঠিত, যাদের মধ্যে নয়টির বিশ্বের স্বায়ত্বশাসন মর্যাদা আছে। দেশটির বৃহত্তম নগরী জাকার্তা বিশ্বের ২য় সর্বাধিক জনবহুল নগর এলাকা। জাকার্তা বর্তমান রাজধানী হলেও অদূর ভবিষ্যতে বোর্নিও দ্বীপে নুসান্তারা নামক একটি সম্পূর্ণ নতুন পরিকল্পিত শহরে রাজধানী স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি চলমান আছে। এছাড়া সুরাবায়া, বানদুং, মেদানবেকসাই আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। ইন্দোনেশিয়ার সাথে পাপুয়া নিউ গিনি, পূর্ব তিমুর ও মালয়েশিয়ার পূর্ব ভাগের স্থলসীমান্ত আছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর, উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, পালাউ ও ভারতের সাথে ইন্দোনেশিয়ার সামুদ্রিক সীমান্ত আছে। ইন্দোনেশিয়ার বেশির ভাগ দ্বীপ পর্বতময় ও অনেকগুলিতে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। ভূমিকম্পও খুবই সাধারণ। দেশের জলবায়ু তপ্ত ও আর্দ্র। বৃহৎ জনসংখ্যা ও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল থাকা সত্ত্বেও ইন্দোনেশিয়াতে বহুসংখ্যক বিরাট বন্য এলাকা আছে, যেগুলি বিশ্বের সর্বোচ্চ স্তরের জীববৈচিত্র্যের আশ্রয়স্থল।

ইন্দোনেশিয়াতে হাজার হাজার স্বতন্ত্র দেশজ নৃগোষ্ঠী ও শতশত ভাষিক গোষ্ঠী বাস করে, যাদের মধ্যে জাভাদ্বীপীয় জাতির লোকেরা সর্ববৃহৎ। পশ্চিম দিকের দ্বীপবাসীদের আদি উৎস পূর্ব এশিয়া, আর পূর্ব দিকের দ্বীপবাসীরা মূলত মেলানেশীয় বা ওশেনীয় উৎস থেকে আগত। তবে এদের মধ্যে একটি অংশিদারি পরিচয় গড়ে উঠেছে, যা ইন্দোনেশিয়ার মূলমন্ত্র "ভিন্নেকা তুংগাল ইকা-তে ("অনেক, কিন্তু এক") প্রতিফলিত হয়েছে। জাতীয় ভাষা ইন্দোনেশীয় ভাষা, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ধর্মের বহুত্বের প্রতি সহনশীলতা এবং উপনিবেশবাদ ও তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইতিহাস এই বিচিত্র সব মানুষকে একই পরিচয়ে আবদ্ধ করেছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

{{{১}}}

মেদান ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি সুমাত্রার একটি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও আর্থিক কেন্দ্র, সেই সাথে জাকার্তা, সুরাবায়ামাকাসারের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ার চারটি প্রধান কেন্দ্রীয় শহরের একটি। শহরের সীমার মধ্যে মেদানের জনসংখ্যা ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ২৪,৩৫,২৫২ জন এবং নির্মানাধীন শহুরে এলাকায় ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি, যা শহরটিকে ইন্দোনেশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহুরে এলাকায় পরিণত করে। মেদান মহানগর অঞ্চলের মধ্যে প্রতিবেশী বিনজাই, দেলি সেরডাং রিজেন্সি ও কারো রিজেন্সির একটি অংশ রয়েছে। এটি জাভার বাইরে বৃহত্তম মহানগর অঞ্চল, যেখানে ২০২০ সালের আদমশুমারিতে ৪৭,৪৪,৩২৩ জন বাসিন্দা গণনা করা হয়। মেদান একটি বহুসংস্কৃতিক মহানগর এবং মালাক্কা প্রণালীর তীরবর্তী একটি ব্যস্ত বাণিজ্য শহর। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মেদান বেলওয়ান বন্দরকুয়ালানামু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দ্বারা সমর্থিত, উভয়ই টোল সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে শহরের কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত।

এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন গুরু পতিমপাস, একজন কারো, যিনি দেলি নদীবাবুরা নদীর সঙ্গমস্থলের জলাভূমি অঞ্চলকে কাম্পুং মেদান পুত্রি নামে নামকরণ করেন। এটি পরে দেলি সালতানাতের একটি অংশ হয়ে ওঠে, যা ১৬৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। নবম সুলতানি সুলতান মা'মুন আল রসিদ পেরকাসা আলমের সাহায্যে এবং চীনা ব্যবসায়ী তজং ইয়ং হিয়ান ও তজং এ ফাইয়ের সাহায্যে, অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন মেদানকে "হেট ল্যান্ড ডলার" ডাকনামের সাথে একটি বাণিজ্যকেন্দ্রে রূপান্তরিত করে, যার অর্থ "টাকার জমি"। শহর থেকে বেলাওয়ান বন্দরে রাবার, চা, কাঠ, পাম তেল ও চিনি পাঠানোর জন্য দেলি রেলপথ প্রতিষ্ঠিত হয়। উত্তর সুমাত্রার প্রাদেশিক রাজধানী হওয়ার পূর্বে মেদান পূর্ব সুমাত্রা রাষ্ট্রের রাজধানী ছিল। প্যারিসের সাথে শহরের সাদৃশ্যের কারণে মেদানকে পারিজ ভ্যান সুমাত্রা বলা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

নির্বাচিত নিবন্ধের তালিকা

{{{১}}}

কেলিমুতু, ফ্লোরেস, পূর্ব নুসা টেঙ্গারা, ইন্দোনেশিয়ার একটি জাতীয় উদ্যান।

ফটোগ্রাফার: টম ক্যাসাডেভাল (ইউ.এস. জিওলজিক্যাল সার্ভে); লাইসেন্স: পাবলিক ডোমেইন

{{{১}}}

{{{১}}}


ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম


দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া


অন্যান্য দেশ

{{{১}}}

১৯৪৯ সালে সুকর্ণ

সুকর্ণ (জন্ম: কুশ্ন সুশ্রদিহার্য) (৬ জুন ১৯০১ - ২১ জুন ১৯৭০) ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং নেদারল্যান্ডের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য সংগঠিত সফল সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী। তিনি ইন্দোনেশিয়ার জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃত। তিনি ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন। সুকর্ণ ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক শাসনামলে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন এর প্রথম সারির নেতা এবং এক দশকেরও বেশি সময় রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ওলন্দাজ কারাগারে আটক ছিলেন। পরবর্তীতে জাপানি বাহিনী ইন্দোনেশিয়ায় অভিযান পরিচালনা করলে তিনি ও তার সঙ্গীরা কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি ও তার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীরা জাপানিদের যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য এক চুক্তিতে আসেন এবং বিনিময়ে জাপানি বাহিনী তাদের জাতীয়তাবাদী চেতনা বিকাশের সুযোগ দেয়। জাপানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করার পর সুকর্ণ ও মোহাম্মদ হাতা ১৭ আগস্ট ১৯৪৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা করেন, যেখানে সুকর্ণ প্রথম রাষ্ট্রপতি মনোনীত হন। ১৯৪৯ সালে ওলন্দাজরা ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা স্বীকৃতি প্রদানের পূর্ব পর্যন্ত সুকর্ণ জনগনকে একত্রিত করে কূটনৈতিক ও সামরিক পন্থায় পুনরায় ওলন্দাজ উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টাকে ব্যর্থ করেন।

সংসদীয় গণতন্ত্র একটি বিশৃঙ্খল সময় পার করার পর, সুকর্ণ ১৯৫৯ সালে নির্দেশিত গণতন্ত্র নামক একটি স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৬০-এর দশকের গোড়ার দিকে দেখা যায় সুকর্ণ দেশের ব্যবস্থাপনাকে নতুন একটি দিগন্তে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যেমন একদিকে ইন্দোনেশিয় কমিউনিস্ট দলকে নিরাপত্তা দিতেন তেমনি ইসলামপন্থী ও সামরিক উপস্থিতিও মেনে নিয়েছিলেন। সুকর্ণ সোভিয়েত ইউনিয়নচীন থেকে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী কিছু উগ্রপন্থী বৈদেশিক নীতি চালু করেছিলেন। ৩০ সেপ্টেম্বর একটি আন্দোলনে ইন্দোনেশিয়ার বামপন্থী দল ভেঙ্গে গিয়েছিল এবং সুহার্তো নামে তার এক জেনারেল তার স্থলাভিষিক্ত হন। ২১ জুন ১৯৭০ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)

{{{১}}}

"প্রবেশদ্বার:ইন্দোনেশিয়া/Did you know/১৪" নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই।

{{{১}}}

কোনো সাম্প্রতিক যোগকৃত আইটেম নেই

{{{১}}}

{{{১}}}

The following are images from various Indonesia-related articles on Wikipedia.

লুয়া ত্রুটি: No content found on page "ইন্দোনেশিয়ায় পর্যটন"।

{{{১}}}

{{{১}}}

Category puzzle
Category puzzle
Select [►] to view subcategories
Indonesia বিষয়শ্রেণীটি পাওয়া যায়নি

{{{১}}}

{{{১}}}


সাহায্য করতে চান?:

{{{১}}}


উইকিসংবাদে ইন্দোনেশিয়া
উন্মুক্ত সংবাদ উৎস


উইকিউক্তিতে ইন্দোনেশিয়া
উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন


উইকিসংকলনে ইন্দোনেশিয়া
উন্মুক্ত পাঠাগার


উইকিবইয়ে ইন্দোনেশিয়া
উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল


উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্দোনেশিয়া
উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম


উইকিমিডিয়া কমন্সে ইন্দোনেশিয়া
মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার


উইকিঅভিধানে ইন্দোনেশিয়া
অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ


উইকিউপাত্তে ইন্দোনেশিয়া
উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার


উইকিভ্রমণে ইন্দোনেশিয়া
উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা

প্রবেশদ্বার

সার্ভার ক্যাশ খালি করুন