ক্রাকাতোয়া
ক্রাকাতোয়া | |
---|---|
![]() ১৮৮৮ সালের এক লিথোগ্রাফি যাতে ১৮৮৩ সালের অগ্ন্যুৎপাত দেখানো হয়েছে | |
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ৮১৩ মি (২,৬৬৭ ফু) ![]() |
সুপ্রত্যক্ষতা | ৮১৩ মিটার (২,৬৬৭ ফুট) |
বিচ্ছিন্নতা | ২১.৭১ কিমি (১৩.৪৯ মা) ![]() |
স্থানাঙ্ক | ৬°০৬′০৭″ দক্ষিণ ১০৫°২৫′২৩″ পূর্ব / ৬.১০২° দক্ষিণ ১০৫.৪২৩° পূর্ব |
নামকরণ | |
স্থানীয় নাম | ক্রাকাতাউ {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য) |
ভূগোল | |
অবস্থান | সুন্দা প্রণালী, ইন্দোনেশিয়া |
ভূতত্ত্ব | |
পর্বতের ধরন | কালডেরা |
সর্বশেষ অগ্ন্যুত্পাত | ২০১৯[১] |
ক্রাকাতোয়া (ইন্দোনেশীয় ভাষায় নাম - Krakatau ক্রাকাতাউ, পর্তুগিজ ভাষায় Krakatao ক্রাকাতাও) হল ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপ ও সুমাত্রার মধ্যকার সুন্দা প্রণালীতে অবস্থিত একটি আগ্নেয় দ্বীপ। এই নামটি একগুচ্ছ দ্বীপের জন্য ব্যবহৃত হয়, যাদের মধ্যে প্রধান হল রাকাতা নামের দ্বীপটি। এখানকার আগ্নেয়গিরি হতে বহুবার ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে ১৮৮৩ সালের আগস্ট মাসের ২৬ ও ২৭ তারিখে।
১৮৮৩ সালের এই অগ্ন্যুৎপাতে প্রায় ২৫ ঘন কিলোমিটার পাথর, ভস্ম ও উত্তপ্ত পাথরকুঁচি নির্গত হয় এবং বিশ্বের নিকট ইতিহাসের সবচেয়ে প্রকান্ড শব্দের সৃষ্টি হয়। এই বিস্ফোরণের শব্দটি প্রায় ৩১০০ কিলোমিটার দূরের অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর এবং প্রায় ৪৮০০ কিলোমিটার দূরের মরিশাসের রড্রিগুয়েজ দ্বীপেও শোনা যায়। এখানে তৈরি হওয়া বায়ুমণ্ডলীয় আঘাত তরঙ্গ সারা বিশ্বকে ৭ বার প্রদক্ষিণ করে। ক্রাকাতোয়ার কাছের ১৬৫টি গ্রাম ও শহর ধ্বংস হয়ে যায়, এবং ১৩২টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারী হিসাবে ৩৬,৪১৭ জন লোক মারা যায়, আরো অনেকে বিস্ফোরণ ও এর দ্বারা সৃষ্ট সুনামিতে আহত ও গৃহহারা হয়।
বিস্ফোরণে ক্রাকাতোয়া দ্বীপের দুই-তৃতীয়াংশ ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯২৭ ও তার পরের অগ্ন্যুৎপাতে নতুন একটি দ্বীপ সৃষ্টি হয়, স্থানীয় অধিবাসীরা যার নাম দিয়েছে Anak Krakatau (আনাক ক্রাকাতাউ বা "ক্রাকাতোয়ার সন্তান")।[২]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ https://volcano.si.edu/volcano.cfm?vn=262000
- ↑ "যে আগ্নেয়গিরির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সুনামি" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০৯।