তোবা বিপর্যয় তত্ত্ব

স্থানাঙ্ক: ২°৪১′০৪″ উত্তর ৯৮°৫২′৩২″ পূর্ব / ২.৬৮৪৫° উত্তর ৯৮.৮৭৫৬° পূর্ব / 2.6845; 98.8756
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Toba catastrophe theory
অগ্ন্যুৎপাতটি দেখতে কীরকম হতে পারে তার একটি চিত্র ৪২ কিলোমিটার (২৬ মা) পুলাউ সিমেউলির.উপরে
আগ্নেয়গিরিতোবা মহা-আগ্নেয়গিরি
তারিখ৭৪,১০০—৭৫,৯০০ বছর পূর্বে
স্থানসুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
২°৪১′০৪″ উত্তর ৯৮°৫২′৩২″ পূর্ব / ২.৬৮৪৫° উত্তর ৯৮.৮৭৫৬° পূর্ব / 2.6845; 98.8756
VEI8
প্রভাবদ্বিতীয় নিকটবর্তী মহা-অগ্ন্যুৎপাত; পৃথিবীকে ৬ বছরের জন্য অগ্ন্যুৎপাতজাত শীতে নিমজ্জিত করেছিল, সম্ভবত এর ফলে আঞ্চলিক ভূসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটে।[১]
তোবা হ্রদ হল তোবা বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া একটি জ্বালামুখ হ্রদ

তোবা মহা-অগ্ন্যুৎপাত হচ্ছে একটি মহা-আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত (Super volcanic eruption) যা প্রায় ৭৫,০০০ বছর পূর্বে বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে অবস্থিত তোবা হ্রদে ঘটেছিল। এটা ইতিহাসের বৃহত্তম অগ্ন্যুৎপাতগুলোর মধ্যে একটি। তোবা বিপর্যয় তত্ত্ব অনুযায়ী এই অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বৈশ্বিক অগ্ন্যুৎপাতজাত শৈত্যের শুরু হয়। মহা-অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমে গেলে সেই অবস্থাকে অগ্ন্যুৎপাতজাত শীতকাল (Volcanic winter) বলা হয়। এই তত্ত্বটি অনুযায়ী এই অগ্ন্যুৎপাতজাত শীতকালের ফলে ৬ থেকে ১০ বছর ধরে বৈশ্বিক আগ্নেয়জাত শীতকাল (Global volcanic winter) বিরাজ করে এবং এর ফলে সম্ভবত ১০০০ বছর যাবৎ একটি হিম পর্ব (Cooling episode) চলে।

১৯৯৩ সালে, বিজ্ঞান সাংবাদিক এন গিবনস এই অগ্ন্যুৎপাত এবং মানব বিবর্তনের জনসংখ্যা সংকোচন (Population bottleneck)-এর মধ্যে একটি সম্পর্ক প্রস্তাব করেন। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল র‍্যামপিনো এবং ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই-এর স্টিভেন সেলফ এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোন প্রজাতির সংখ্যা কমে গিয়ে প্রায় বিলুপ্তির পর্যায়ে চলে আসলে তাকে বিবর্তনের ভাষায় জনসংখ্যা সংকোচন বলা হয়। ১৯৯৮ সালে ইউনভারসিটি অব ইলিনয়েসের স্ট্যানলি এইচ. এনব্রোস এই সংকোচন তত্ত্বকে আরও উন্নত করেন।

এই সম্পর্ক এবং বৈশ্বিক শীতকাল তত্ত্ব উভয়ই বিতর্কিত।[২][৩]

এই তোবা ঘটনাটি হল গবেষণায় থাকা আমাদের সবচাইতে নিকটবর্তী মহা-অগ্নুৎপাত।[৪][৫][৬]

তোবার পরে স্থানান্তর[সম্পাদনা]

মানব জনসংখ্যার যে স্থানান্তর হয়েছিল তা ভৌগলিকগত নিখুঁতভাবে জানা যায় নি। যারা বেঁচে গিয়েছিল তারা হয়তো আফ্রিকায় বাস করছিল এবং পরবর্তীতে পৃথিবীর অন্য অংশে তারা স্থানান্তরিত হয়েছিল। মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএর বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে; ৬০,০০০ থেকে ৭০,০০০ বছর পূর্বে আফ্রিকা থেকে বিরাট সংখ্যক স্থানান্তর ঘটেছিল।[৭] যা ডেটিং এর মাধ্যমে জানা ৭৫,০০০ বছর আগে সংঘটিত তোবা অগ্ন্যুৎপাৎ এর সাথে সংগতিপুর্ণ।

যাইহোক; ২০০৭ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক একটি গবেষণা প্রস্তাবনা করেছে যে, হোমিনিড জনসংখ্যার আধুনিক হোমো সেপিয়েন্সরা সম্ভবত উত্তর ভারতের জোয়ালাপুরামে টিকে ছিল।[৮] অধিকন্তু এটি আরো প্রস্তাবনা করেছে যে হোমিনিড জনসংখ্যার কাছাকাছি আত্মীয় ফ্লোরসের হোমো ফ্লোরেসিনসিসরা টিকে ছিল কারণ তারা তোবার বাতাসের স্বাভাবিক গতির বিপরীতমুখী কোনো স্থানে বাস করত।

টীকা[সম্পাদনা]

  1. John Savino; Marie D. Jones (২০০৭)। Supervolcano: The Catastrophic Event That Changed the Course of Human History: Could Yellowstone Be Next। Career Press। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 978-1-56414-953-4। ৩১ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. Choi, Charles Q. (২০১৩-০৪-২৯)। "Toba Supervolcano Not to Blame for Humanity's Near-Extinction"Livescience.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৮ 
  3. "Toba super-volcano catastrophe idea 'dismissed'"Bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৮ 
  4. Chesner ও others 1991, p. 200; Jones 2007, p. 174; Oppenheimer 2002, pp. 1593–1594; Ninkovich ও others 1978
  5. "The Toba Supervolcano And Human Evolution"। Toba.arch.ox.ac.uk। ২০১২-১২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৫ 
  6. "The Geological Society : Super-eruptions" (PDF)। Geo.mtu.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৩-২৮ 
  7. "New 'Molecular Clock' Aids Dating Of Human Migration History"ScienceDaily। ২২ জুন ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-৩০ 
  8. Petraglia ও others 2007, passim.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]