টি এ সরস্বতী আম্মা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টি এ সরস্বতী আম্মা
চিত্র:T. A. Sarasvati Amma.jpg
টি এ সরস্বতী আম্মা মৃত্যুসংবাদজ্ঞাপক ছবি
জন্ম২৬শে ডিসেম্বর ১৯১৮
মৃত্যু১৫ই আগস্ট ২০০০
পেশাগণিতবিদ

টি এ সরস্বতী আম্মা ( টেক্কাথ অমায়ানকোট্টুকুরুসি কালাথিল সরস্বতী; ২৬শে ডিসেম্বর ১৯১৮[১] - ১৫ই আগস্ট ২০০০)[২] একজন পণ্ডিত যিনি ভারতের কেরালা রাজ্যের পালঘাট জেলার চেরপুলাসেরিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জিয়োমেট্রি ইন এন্সিয়েন্ট অ্যাণ্ড মেডিভ্যাল ইণ্ডিয়া বইটি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে গণিত এবং সংস্কৃতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন।[২]

জীবনী[সম্পাদনা]

সরস্বতী আম্মা (জন্ম চেরপুলাচেরি, পালঘাট জেলা, কেরালা) ছিলেন কুট্টিমালু আম্মা এবং মারাথ অচ্যুত মেননের দ্বিতীয় কন্যা।[২] তিনি মাদ্রাজ ইউনিভার্সিটি থেকে গণিত এবং পদার্থবিদ্যায় তাঁর প্রাথমিক ডিগ্রি নেন এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সংস্কৃত পণ্ডিত ডক্টর ভি. রাঘবনের নির্দেশনায় তাঁর গবেষণা করেছিলেন। সরস্বতী আম্মা বিভিন্ন কলেজে পড়িয়েছেন, তার মধ্যে আছে ত্রিশুরের শ্রী কেরালা ভার্মা কলেজ, এর্নাকুলামের মহারাজা কলেজ এবং রাঁচির মহিলা কলেজ। তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরের শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ট্রাস্ট মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি তাঁর শেষ বছরগুলি নিজ শহর ওট্টপ্পালমে কাটিয়েছেন।[২] তিনি ২০০০ সালে মারা যান। তাঁর ছোট বোন টি এ রাজলক্ষ্মী মালয়ালম ভাষার একজন সুপরিচিত গল্প-লেখক এবং ঔপন্যাসিক ছিলেন, কিন্তু তিনি ১৯৬৫ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন।[২]

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

২০০২ সালে, কেরালা গণিত সমিতি তাদের বার্ষিক সম্মেলনে নিয়মিতভাবে অধ্যাপক টি এ সরস্বতী আম্মা স্মারক বক্তৃতা শুরু করে।[২][৩] মিশিও ইয়ানো, যিনি সরস্বতী আম্মার জিয়োমেট্রি ইন এন্সিয়েন্ট অ্যাণ্ড মেডিভ্যাল ইণ্ডিয়া বইটির পর্যালোচনা করেছিলেন, তাঁর ভাষায়, বইটি "ভারতীয় জ্যামিতি অধ্যয়নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করেছে"।[৪]

ডেভিড মামফোর্ডের মতে, কিম প্লফকারের ম্যাথমেটিক্স ইন ইণ্ডিয়া বইয়ের সাথে, "আর একটিমাত্র জরিপ আছে, সেটি হলো দত্ত এবং সিংয়ের ১৯৩৮ সালের হিস্ট্রি অফ হিন্দু ম্যাথেমেটকস ... এটির পরিপূরক হলো সরস্বতী আম্মার জিয়োমেট্রি ইন এন্সিয়েন্ট অ্যাণ্ড মেডিভ্যাল ইণ্ডিয়া, (১৯৭৯) যেটি খুঁজে পাওয়া সমান কঠিন", যেখানে, ভারতীয় গণিতে "বেশিরভাগ বিষয়ের একটি সাধারণ বর্ণনা পেতে পারেন"।[৫]

তাঁর বই জিয়োমেট্রি ইন এন্সিয়েন্ট অ্যাণ্ড মেডিভ্যাল ইণ্ডিয়া ভারতের সংস্কৃত এবং প্রাকৃত বৈজ্ঞানিক ও আধা-বৈজ্ঞানিক সাহিত্যের একটি সমীক্ষা, যা বৈদিক সাহিত্যের সাথে শুরু হয় এবং ১৭ শতকের প্রথম দিকে শেষ হয়। এটি বিশদভাবে কাজ করেছে বৈদিক সাহিত্যের শুল্ব সূত্র, জৈন আনুশাসনিক (ক্যানোনিকাল) রচনা এবং হিন্দু সিদ্ধান্তের গাণিতিক অংশ ও জ্যোতির্বিদ গণিতবিদ আর্যভট্ট প্রথম ও দ্বিতীয়, শ্রীপতি, ভাস্কর প্রথম ও দ্বিতীয়, সঙ্গমগ্রাম মাধব, পরমেশ্বর, নীলকন্ঠ, তাঁর শিষ্য এবং আরও অনেকের অবদানের সাথে। গণিতবিদ মহাবীর, শ্রীধর ও নারায়ণ পণ্ডিতের কাজ এবং বাকশালী পাণ্ডুলিপিও অধ্যয়ন করা হয়েছে। কাজটি এই তত্ত্বকে ভেঙে দেবার চেষ্টা করেছে যে ভারতীয় গাণিতিক প্রতিভা মূলত বীজগণিত এবং গণনামূলক ছিল এবং এটি প্রমাণ ও যুক্তিকে এড়িয়ে চলে। ভারতে একটি স্কুল ছিল যা বীজগণিতের ফলাফলের জ্যামিতিক প্রদর্শনে আনন্দিত।[৬]

নির্বাচিত প্রকাশনা[সম্পাদনা]

বই[সম্পাদনা]

গবেষণাপত্র[সম্পাদনা]

  • টি এ সরস্বতী আম্মা (১৯৫৮–১৯৫৯)। "স্রেডি-ক্ষেত্রজ অর ডায়াগ্রামেটিক রিপ্রেজেন্টেশনস অফ ম্যাথেমেটিক্যাল সিরিজ": ৭৪–৮৫। 
  • টি এ সরস্বতী আম্মা (১৯৬১)। "দ্য সাইক্লিক কোয়াড্রিল্যাটারাল ইন ইণ্ডিয়ান ম্যাথেমেটিকস": ২৯৫–৩১০। 
  • টি এ সরস্বতী আম্মা (১৯৬১–৬২)। "দ্য ম্যাথেমেটিকস অফ দ্য ফার্স্ট ফোর মহাাধিকারস অফ ত্রিলোকপ্রজ্ঞাপতি": ২৭–৫১। 
  • টি এ সরস্বতী আম্মা (১৯৬২)। "মহাবীর'স ট্রিটমেন্ট অফ সিরিজ": ৩৯–৫০। 
  • টি এ সরস্বতী আম্মা (১৯৬৯)। "ভারতে গাণিতিক ধারণার বিকাশ": ৫৯–৭৮। 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. 1094 of the Kollam Era translates to 26 December 1918. See https://www.mobilepanchang.com/malayalam/malayalam-month-calendar.html?date=26/12/1918 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে
  2. Gupta, R.C. (২০০৩)। "Obituary: T.A. Sarasvati Amma" (পিডিএফ): 317–320। ১৬ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. Fraser, Craig। "Report on the Awarding of the Kenneth O. May Prize"International Commission on the History of Mathematics। ২১ জুলাই ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১০ 
  4. Yano, Michio (১৯৮৩)। "Review of Geometry of Ancient and Medieval India by T. A. Sarasvati Amma": 467–470। ডিওআই:10.1016/0315-0860(83)90014-9 
  5. Mumford, David (মার্চ ২০১০)। "Book Review" (পিডিএফ) 
  6. Sarasvati Amma, T. A. (১৯৯৯)। Book Review by Google। Motilal Banarsidass Publ.। আইএসবিএন 9788120813441। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১০