বিষয়বস্তুতে চলুন

কাত্যায়ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কাত্যায়ন (খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতক) একজন সংস্কৃত ব্যাকরণবিদ এবং বৈদিক আমলের প্রথিযশা গণিতবিদ। তিনি বৈদিক ভারতের একজন অধিবাসী ছিলেন।[][]

কিছু কিছু কিংবদন্তি অনুযায়ী, তিনি বিশ্বামিত্রের বংশ থেকে উৎপন্ন কাত্য বংশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাই তাঁর নাম হয় কাত্যায়ন। কথাসরিৎসাগর কাত্যায়নকে বররুচির আরেকটি নাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি ছিলেন শিবের অনুচর পুষ্পদন্তের পুনর্জন্ম। এই কাহিনীতে বলা হয়েছে যে তিনি শিবের পুত্র কার্তিকেয় (যিনি কুমার নামেও পরিচিত) এর কাছ থেকে ব্যাকরণ শিখেছিলেন। এই তথ্য গরুড়পুরাণেও পাওয়া যায়, যেখানে বলা হয়েছে কার্তিকেয় কাত্যায়নকে এমনভাবে ব্যাকরণের নিয়ম শিক্ষা দেন, যা শিশুরাও সহজে বুঝতে পারে। মনে করা হয়, তাঁর পূর্ণ নাম সম্ভবত বররুচি কাত্যায়ন ছিল।[][][]

দেবী কাত্যায়নী

[সম্পাদনা]

কালিকা পুরাণ-এর মতো গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে, ঋষি কাত্যায়ন মাতৃদেবীর উপাসনা করেছিলেন যেন তিনি তাঁর কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করেন। এই কারণেই দেবীকে বলা হয় কাত্যায়নী, অর্থাৎ "কাত্যায়নের কন্যা"। নবরাত্রি উৎসবের ষষ্ঠ দিনে এই দেবীর পূজা করা হয়।[]

বামন পুরাণ অনুসারে, এক সময় দেবতারা অসুর মহিষাসুর-এর অত্যাচার নিয়ে আলোচনা করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন এবং তাঁদের ক্রোধ শক্তির রূপে প্রকাশ পায়। সেই শক্তির রশ্মিগুলি ঋষি কাত্যায়নের আশ্রমে স্ফটিকীকৃত হয়ে পড়ে। কাত্যায়ন ঋষি সেই শক্তিকে এক সুনির্দিষ্ট রূপ দেন। সেই কারণে তাঁকে কাত্যায়নী বলা হয়।[]

অবদান

[সম্পাদনা]

তিনি দুটি বিশেষ কাজের জন্য এখনও বিখ্যাত হয়ে আছেন

  • তিনি ‘বার্তিক’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এটি পাণিনির ব্যকারণের ব্যাখ্যা এবং ‘পতঞ্জলি’ র মহাভাষ্য। এটি সংস্কৃত ব্যকারণের মূল গ্রন্থ হয়ে ওঠে। এবং ১২ শতক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামুলক পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পরিচিত ছিল।
  • তিনি ‘সুল্বসুত্রের’ একটি অংশের ব্যাখ্যা লেখেন। এটি নয়টি সুত্রের একটি লিখন যেখানে জ্যামিতির মৌলিক বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে লম্ব,ত্রিভুজ,রম্বস প্রভৃতি জ্যামিতিক বিষয় গুলো আলোচনা করা হয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. www.wisdomlib.org (২০১৩-০৬-০৫)। "Katyayana, Kātyāyana: 25 definitions"www.wisdomlib.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৭ 
  2. "Language and Testimony in Classical Indian Philosophy > Approximate Chronology of Indian Philosophers (Stanford Encyclopedia of Philosophy)"plato.stanford.edu (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৭ 
  3. "scriptures/puranas-18-puranas-mahapurana/garud-puran/garuda-vol-2/chapter-01/topic-101 - Indian Scriptures"www.hinduscriptures.in। ২০১৯-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৭ 
  4. "Topic 101"Hindu Scriptures। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৭ 
  5. Baist, G. (১৮৯৭-১২-৩১)। 5. Die spanische Litteratur। Berlin, Boston: De Gruyter। পৃষ্ঠা 383–466। 
  6. "Different Forms of Durga - Nav Durga"www.durga-puja.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৭ 
  7. "scriptures/puranas-18-puranas-mahapurana/vamana-purana/chapter-18/topic-1 - Indian Scriptures"www.hinduscriptures.in। ২০১৯-০৭-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৫-২৭ 
  8. Joseph (2000), p. 328