এ এম এ এম জোনায়েদ সিদ্দিকী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এএমএএম জোনায়েদ সিদ্দিকী
জন্ম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
মাতৃশিক্ষায়তনবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল এর পূর্নাঙ্গ জিনোম বিন্যাস উন্মোচন
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপরজীবীবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহচট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়

এএমএএম জোনায়েদ সিদ্দিকী একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক ও আণবিক জীববিজ্ঞানের গবেষক। তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের আরো সাতজন গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে বাংলাদেশের স্থানীয় জাতের কালো ছাগলের জিন নকশা সফলভাবে উন্মোচিত হয়।[১] বিজ্ঞান সাময়িকী বিএমসি রিসার্চ নোটস এবং টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের ‘মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ-বি' প্রকাশনায় তার এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।[১][২] এছাড়াও চট্টগ্রামের কোভিড-১৯ সনাক্তকরণে সিভাসুতে প্রতিষ্ঠিত ল্যাবের তত্ত্বাবধানে তিনি নিয়োজিত।[৩]

শিক্ষা ও কর্ম[সম্পাদনা]

এ এম এ এম জোনায়েদ সিদ্দিকী বাংলাদেশের নরসিংদী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ সালে ব্রাহ্মন্দী কে. কে. এম. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি মেডিসিনে পড়াশোনা শুরু করেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই তিনি পরজীবীবিজ্ঞানে স্নাতকত্তোর সমাপ্ত করে ২০০০ সালে সিভাসুতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। উচ্চতর শিক্ষার্থে জোনায়েদ সিদ্দিকী মার্কিন যুক্তরাজ্যে গমন করেন। তিনি গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় ও লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যৌথভাবে ২০০৬ সালে তার পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০১৩ সাল থেকে সিভাসুতে পরজীবীবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত। এছাড়াও তিনি গবেষক হিসেবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ছিলেন।

গবেষণা[সম্পাদনা]

অধ্যাপক সিদ্দিকী ২০১৯ সালে বাংলাদেশের কালো জাতের ছাগল- ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের জিনোম নকশা উন্মোচনের নেতৃত্ব দেন। যদিও সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বজলুর রহমান মোল্লাও এই বিষয়ে গবেষণা করছিলেন।[১] ২০২০ সালের এপ্রিলে সিভাসুতে কোভিড-১৯ সনাক্তকরণের কাজ শুরুর পর বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল এন্ড ইনফেকসিয়াস ডিজিসেস এর যৌথ প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের নমুনা থেকে প্রাপ্ত নতুন করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন করেন।[৪] এছাড়াও অধ্যাপক সিদ্দিকী নেক্সটজেন নামক একটি জৈব তথ্যবিজ্ঞান কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য উন্মোচন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২০ 
  2. Siddiki, Amam; Billah, Masum; Alam, Mohammad; Shawrob, Kazi Shefaul Mulk; Kumkum, Mahadia; Saha, Sourav; Chowdhury, Muntaha; Rahman, Atif H.; Stear, Michael (২০১৯-০৭-০৩)। "Complete mitochondrial genome sequence of Black Bengal goat (Capra hircus)"Mitochondrial DNA Part B4 (2): 2121–2122। ডিওআই:10.1080/23802359.2019.1623098 
  3. "CVASU lab starts testing coronavirus"। ডেইলি সান। ২৫ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২০ 
  4. "Five mutation points found in coronavirus genome in the region-Researchers in Ctg find after sequencing patient samples"। ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২০ 
  5. "নেক্সটজেন ইনফরমেটিক্সের ওয়েবসাইট"nextgen informatics.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]