বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট
প্রাতিষ্ঠানিক লোগো
সংক্ষেপেবিজেআরআই
গঠিত১৯৭৪
ধরনসরকারি
আইনি অবস্থাসক্রিয়
সদরদপ্তরমানিক মিয়া এভিনিউ, ঢাকা
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলাইংরেজি
মহাপরিচালক
ড. মোঃ আবদুল আউয়াল
প্রধান অঙ্গ
কৃষি মন্ত্রণালয়
ওয়েবসাইটবিজেআরআই

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত, পাট বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

ইতিহাস-

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসলের একমাত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯৩৬ সালে ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল জুট কমিটির (ICJC) আওতায় ঢাকায় জুট এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এদেশে পাটের গবেষণা শুরু হয়। ১৯৫১ সালে ইন্ডিয়ান সেন্ট্রাল জুট কমিটির (ICJC) স্থলে পাকিস্তান সেন্ট্রাল জুট কমিটি (PCJC) গঠিত হয় যার সদর দপ্তর ছিল ঢাকায়। ১৯৫১ সালে পাকিস্তান সেন্ট্রাল জুট কমিটি এর অধীনে পাট গবেষণাগার স্থাপিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে এ্যাক্টের মাধ্যমে (সংশোধিত হয় ১৯৯৬ সালে) প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট।

কার্যাবলি

[সম্পাদনা]

পাট বাংলাদেশের একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা লাভের পর পরই পাটশিল্পের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বাংলাদেশ সরকারের ১৯৭৪ সালের পাট আইনের আওতায় সেবছরই বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। নিম্নোক্ত কার্যাদি সম্পাদনের লক্ষ্যে পরবর্তীতে ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে সে আইনের পবিবর্তন করা হয়:

  1. পাট ও অন্যান্য আঁশ উৎপাদনকারী ফসল এবং তা থেকে উৎপাদিত দ্রব্যাদির উপর গবেষণা এবং তার ফলাফল প্রকাশ।
  2. উন্নতজাতের পাটবীজের প্রিডিগ্রির উৎপাদন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বর্ধিতকরণ এবং বোর্ড কর্তৃক প্রত্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠান, উৎপাদনকারী বা একই রকমের অন্যান্য এজেন্সির নিকট সরবরাহ করা।
  3. পাট ও অন্যান্য আঁশ উৎপাদনকারী ফসল এবং তা থেকে উৎপাদিত দ্রব্যাদির উপর গবেষণার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা কেন্দ্র, সাব-স্টেশন, পাইলট প্রজেক্ট এবং খামার প্রতিষ্ঠা করা।
  4. ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত জাতসমূহের প্রদর্শনের লক্ষ্যে প্রজেক্টের এলাকা ঠিক করা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের উক্ত জাতের পাট চাষে প্রশিক্ষণ দেয়া।
  5. পাটের গবেষণা এবং ইনস্টিটিউটের উপর বার্ষিক প্রতিবেদন, মনোগ্রাফ, বুলেটিন এবং অন্যান্য প্রকাশনা প্রকাশ করা।
  6. পাট ও অন্যান্য আঁশ উৎপাদনকারী ফসলের আধুনিক ও উন্নত চাষ পদ্ধতির উপর কর্মকর্তা, অগ্রসর কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, একই সঙ্গে কারিগরি বিষয়ক ব্যক্তিদের কলাকৌশলগত বিষয়াদির ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দেয়া।
  7. পাট আইনের উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা।

এখন পর্যন্ত এটি ১৭ টি দেশি,১৬ টি তোষা,২টি কেনাফ ও ১ টি মেস্তা জাতের পাট অবমুক্ত করেছে।

উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]
  1. পাট ও সমশ্রেণীর আঁশ ফসলের কৃষি, কারিগরী ও অর্থনৈতিক গবেষণা, ব্যবস্থাপনা এবং আঁশজাত ফসল উৎপাদন এবং গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ।
  2. উন্নতমানের কৌলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতাসহ পাটবীজ উৎপাদন, পরিচালন, পরীক্ষণ, সরবরাহ এবং সীমিত আকারে উন্নত মানের পাটবীজ উৎপাদন, সংগ্রহ ও নির্বাচিত চাষী, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান এবং বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সীর নিকট বিতরণ।
  3. পাট ও সমশ্রেণীর আঁশ ফসল, পাটজাত পণ্য ও আনুষঙ্গিক বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গবেষণা কেন্দ্র, পাইলট প্রজেক্ট এবং খামার স্থাপন।
  4. পাট ও সমশ্রেণীর আঁশ ফসল চাষের উন্নত পদ্ধতি সম্পর্কে পাটের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ এবং পাট সংক্রান্ত কারিগরী গবেষণালব্ধ প্রযুক্তি সম্পর্কে পাট শিল্পে সংশ্লিষ্ট জনশক্তির প্রশিক্ষণের আয়োজন করা।
  5. উত্তরবংগে পাট চাষ এর প্রভাব অনেক বেশি। তাই প্রায় ৯০ শতাংশ পাট-ই আমদানি করা হয় উত্তরবংগ থেকে।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]