উইকিপিডিয়া:কোনো মৌলিক গবেষণা নয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(উইকিপিডিয়া:OR থেকে পুনর্নির্দেশিত)

উইকিপিডিয়া মৌলিক গবেষণা বা মৌলিক দর্শন প্রকাশ করে না। অর্থাৎ, উইকিপিডিয়াতে মৌলিক গবেষণা গ্রহণযোগ্য, বিতর্ক, অনুমান, আইডিয়া বা কোনো অপ্রকাশিত চিন্তাধারা, এবং প্রকাশিত বিষয়ের নতুন কোনো বিশ্লেষণ বা সংশ্লেষণ, যা কোনো তথ্যসূত্র দ্বারা প্রমাণিত নয়, তা বর্জন করা বাঞ্ছনীয়। বিশ্বকোষের কাজ হলো অন্য বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য যোগাড় করে উপস্থাপন করা। প্রতিটি তথ্য অবশ্যই কোন উৎস থেকে নেয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করতে হবে। এর অর্থ, উইকিপিডিয়ার কোনো নিবন্ধে আপনি আপনার মতামত, অভিজ্ঞতা, অনুযোগ, বা উপসংহার প্রয়োগ করতে পারেন না।

উৎসনির্দেশ করা এবং ব্যক্তিগত ও অপ্রকাশিত গবেষণা পরিহার করা—দুটোই পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এটি বোঝায় যে, আপনি মৌলিক গবেষণা উপস্থাপন করছেন না। এবং আপনাকে অবশ্যই বিষয়বস্তুর সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র প্রকাশ করতে হবে, এবং সেটাকে আপনার দেওয়া তথ্যকে সরাসরি সমর্থন করতে হবে।

উইকিপিডিয়ায় পরিবেশিত তথ্যের প্রকৃতি কেমন হবে, সে ব্যাপারে তিনটি প্রধান নীতি আছে, যাদের একটি হল উইকিপিডিয়া:কোনো মৌলিক গবেষণা নয়। এ-সম্পর্কিত অন্য দু'টি প্রধান নীতি হল উইকিপিডিয়া:নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি এবং উইকিপিডিয়া:যাচাইযোগ্যতা। মূলনীতি তিনটি একে অপরের পরিপূরক এবং সে-ভাবেই এগুলোকে জানতে হবে, বিছিন্নভাবে নয়। তাই সম্পাদকদের এই তিনটি মুলনীতি সম্পর্কেই যথাযথ ধারণা অর্জন করতে হবে।

উইকিপিডিয়া নির্ভরযোগ্য উৎসনির্ভর লেখাকে উৎসাহিত করে। এখানে সেসব গবেষণামূলক লেখা প্রকাশ করা যাবে যা পূর্বপ্রকাশিত উৎসের উপর নির্ভরশীল। উইকিপিডিয়ার ভিত্তি হলো "উৎস-নির্ভর গবেষণা"। নিজস্ব মত প্রকাশের সুযোগ এখানে নেই। উৎসের সাথে অসঙ্গতীপূর্ণ কোনো কিছু এখানে প্রকাশ করা যাবেনা।

যদি কোনো বিষয়ের উপর নির্ভরযোগ্য তৃতীয়পক্ষ-তথ্যসূত্র না পাওয়া যায় তাহলে সে বিষয়ে উইকিপিডিয়াতে প্রবন্ধ তৈরি করা উচিত নয়।

নির্ভরযোগ্য উৎস[সম্পাদনা]

নির্ভরযোগ্য উৎস ব্যতিত লেখাকে উইকিপিডিয়া থেকে সরিয়ে নেয়া হতে পারে। যে বিষয়বস্তুর জন্য নির্ভরযোগ্য উৎস খুজে পাওয়া যায়না সেটাকে মৌলিক গবেষণা হিসাবে ধরে নেয়া হয়। এজন্য সম্পাদনার সময় উৎস উল্লেখ করা জরুরী। তবে উৎস উল্লেখ করার পরেও যদি উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ লেখা পাওয়া যায়, তাহলে সেটা মৌলিক গবেষণা হিসাবে ধরা হবে।

সাধারণভাবে নির্ভরযোগ্য উৎস বলতে ধরা হয় গবেষণাপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত বই, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক, অন্যান্য সুনাম আছে এমন প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন,বই, মূলধারার সংবাদপত্র ইত্যাদি।

সাধারণভাবে অনেক মানুষ তথ্য বিশ্লেষণ, সত্যতা যাচাই, মান নিয়ন্ত্রণের সাথে যুক্ত থাকলে সে প্রকাশনাকে নির্ভরযোগ্য ধরা হয়। স্বপ্রকাশিত উৎসকে নির্ভরযোগ্য ধরা হয়না, তবে এর ব্যতিক্রমের জন্য এখানে দেখুন

আপনি যদি নতুন কিছু আবিষ্কার করেন তাহলে উইকিপিডিয়া সেটা প্রকাশের যায়গা নয়। আপনার আবিষ্কার কোনো নির্ভরযোগ্য উৎসে প্রকাশের পরেই কেবল মাত্র সেটা সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে লেখা যাবে।

উৎসের ব্যবহার[সম্পাদনা]

প্রবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য অবশ্য যাচাইযোগ্য হতে হবে। একাধিক অর্থ হতে পারে এমন লেখা পরিহার করতে হবে অথবা নিখুত ভাবে তথ্যসূত্র উল্লেখ করতে হবে। প্রবন্ধের সারমর্মতে তথ্যসূত্রের লেখকের মতামতকে তুলে ধরতে হবে, তথ্যসূত্রে বলা হয়নি এমন যেকোনো মতামত মৌলিক গবেষণার অন্তর্ভূক্ত। উৎস অবশ্যই লেখার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

প্রাথমিক, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় উৎস[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়ার প্রবন্ধ নির্ভরযোগ্য ২য় উৎস নির্ভর হওয়া উচিত, অনেকক্ষেত্রে তৃতীয় উৎস ব্যবহার করা যেতে পারে। ২য় এবং ৩য় উৎস একটি বিষয়ের উল্লেখযোগ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন, প্রাথমিক উৎসও ব্যবহার করা যেতে পারে সতর্কভাবে। প্রাথমিক উৎসের সকল দাবি, বিশ্লেষণ ইত্যাদি আরেকটি উৎসদ্বারা যাচাইযোগ্য হতে হবে, উইকিপিডিয়া সম্পাদকরা এ ব্যাপারে নিজস্ব মতামত বা বিশ্লেষণ যুক্ত করতে পারবেননা।

সঠিক উৎস নির্দেশ একটি জটিল ব্যাপার, এগুলো হলো সাধারণ নিয়ম। একটি উৎস প্রাথমিক, ২য় নাকি ৩য় সেটা সম্পাদকের বিবেচনাবোধের উপর নির্ভর করে। প্রয়োজনে আলাপ পাতায় আলোচনা করা যেতে পারে।

নীতিনির্ধারণের স্বার্থে প্রাথমিক, ২য় এবং ৩য় উৎসকে নিম্নলিখিত ভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে: [১]

  • প্রাথমিক উৎস কোনো একটি ঘটনার সাথে জড়িত লেখক নিজেই যখন লিখেন। তিনি নিজেই যখন ঘটনাকে তার মত করে বিশ্লেষণ করেন। এই বিশ্লেষণ হতে পারে, কোনো ইতিহাসকে বর্ণনা, কোনো শিল্পকলাকে বর্ণনা, কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে বর্ণনা। যেমনঃ মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে দেশ পরিচালনা করছেন, তিনি তার সময়কালীন রাজনীতি নিয়ে একটি বই লিখলেন, এরপর তার সিদ্ধান্ত গুলো দেশের জন্য ঠিক ছিল কী ভুল, উইকিতে তার বই থেকেই বিশ্লেষন গুলো তুলে ধরা হলো, এক্ষেত্রে তা হবে প্রাথমিক উৎস থেকে বর্ণনা। একইভাবে কোনো গবেষক গবেষণা পত্র প্রকাশ করার পর যদি অন্য কেও রিভিউ না করে, তবে তা প্রাথমিক উৎস। ঐতিহাসিক দলিল যেমনঃ দিনপঞ্জি প্রাথমিক উৎস।[২]
আমাদের নীতি: প্রাথমিক উৎস ব্যবহার হতে পারে বিশ্বকোষীয় নিবন্ধে, তবে সতর্কতার সাথে, কারণ তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রাথমিক উৎস যে ব্যাখ্যামুলক সিদ্ধান্ত দেয়, তা উইকিতে প্রকাশের সাথে, সেই ব্যাখ্যার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো দ্বিতীয় উৎস থেকেও ব্যাখ্যা ব্যবহার করতে হবে। কোনো বিশেষায়িত জ্ঞান ছাড়াই যে কোনো শিক্ষিত ব্যক্তি কোনো বিষয়কে বর্ণনা করতে প্রাথমিক উৎস ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ, কোনো উপন্যাসকে সারসংক্ষেপ ভাবে বর্ণনা করতে হলে প্রাথমিক উৎসকে ব্যবহার করা যাবে। তবে কোনো ব্যাখ্যা দিতে হলে দ্বিতীয় উৎসকে তথ্যসুত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। প্রাথমিক উৎস থেকে কোনো কিছুই ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ, দাবী, সিদ্ধান্ত দিবেন নাখেয়াল রাখবেন কোনো নিবন্ধই যেন সম্পুর্ণভাবে প্রাথমিক উৎসের উপর নির্ভরশীল না হয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কোনো উৎসবিহীন উপাদান বিশ্বকোষীয় নিবন্ধে সংযুক্ত করবেন না
  • Secondary sources are second-hand accounts, at least one step removed from an event. They rely for their material on primary sources, often making analytic or evaluative claims about them.[৩] For example, a review article that analyzes research papers in a field is a secondary source for the research.[৪]
আমাদের নীতি: উইকিপিডিয়াতে সচরাচর দ্বিতীয় উৎসকেই তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নিবন্ধ বিশ্লেষণধর্মী অথবা এতে মুল্যায়ন করার মত দাবী করা যেতে পারে, যদি তা দ্বিতীয় উল্লেখিত থাকে।
  • বহুমাত্রিক উৎস এনসাইক্লোপিডিয়া বা অন্যান্য সংক্ষিপ্তসারের ন্যায় প্রকাশনা; যা মুলত দ্বিতীয় উৎসকেই সারসংক্ষেপ করে প্রকাশ করে। উইকিপিডিয়া এরুপ বহুমাত্রিক উৎস। বিদ্যালয়ের পাঠ্যবইগুলোও এরুপ বহুমাত্রিক উৎস; কারণ বিভিন্ন দ্বিতীয় উৎসকে তথ্যসুত্র ধরে পাঠ্যবই লেখকগণ বই লিখে থাকেন।
আমাদের নীতি: Reliably published tertiary sources can be helpful in providing broad summaries of topics that involve many primary and secondary sources. Some tertiary sources may be more reliable than others, and within any given tertiary source, some articles may be more reliable than others. Wikipedia articles may not be used as tertiary sources in other Wikipedia articles, but are sometimes used as primary sources in articles about Wikipedia itself.

প্রকাশিত একাধিক গবেষণার সংমিশ্রণ যা নতুন সিদ্ধান্ত প্রদান করে[সম্পাদনা]

একাধিক উৎসথেকে তথ্য নিয়ে নিজে এমন কোনো সিদ্বান্ত প্রদান করবেননা যা কোনো উৎসে সরাসরি বলা হয়নি। একটি নির্ভরযোগ্য উৎস যদি বলে "ক", আরেকটি নির্ভরযোগ্য উৎস যদি বলে "খ" তাহলে "ক" এবং "খ" মিলিয়ে আরেকটি সিদ্ধান্ত "গ" প্রদান করবেননা যা দুটি উৎসের কোনোটায় বলা নেই। এটা হবে প্রকাশিত একাধিক গবেষণার সংমিশ্রণ যা একটি নতুন সিদ্ধান্ত প্রদান করে ফলে সেটা একটি মৌলিক গবেষণা।.[৫] "গ" সিদ্ধান্তটি গ্রহণযোগ্য হবে তখনই যখন কোনো নির্ভরযোগ্য উৎসে সেটা বলা হবে।

সতর্কতার সাথে উৎসের সারমর্ম করা বা অর্থ পরিবর্তন না করে ভাষা পরিবর্তন করা এই নীতির বিরোধি নয় বরং এটা ভালো সম্পাদনা। উইকিতে লেখার সবথেকে ভালো পদ্ধতি হলো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে গবেষণা করে সেখানে যা বলা হয়েছে সেটা নিজের ভাষায় বলা এবং সঙ্গে সঙ্গে উৎস উল্লেখ করা।

  • উদাহরণ:
নীচে দুইটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলো

☒না বিশ্বজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সৃষ্টি হয়েছে। এর সৃষ্টির পর থেকে বিশ্বজুড়ে শুধুমাত্র ১৬০ টি যুদ্ধ হয়েছে

উপরোক্ত ছকের দুইটি বাক্যই নির্ভরযোগ্য তথ্যসুত্র থেকে উদ্ধৃত হতেও পারে। কিন্তু এই দুইটি তথ্যসুত্র দিয়ে বাক্য পরপর রাখার পর এটিই অনুমিত হচ্ছে যে, জাতিসংঘ বিশ্বজুড়ে শান্তি বজায় রাখতে অনেকাংশেই সফল।

আরেকটি অনুচ্ছেদ দেখা যাকঃ

☒না বিশ্বজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এর সৃষ্টির পর থেকে বিশ্বজুড়ে ১৬০ টি যুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে

  • ছকের ভিতর থাকা দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দুইটি বাক্য পরলে অনুমিত হয়, জাতিসংঘ শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। যা আগের অনুচ্ছেদের সম্পুর্ণ বিপরীত। অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে, উপযুক্ত তথ্যসুত্র দিয়েও বাক্যকে ক্রমানুসারে ভুলভাবে সন্নিবেশিত করলে, বাক্যের মুল অর্থ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। যদি না, কোনো উপযুক্ত নির্ভরযোগ্য তথ্যসুত্রে এই দুইটি বাক্যকে একসাথে রেখে এরুপ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়, কিন্তু বিশ্বকোষীয় নিবন্ধের সম্পাদক স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এই বাক্য উদ্ধৃত করে; তবে এটি একটি মৌলিক গবেষণা, যা বিশ্বকোষীয় নিবন্ধে থাকার উপযুক্ত নয়।
আরো দুইটি অনুচ্ছেদের উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হলোঃ

ধরুনঃ স্মিথ ও জন্স নামেক গ্রন্থাকারের মধ্যে বিশ্বকোষীয় নিবন্ধ নিয়ে বিতর্ক চলছে

YesY স্মিথ বলেছে, জন অন্য লেখকের বই থেকে তথ্য চুরি করে প্ল্যাগারিজম বা লেখা চুরির মত গর্হিত অপরাধ করেছে। জন এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, নতুন তথ্যসুত্র খুজার জন্য অন্য কারো বইকে তথ্যসুত্র হিসেবে ব্যবহার করা, বিশেষজ্ঞদের দুনিয়ায় একটি সাধারণ নিয়মতান্ত্রিক ব্যাপার।

প্রথম অনুচ্ছেদটা ঠিক আছে। কারণ প্রতিটা বাক্যই সতর্কতার সাথে তথ্যসুত্র দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ যদি নিম্নোক্ত রকম হয়:

☒না যদি জন মুল তথ্যসুত্রকে উদ্ধৃত না করে, তবে তা হার্ভার্ডের তথ্যসুত্র দ্বারা লিখুন এই নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক হবে। হার্ভার্ড এই নিয়ম লঙ্ঘনকে লেখা চুরি বলে অভিহিত করে না। তবে প্ল্যাগারিজম বা লেখা চুরীর সংজ্ঞায় বলা আছে, কোনো তথ্যসুত্র না দিয়ে কারো শব্দ, তথ্য, লেখার ভাব ব্যবহার করা প্ল্যাগারিজম।

  • দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ মৌলিক গবেষণা কারণ, এখানে স্মিথ কী বলেছে তার পরিবর্তে উইকি সম্পাদকের কথা উঠে এসেছে। যদি দ্বিতীয় অনুচ্ছেদকে বিশ্বকোষীয় নিবন্ধে রাখতে হয়, তবে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্যসুত্রে স্মিথের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য, জনের বিরোধিতা ও হার্ভার্ডের নিয়মতান্ত্রিকতা একত্রে থাকতে হবে। তবেই তা বিশ্বকোষীয় নিবন্ধে থাকতে পারবে।

নিজের প্রকাশনাকে উৎসরূপে ব্যবহার[সম্পাদনা]

এই নীতি অনুসারে সম্পাদক তার জানা কোনো বিশেষ তথ্য উইকিতে সম্পাদিত করতে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত নন, তবে এই নীতি সম্পাদককে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসুত্র ছাড়া সম্পাদকের ব্যক্তিগত জ্ঞান উইকিতে সন্নিবেশ করতে বাধাদান করছে। যদি সম্পাদক তার গবেষনা কোনো নির্ভরযোগ্য মাধামে প্রকাশ করেন, তবে তিনি শুধুমাত্র তথ্যসুত্রকে লেখায় সন্নিবেশ করতে পারেন। নিবন্ধে মুল লেখা তৃতীয় কোনো ব্যক্তি লিখবেন এবং নিবন্ধে নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন। উইকিপিডিয়ার স্বার্থের সংঘাত নীতি দেখুন।

মৌলিক ছবি[সম্পাদনা]

বিভিন্ন দেশে কপিরাইট আইন থাকার জন্য উইকিপিডিয়াতে কিছু চিত্র সহজলভ্য আছে। সম্পাদকরা তাদের নিজেদের আলোকচ্চিত্র জিএফডিল, সিসই-বিওয়াই-এসএ, অথবা অন্যান্য মুক্ত লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশ করতে পারেন। একজন উইকিপিডিয়ানের নিজের আলোকচ্চিত্র কখনোই মৌকিক গবেষণা হিসেবে বিবেচিত হবে না, যদি না, তা কোনো অপ্রকাশিত ধারণা বা বিতর্ককে প্রতিনিধিত্ব করে। আলোকচ্চিত্রের শিরোনামও কোনো মৌলিক গবেষণাকে প্রতিনিধিত্ব করছে এমনটা যেন না হয় ও মুল নিবন্ধ ও আলোকচ্চিত্রের সাথে সংগতিপূর্ণ হয়।

একজন সম্পাদক মুল ছবিতে কোনরুপ পরিবর্তন করবেন; তা কখনোই গ্রহণীয় নয়। যদি পরিবর্তন করা হয়; তা সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। ছবিতে যে কোনো পরিবর্তন যদি বিশ্বকোষীয় মান ক্ষুণ্ণ করে; তবে তা অপসারণের নীতি অনুসারে সরিয়ে ফেলা হবে।জীবিত ব্যক্তির আলোকচ্চিত্র কোনোভাবেই বিকৃত বা পরিবর্তন করবেন না।

অনুবাদ[সম্পাদনা]

যেখানে বিদেশী ভাষায় লেখার বাংলা অনুবাদ সহজলভ্য নয় সেখানে উইকিপিডিয়া সম্পাদকরা নিজের করা অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন, সাথে মূল ভাষায় লেখাটি টীকা হিসাবে দিতে হবে। এধরণের অনুবাদ নিয়ে মতভেদ দেখা দিলে সম্পাদনকারীরা একসাথে কাজ করে ঐকমত্যে পৌছানোর চেষ্টা করবেন। কপিরাইট সমস্যা না থাকলে নির্ভরযোগ্য উৎসের করা অনুবাদ উইকিপিডিয়া সম্পাদকদের অনুবাদের থেকে বেশি গ্রহণযোগ্য।

নিয়মিত হিসাব[সম্পাদনা]

এউ নীতিমালা নিয়মিত হিসাব যেমনঃ সংখ্যা যুক্ত করা, ব্যক্তির বয়স হিসাব করা, একককে রুপান্তর করা, এরুপ হিসাবকে বাধা দেয় না। সম্পাদকরা যাচাইযোগ্য তথ্যসুত্রের মাধ্যমে ঐক্যমতে পৌছে, পাটিগাণিতিক হিসাবকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন। এধরনের হিসাব করতে কিছু টেমপ্লেট ব্যবহার করা যায়।

সম্পর্কিত নীতিমালা[সম্পাদনা]

যাচাইযোগ্যতা[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়াতে অন্তর্ভূক্তির মূল শর্ত হলো যাচাইযোগ্যতা, সত্যতা নয়। "কোনো মৌলিক গবেষণা নয়" নীতি এবং "যাচাইযোগ্যতা" নীতি দিয়ে নিশ্চিত করা হয় একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎসে প্রকাশিত তত্ব, ফলাফল, মতামত ইত্যাদি উইকিপিডিয়াতে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে।

নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

উইকিপিডিয়া মৌলিক গবেষনাকে তথ্যসুত্র হিসেবে দেওয়াকে বাধাদান করে, কারণ এখানে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী বজায় নাও থাকতে পারে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী বজায় রাখার জন্য নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্যসুত্রকে ব্যবহার করতে উইকিপিডিয়ার নীতিমালায় উৎসাহিত করা হয়। একই বিষয়কে বা তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়; তা উইকিতে উল্লেখ করা উচিত। এক্ষেত্রে কতটা ভালোভাবে গবেষনা করা হয়েছে, তা কোনো বিষয়ই না। নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে মাত্রই তা প্রামাণিক। একজন সম্পাদকের এটা কখনোই দায়িত্ব নয়, তিনি প্রতিটা গবেষণা পত্রকে পুঙ্ক্ষানুপুঙ্ক্ষভাবে বিশ্লেষণ করবেন; তবে গবেষণাপত্রকে নিবন্ধে উল্লেখ করার সময় তা কতটা প্রভাবশালী এবং তা সংখ্যাগরিষ্ঠ না সংখ্যালঘিষ্ঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছে, তা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ।

জিম্বো ওয়ালস এই প্রসঙ্গে বলেছেনঃ

  • যদি তোমার দৃষ্টিভঙ্গী সংখ্যাগরিষ্ঠের সাথে মিলে যায়, তবে নির্ভরযোগ্য তথ্যসুত্র দিয়ে উদ্ধৃত করা সহজ ব্যাপার;
  • যদি তোমার দৃষ্টিভঙ্গী সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষের সাথে মিলে যায়, তবে সেইসব গুরুত্বপুর্ণ সংখ্যালঘু মানুষের নাম উল্লেখ করে তথ্যসুত্র দিয়ে দৃষ্টিভঙ্গী উদ্ধৃত করো;
  • যদি তোমার দৃষ্টিভঙ্গী তার চেয়েও লঘু কারো সাথে মিলে যায়, যা সত্য না মিথ্যা, যা তুমি প্রমাণ করতে পারবে কিনা তা নিয়েই তুমিই দোলাচলে ভুগছ, তাহলে তার স্থান উইকিতে নয়, অন্য কোনো মাধ্যমে তা প্রকাশ করো। উইকিপিডিয়া কোনো ব্যক্তিগত গবেষনার স্থান নয়।[৬]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. This University of Maryland library page provides typical examples of primary, secondary and tertiary sources.
  2. Further examples include archeological artifacts, census results, video or transcripts of surveillance, public hearings, trials, or interviews; tabulated results of surveys or questionnaires; original philosophical works; religious scripture; and artistic and fictional works such as poems, scripts, screenplays, novels, motion pictures, videos, and television programs. For definitions of primary sources:
    • The University of Nevada, Reno Libraries define primary sources as providing "an inside view of a particular event". They offer as examples: original documents, such as autobiographies, diaries, e-mail, interviews, letters, minutes, news film footage, official records, photographs, raw research data, and speeches; creative works, such as art, drama, films, music, novels, poetry; and relics or artifacts, such as buildings, clothing, DNA, furniture, jewelry, pottery.
    • The University of California, Berkeley library offers this definition: "Primary sources enable the researcher to get as close as possible to what actually happened during an historical event or time period. Primary sources were either created during the time period being studied, or were created at a later date by a participant in the events being studied (as in the case of memoirs) and they reflect the individual viewpoint of a participant or observer."
  3. University of California, Berkeley library defines "secondary source" as "a work that interprets or analyzes an historical event or phenomenon. It is generally at least one step removed from the event".
  4. The Ithaca College Library compares research articles (primary sources) to review articles (secondary sources).
  5. Jimmy Wales has said of synthesized historical theories: "Some who completely understand why Wikipedia ought not create novel theories of physics by citing the results of experiments and so on and synthesizing them into something new, may fail to see how the same thing applies to history." (Wales, Jimmy. "Original research", December 6, 2004)
  6. Wales, Jimmy. "WikiEN-l roy_q_royce@hotmail.com: --A Request RE a WIKIArticle--", September 29, 2003.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]