বিষয়বস্তুতে চলুন

ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দল থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল
সংঘইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
আইসিসি মর্যাদাপূর্ণাঙ্গ সদস্য (১৯০৯)
আইসিসি অঞ্চলইউরোপ
টেস্ট
প্রথম টেস্টইংল্যান্ড ইংল্যান্ডঅস্ট্রেলিয়া 
(ব্রিসবেন একজিবিশন গ্রাউন্ড, ব্রিসবেন; ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৪)
একদিনের আন্তর্জাতিক
প্রথম ওডিআইইংল্যান্ড ইংল্যান্ডআন্তর্জাতিক একাদশ
(হোভ; ২৩ জুন, ১৯৭৩)
বিশ্বকাপ উপস্থিতি১০ (১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম)
সেরা ফলাফলবিজয়ী (১৯৭৩, ১৯৯৩ ও ২০০৯)
টোয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক
প্রথম টি২০আইইংল্যান্ড ইংল্যান্ডনিউজিল্যান্ড 
(হোভ; ৫ আগস্ট, ২০০৪)
টি২০ বিশ্বকাপ উপস্থিতি৫ (২০০৯ সালে সর্বপ্রথম)
সেরা ফলাফলবিজয়ী (২০০৯)

টেস্ট কিট

ওডিআই কিট

টি২০আই কিট

১৭ জুন, ২০১৬ অনুযায়ী

ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দল জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে মহিলাদের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করছে। এছাড়াও, ইংল্যান্ড ওম্যান’স একাডেমি নামে একটি দল রয়েছে যা পূর্ণাঙ্গ ইংল্যান্ড দলের পরেই অবস্থান করছে।[] ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে। তিন টেস্টের ঐ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলকে ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল। বর্তমান অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন হিদার নাইট। সাবেক অধিনায়ক শার্লত এডওয়ার্ডসের দশ বছরের মেয়াদ শেষে অবসর নিলে জুন, ২০১৬ সাল থেকে তিনি এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ড ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো মহিলাদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অংশগ্রহণ করে। পুরুষ দলের বডিলাইন সিরিজের পর বেটি আর্চডেলের নেতৃত্বে দলটি অস্ট্রেলিয়া সফর করে। অস্ট্রেলীয়দের কাছ থেকে অধিনায়কসহ দলটি উষ্ণ সংবর্ধনা পায়।[] দলটি প্রথম দুই টেস্টে জয়লাভ করে ও তৃতীয় টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হয়। এরফলে তারা সিরিজ জয়লাভ করে। এছাড়াও স্বদেশে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড দলকে ইনিংস ও ৩৩৭ রানের বিরাট ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছিল।[] বেটি স্নোবল খেলায় ১৮৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন যা অর্ধ-শতাব্দীকাল অক্ষত ছিল।[] ঐ যুগে দলের অল-রাউন্ডার মার্টল ম্যাকলাগান ছিলেন অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। ৭ জানুয়ারি, ১৯৩৫ তারিখে মহিলাদের টেস্ট খেলায় প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরি করেছিলেন।

দুই বছর পর ইংল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করে। ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া দল সফরে এসে নর্দাম্পটনে এ সাফল্য পায়। ইংল্যান্ড দলে ৭জন খেলোয়াড়ের অভিষেক স্বত্ত্বেও তারা ৩০০ রান অতিক্রম করে। অস্ট্রেলিয়া মাত্র ১০২ রানে আউট হলেও দলটি ৩১ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়।[] পরবর্তী টেস্টে মার্টল ম্যাকলাগানের ১১ রান ও বোলিং উদ্বোধন করতে নেমে পাঁচ উইকেট গ্রহণের ফলে ইংল্যান্ড জয়ী হয়।[] তৃতীয় টেস্ট ড্র হওয়ায় ১-১ সিরিজে পরিণত হয়।[]

প্রতিযোগিতার পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]
  • ১৯৮৯: বিজয়ী
  • ১৯৯০: বিজয়ী
  • ১৯৯১: বিজয়ী
  • ১৯৯৫: বিজয়ী
  • ১৯৯৯: বিজয়ী
  • ২০০১: রানার্স-আপ
  • ২০০৫: বিজয়ী (ডেভেলপম্যান্ট স্কোয়াড)
  • ২০০৭: বিজয়ী (ডেভেলপম্যান্ট স্কোয়াড)

(মন্তব্য: প্রত্যেক ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় ডেভেলপম্যান্ট স্কোয়াড প্রেরণ করেছিল। কিন্তু কেবলমাত্র ২০০৫ ও ২০০৭ সালে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে।

বর্তমান আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

আইসিসি মহিলাদের র‌্যাঙ্কিংয়ে টেস্ট, ওডিআই ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকের ফলাফলকে একটিমাত্র র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় তুলে ধরেছে। টেমপ্লেট:ICC Women's Rankings

বর্তমান দল

[সম্পাদনা]

এ তালিকায় ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি ইংল্যান্ডের পক্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বা সাম্প্রতিককালে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দেরকে দেখানো হয়েছে।

  • গাঢ় অক্ষরে ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য নির্বাচিতদেরকে দেখানো হয়েছে।[]
  • সবুজ রঙে ইসিবি'র সাথে ২০১৬-১৭ মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দেরকে দেখানো হয়েছে।[১০]
নাম বয়স ব্যাটিংয়ের ধরন বোলিংয়ের ধরন ঘরোয়া দল টেস্ট ক্যাপ ওডিআই ক্যাপ টি২০ ক্যাপ নং
অধিনায়ক ও ব্যাটার
হিদার নাইট৩৪ডানহাতিডানহাতি মিডিয়ামবার্কশায়ার৫২২৬
ব্যাটার
লিডিয়া গ্রীনওয়ে৪০বামহাতিকেন্ট১৪১২৪৮০২০
ফ্রান উইলসন৩৪ডানহাতিসমারসেট-৩৫
উইকেট-কিপার
তামসিন বিউমন্ট৩৪ডানহাতিকেন্ট২৩৩৩১২
অ্যামি জোন্স৩২ডানহাতিওয়ারউইকশায়ার-৪০
সারাহ টেলর৩৬ডানহাতিসাসেক্স৯৮৭৩৩০
লরেন উইনফিল্ড৩৫ডানহাতিইয়র্কশায়ার১১১৫৫৮
অল-রাউন্ডার
জেনি গান৩৯ডানহাতিডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্টনটিংহ্যামশায়ার১১১২৬৮৪২৪
লরা মার্শ৩৮ডানহাতিডানহাতি অফ-ব্রেককেন্ট৭২৫৮
নাতালি সিভার৩৩ডানহাতিডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্টসারে২০২৮৩৯
ড্যানিয়েল ওয়াট৩৪ডানহাতিডানহাতি অফ-ব্রেকনটিংহ্যামশায়ার-৩৩৫৯২৮
পেস বোলার
ক্যাথেরিন ব্রান্ট৪০ডানহাতিডানহাতি ফাস্টইয়র্কশায়ার১০৮২৫০২৬
কেট ক্রস৩৪ডানহাতিডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়ামল্যাঙ্কাশায়ার১১১৬
জর্জিয়া এলউইস৩৪ডানহাতিডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্টসাসেক্স১৩৩৪
নাতাশা ফারান্ট২৯বামহাতিবামহাতি মিডিয়ামকেন্ট-৫৩
অ্যানিয়া শ্রাবসোল৩৩ডানহাতিডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়ামসমারসেট৩১৩৯৪১
স্পিন বোলার
রেবেকা গ্রান্ডি৩৫বামহাতিস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্সওয়ারউইকশায়ার-৫৪
ড্যানিয়েল হাজেল৩৭ডানহাতিডানহাতি অফ-ব্রেকইয়র্কশায়ার৩৯৬৩১৭

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "All Out Cricket"। ৮ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৪
  2. Heather Knight to captain England Women, by Jenny Thompson, Cricinfo, retrieved June 3, 2016
  3. Player Profile: Betty Archdale, from Cricinfo, retrieved 6 July 2006
  4. Only Test: New Zealand Women v England Women, Christchurch, 16–18 February 1935, from Cricinfo, retrieved 6 June 2006
  5. Player Profile: Betty Snowball, from Cricinfo, retrieved 6 July 2006
  6. 1st Test: England Women v Australia Women at Northampton, 12–15 Jun 1937, from Cricinfo, retrieved 6 July 2006
  7. 2nd Test: England Women v Australia Women at Blackpool, 26–29 Jun 1937, from Cricinfo, retrieved 6 July 2006
  8. 3rd Test: England Women v Australia Women at Kennington Oval, 10–13 Jul 1937, from Cricinfo, retrieved 6 July 2006
  9. "Beaumont steps in for injured Sciver"ECB। ২৪ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
  10. "England women handed new contracts"ECB। ৬ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]