রজার টোজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রজার টোজ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরজার গ্রাহাম টোজ
জন্ম (1968-04-17) ১৭ এপ্রিল ১৯৬৮ (বয়স ৫৫)
টোরকুয়ায়ে, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-পেস
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৪)
২৫ অক্টোবর ১৯৯৫ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৯ আগস্ট ১৯৯৯ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৫)
১৫ নভেম্বর ১৯৯৫ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০১ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮৮ডেভন
১৯৮৯–১৯৯৫ওয়ারউইকশায়ার
১৯৮৯-৯০নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস
১৯৯১/৯২-১৯৯৩/৯৪সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস
১৯৯৪/৯৫-২০০০/০১ওয়েলিংটন
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৬ ৮৭ ১৭৮ ৩৩৩
রানের সংখ্যা ৬২৮ ২৭১৭ ৯,৮০২ ৯,১০২
ব্যাটিং গড় ২৫.১২ ৩৮.৮১ ৩৬.৯৮ ৩৪.৬০
১০০/৫০ –/৬ ১/২০ ১৮/৫৩ ১১/৫৭
সর্বোচ্চ রান ৯৪ ১০৩ ২৭৭* ১২৪*
বল করেছে ২১১ ২৭২ ৯,১৩০ ৫,৯৯৮
উইকেট ১৩৩ ১৬০
বোলিং গড় ৪৩.৩৩ ৫৮.৭৫ ৩১.৮৫ ২৬.৮৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/৩৬ ২/৩১ ৬/২৮ ৫/৩০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫/– ৩৭/– ৯৬/– ১২০/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

রজার গ্রাহাম টোজ (ইংরেজি: Roger Twose; জন্ম: ১৭ এপ্রিল, ১৯৬৮) ইংল্যান্ডের টোরকুয়ায়ে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ১৬ টেস্ট ও ৮৭টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডেভন ও ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নিউজিল্যান্ডীয় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস ও ওয়েলিংটনের পক্ষে খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন 'দ্য সুইচ-হিটার' ডাকনামে পরিচিত রজার টোজ

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী টোজ টনটনের কিংস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। এ সময়েই ওয়ারউইকশায়ারের অন্যতম খেলোয়াড়ের মর্যাদা উপভোগ করতেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডে খেলতে যান। একপর্যায়ে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তাকে আর ইংরেজ দলে ঠাঁই দেয়া হবে না। কয়েক মৌসুম নিউজিল্যান্ডে বেশ ভালো খেলেন। ফলশ্রুতিতে নিউজিল্যান্ড দলে খেলার জন্য মনোনীত করা হয় ও ১৯৯৫ সালে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ভারত সফরে যান।

নিউজিল্যান্ড দলে প্রতিষ্ঠা পেতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল। খেলায় ধারাবাহিকতা না থাকায় টেস্ট ও একদিনের দল থেকে বাদ দিতে হয়। তবে, কয়েক বছর ক্রীড়াশৈলীর আশানুরূপ উন্নতি ঘটায় ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে নিউজিল্যান্ড দলে পুনরায় ফিরে আসেন। এরপর থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা একদিনের ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পান ও 'দ্য সুইচ-হিটার' ডাকনাম লাভ করেন। এরপর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

২৫ অক্টোবর, ১৯৯৫ তারিখে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রজার টোজের। একই দলের বিপক্ষে ১৫ নভেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে ওডিআই অভিষেক হয় তার। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সফলতম ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান। ৭৯.৫০ গড়ে ৩১৮ রান তুলেন তিনি। এ সময়ে দূরশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে থাকেন।

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর একদিনের আঙ্গিনায় ধারাবাহিক ক্রীড়ানৈপুণ্যে ভাস্বর হন। বিশ্ব ক্রিকেট র‌্যাঙ্কিংয়ে ২য় স্থানে পৌঁছেন। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সেঞ্চুরি করে স্বর্ণশিখরে আরোহণ করেন। দীর্ঘ ৭৫ খেলার পর ওডিআইয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিটি হাঁকান। এ ফলাফলের ফলে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে আমরা ছয়, চার চাই ও টোজ দলকে জয় এনে দেবেন এ আস্থা ও বিশ্বাসবোধ গড়ে উঠে।

২০০০-০১ মৌসুমে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের অন্যতম খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। শক্তিধর পাকিস্তানকে সেমি-ফাইনালে হারানোর পর চূড়ান্ত খেলায় ভারতের বিপক্ষে দলের জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড দল আইসিসির বৃহৎ আকারের প্রতিযোগিতায় প্রথম শিরোপা পায়।

এর পরপরই ক্রিকেটের বাইরে অন্য জগতের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ২০০১ সালে পাকিস্তান সফরে তার দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর চিত্র ধরা পড়ে। ঐ বছরই তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এরপর তিনি ব্যাংকিং খাতে চাকুরি নেন। ৩৮.৮১ গড়ে ওডিআইয়ে রান তুলেন যা ২,০০০-এর অধিক রান সংগ্রহকারী যে-কোন নিউজিল্যান্ডীয় ব্যাটসম্যানের তুলনায় বেশি।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

১৯৯৬ সালে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৬ষ্ঠ আসরে খেলেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে উইলস বিশ্বকাপের ১৯তম খেলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় রজার টোজ ১১২ বল মোকাবেলায় ৯২ রান তুলে দলকে ১০৯ রানের বিরাট ব্যবধানের জয়ে প্রভূতঃ সহায়তা করেন।[১] খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল কোয়ার্টার-ফাইনালে উপনীত হলেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়।

এরপর ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৭৭ বলে অপরাজিত ৬০ রান তুলে দলকে ৫ উইকেটের ব্যবধানের জয়ে সবিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন।[২] সেমি-ফাইনালে উঠলেও নিউজিল্যান্ড দল পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে পরাজিত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "1995–1996 Wills World Cup – 19th Match – New Zealand v United Arab Emirates – Faisalabad (Lyallpur)"। HowStat। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৫ 
  2. "1999 ICC World Cup – 38th Match – India v New Zealand – Nottingham"। HowStat। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৫ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]