হেমন্ত মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:


== জীবন ==
== জীবন ==
শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম [[বারাণসী]]র পবিত্র শহরে। তাঁর পরিবার [[কলকাতা]]য় আসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে‌। হেমন্ত ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সাথে পরিচয় হয় কবি [[সুভাষ মুখোপাধ্যায় (কবি)|সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের]]। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। কিন্তু তিনি সঙ্গীতের জন্য আপন শিক্ষা ত্যাগ করেন। তাঁর সাহিত্যিক হবার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন তিনি [[দেশ (পত্রিকা)|দেশ]]পত্রিকার জন্যে লেখেন। ১৯৩৭ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেন।
শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম [[বারাণসী]]র পবিত্র শহরে। তাঁর আদি নিবাস ছিল [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা]] জেলার [[জয়নগর|জয়নগরে]]। তাঁর পরিবার [[কলকাতা]]য় আসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে‌। হেমন্ত ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সাথে পরিচয় হয় কবি [[সুভাষ মুখোপাধ্যায় (কবি)|সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের]]। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। কিন্তু তিনি সঙ্গীতের জন্য আপন শিক্ষা ত্যাগ করেন। তাঁর সাহিত্যিক হবার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন তিনি [[দেশ (পত্রিকা)|দেশ]]পত্রিকার জন্যে লেখেন। ১৯৩৭ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেন।


== পরিবার ==
== পরিবার ==

১৭:২১, ২৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
চিত্র:Hemantda.jpg
প্রাথমিক তথ্য
জন্মনামহেমন্ত কুমার মুখোপাধ্যায়
জন্ম(১৯২০-০৬-১৬)১৬ জুন ১৯২০
বারাণসী, ভারত
মৃত্যু২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯(1989-09-26) (বয়স ৬৯)
কলকাতা, ভারত
পেশাবাংলা ও হিন্দি কন্ঠশিল্পী, সঙ্গীতপরিচালক এবং প্রযোজক

হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (১৬ জুন ১৯২০ - ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) একজন খ্যাতিমান বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন। তিনি হিন্দি সঙ্গীতজগতে হেমন্ত কুমার নামে প্রসিদ্ধ।

জীবন

শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম বারাণসীর পবিত্র শহরে। তাঁর আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগরে। তাঁর পরিবার কলকাতায় আসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে‌। হেমন্ত ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সাথে পরিচয় হয় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। কিন্তু তিনি সঙ্গীতের জন্য আপন শিক্ষা ত্যাগ করেন। তাঁর সাহিত্যিক হবার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন তিনি দেশপত্রিকার জন্যে লেখেন। ১৯৩৭ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেন।

পরিবার

হেমন্তের ছোটবেলা কাটে তিন ভাই এক বোন নীলিমার সাথে। বড় ভাই তারাজ্যোতি ছোটগল্প লিখতেন। ছোটভাই অমল মুখোপাধ্যায় কিছু বাংলা ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন এবং ১৯৬০ এর দশকে কিছু গান ও গেয়েছিলেন।

১৯৪৫ সালে হেমন্তের সাথে বেলা মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ হয়। ১৯৪৩ সালে বাংলা ছায়াছবি "কাশীনাথ"-এ সঙ্গীতপরিচালক পঙ্কজ মল্লিক বেলাকে দিয়ে কিছু জনপ্রিয় গান গাইয়েছিলেন কিন্তু বিবাহের পর বেলা আর সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেননি।

হেমন্তর দুই সন্তান—পুত্র জয়ন্ত ও কন্যা রাণু। রাণু মুখোপাধ্যায় ১৯৬০-৭০ এ গান গাইতেন।

সঙ্গীতযাত্রা

শৈলেশ দাসগুপ্তর সাহায্যে হেমন্তর প্রথম গান করেন ১৯৩৫ সালে। প্রথম গান আমার গানেতে এল নবরূপী চিরন্তন রেকর্ড করেন। এ গানটি সেরকম জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এরপর ১৯৩৭ সালে তিনি গ্রামোফোন রেকর্ড Columbia লেবেলে জানিতে যদি গো তুমিবলো গো বলো মোরে গানগুলো করেন। গান দুটো নরেশ ভট্টাচার্যের লেখা ও শৈলেশ দাসগুপ্তর সুর করা। এরপর থেকে প্রতি বছর তিনি গ্রামোফোন কঃ অব ইন্ডিয়ার জন্য গান রেকর্ড করেছেন। ১৯৪০ সালে সঙ্গীতপরিচালক কমল দাসগুপ্ত হেমন্তকে দিয়ে ফাইয়াজ হাস্মির কথায় কিতনা দুখ ভুলায়া তুমনেও প্রীত নিভানেভালি গাওয়ান। প্রথম ছায়াছবির গান তিনি গেয়েছেন "নিমাই সন্ন্যাস" ছবির জন্যে।

জনপ্রিয় গান

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অসংখ্য গানের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু গান:

  • মাগো ভাবনা কেন
  • পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো, বলো কবে শীতল হবো
  • ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
  • আয় খুকু আয়,আয় খুকু আয়
  • মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে
  • ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলোনা, ও বাতাস আঁখি মেলোনা
  • আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি,আর মুগ্ধ এ চোখে চেয়ে থেকেছি
  • এই রাত তোমার আমার, ঐ চাঁদ তোমার আমার…শুধু দুজনে
  • মেঘ কালো, আঁধার কালো, আর কলঙ্ক যে কালো
  • রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে
  • আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুটি দিকে গেছে বেঁকে
  • আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা,আর কতকাল আমি রব দিশাহারা
  • বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও,মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিও
  • আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
  • কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো
  • ওলিরও কথা শুনে বকুল হাসে
  • ছেলে বেলার গল্প শোনার দিনগুলো
  • আমিও পথের মত হারিয়ে যাবো

বহিঃসংযোগ