শক্তি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bdrunner (আলোচনা | অবদান)
বিষয় বস্তু যোগ ক‌রে ।
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
অভীক৩৫৭০ (আলোচনা | অবদান)
Spelling and data correction
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
[[চিত্র:Lightning over Oradea Romania zoom.jpg|thumb|right|350px|[[বিদ্যুত চমক]] শক্তিশালী তড়িৎক্ষেত্রের দ্বারা বাতাসের বৈদ্যুতিক ভাঙ্গন এবং শক্তি প্রবাহের সবচেয়ে নাটকীয় উদাহরণ। [[আবহমন্ডল|আবহমন্ডলের]] তড়িৎ বিভব শক্তি [[তাপশক্তি]], [[আলোকশক্তি]] এবং [[শব্দ|শব্দে]] রূপান্তরিত হয়।]]
[[চিত্র:Lightning over Oradea Romania zoom.jpg|thumb|right|350px|[[বিদ্যুত চমক]] শক্তিশালী তড়িৎক্ষেত্রের দ্বারা বাতাসের বৈদ্যুতিক ভাঙ্গন এবং শক্তি প্রবাহের সবচেয়ে নাটকীয় উদাহরণ। [[আবহমন্ডল|আবহমন্ডলের]] তড়িৎ বিভব শক্তি [[তাপশক্তি]], [[আলোকশক্তি]] এবং [[শব্দ|শব্দে]] রূপান্তরিত হয়।]]


[[পদার্থবিজ্ঞান|পদার্থবিজ্ঞানের]] ভাষায় '''শক্তি''' বলতে কাজ করার সামর্থ্যকে বুঝায়। প্রধানত শ‌ক্তি হ‌চ্ছে [[পদা‌র্থের]] এমন একটি বৈ‌শিষ্ঠ যার [[সৃ‌স্টি]] বা [[ধ্বংস]] নেই , এক ধরন থে‌কে অন্য ধর‌নে রূপ নি‌তে পা‌রে এবং এক বস্তু থে‌কে অন্য ব্স্তু‌তে যে‌তে পা‌রে । বিখ্যাত [[E=MC^2]] অনুযা‌য়ি [[শ‌ক্তি]] পদা‌র্থে নি‌হিত থাক‌তে পা‌রে । যেমন [[ফিসন]] বি‌ক্রিয়া । কাজ বা [[কার্য]] হচ্ছে [[বল]](force) ও বলাভিমুখী সরণের(displacement) গুণফল। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি [[পরিমাপ]] করা হয়। অর্থাৎ বস্তুর শক্তি হচ্ছে ঐ বস্তু মোট যতখানি কাজ করতে পারে। সুতরাং কাজের একক ও শক্তির [[একক]] অভিন্ন - [[জুল]]। ১ জুল = ১ [[নিউটন]]Х ১ [[মিটার]]। শক্তি একটি [[অদিক রাশি]]।
[[পদার্থবিজ্ঞান|পদার্থবিজ্ঞানের]] ভাষায় '''শক্তি''' বলতে কাজ করার সামর্থ্যকে বুঝায়। প্রধানত শ‌ক্তি হ‌চ্ছে [[পদা‌র্থের]] এমন একটি বৈ‌শিষ্ট্য যার [[সৃ‌স্টি|সৃ‌ষ্টি]] বা [[ধ্বংস]] নেই , এক রূপ থে‌কে অন্য রূপ নি‌তে পা‌রে এবং এক বস্তু থে‌কে অন্য বস্তুতে যেতে পারে। বিখ্যাত [[E=MC^2|E=mc²]] অনুযা‌য়ী [[শ‌ক্তি]] পদা‌র্থে নি‌হিত থাক‌তে পা‌রে । যেমন [[ফিসন]] বি‌ক্রিয়া । কাজ বা [[কার্য]] হচ্ছে [[বল]](force) ও বলের দিকে সরণের (displacement) গুণফল। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি [[পরিমাপ]] করা হয়। অর্থাৎ বস্তুর শক্তি হচ্ছে ঐ বস্তু মোট যতখানি কাজ করতে পারে। সুতরাং কাজের একক ও শক্তির [[একক]] অভিন্ন - [[জুল]]। ১ জুল = ১ [[নিউটন]]Х ১ [[মিটার]]। শক্তি একটি [[অদিক রাশি]]।


== শক্তির রূপ ==
== শক্তির রূপ ==
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
* [[তাপ|তাপ শক্তি]]
* [[তাপ|তাপ শক্তি]]
* [[চুম্বকত্ব|চৌম্বক শক্তি]]
* [[চুম্বকত্ব|চৌম্বক শক্তি]]
* [[তড়িৎবিদ্যুৎ শক্তি]]
* [[তড়িৎবিদ্যুৎ শক্তি|তড়িৎ শক্তি]]
* [[নিউক্লিয় শক্তি]]
* [[নিউক্লিয় শক্তি]]
* [[রাসায়নিক শক্তি]]
* [[রাসায়নিক শক্তি]]
* [[সৌর শক্তি]]
* [[সৌর শক্তি]]
শক্তির রূপগুলোকে সাধারণত সংশ্লিষ্ট [[বল]] অনুসারে ডাকা হয়।
শক্তির রূপগুলোকে সাধারণত সংশ্লিষ্ট [[বল]] অনুসারে অভিহিত করা হয়।


== শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি ==
== শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি ==
২৩ নং লাইন: ২৩ নং লাইন:
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। [[মহাবিশ্ব|মহাবিশ্বের]] মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।<ref>জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত নবম ও দশম শ্রেণীর ''মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান'' বই, পরিমার্জিত সংস্করণঃ ডিসেম্বর ২০০৮, পৃষ্ঠা নং ৮২</ref>
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। [[মহাবিশ্ব|মহাবিশ্বের]] মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।<ref>জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত নবম ও দশম শ্রেণীর ''মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান'' বই, পরিমার্জিত সংস্করণঃ ডিসেম্বর ২০০৮, পৃষ্ঠা নং ৮২</ref>
</blockquote>
</blockquote>
শক্তি একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোন ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোন শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোন শক্তি ধ্বংসও হয়না। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এখনও ঠিক সেই পরিমাণ শক্তিই আছে।
শক্তি একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোনো​ ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোনো​ শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোন শক্তি ধ্বংসও হয়না। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এখনও ঠিক সেই পরিমাণ শক্তিই আছে।


== কাজ-শক্তি উপপাদ্য ==
== কাজ-শক্তি উপপাদ্য ==
২৯ নং লাইন: ২৯ নং লাইন:


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
<references group="পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি, এনসিটিবি (http://www.nctb.gov.bd/)" />
<references/>


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৯:০৩, ১৮ মার্চ ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বিদ্যুত চমক শক্তিশালী তড়িৎক্ষেত্রের দ্বারা বাতাসের বৈদ্যুতিক ভাঙ্গন এবং শক্তি প্রবাহের সবচেয়ে নাটকীয় উদাহরণ। আবহমন্ডলের তড়িৎ বিভব শক্তি তাপশক্তি, আলোকশক্তি এবং শব্দে রূপান্তরিত হয়।

পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় শক্তি বলতে কাজ করার সামর্থ্যকে বুঝায়। প্রধানত শ‌ক্তি হ‌চ্ছে পদা‌র্থের এমন একটি বৈ‌শিষ্ট্য যার সৃ‌ষ্টি বা ধ্বংস নেই , এক রূপ থে‌কে অন্য রূপ নি‌তে পা‌রে এবং এক বস্তু থে‌কে অন্য বস্তুতে যেতে পারে। বিখ্যাত E=mc² অনুযা‌য়ী শ‌ক্তি পদা‌র্থে নি‌হিত থাক‌তে পা‌রে । যেমন ফিসন বি‌ক্রিয়া । কাজ বা কার্য হচ্ছে বল(force) ও বলের দিকে সরণের (displacement) গুণফল। কৃতকাজের পরিমাণ দিয়েই শক্তি পরিমাপ করা হয়। অর্থাৎ বস্তুর শক্তি হচ্ছে ঐ বস্তু মোট যতখানি কাজ করতে পারে। সুতরাং কাজের একক ও শক্তির একক অভিন্ন - জুল। ১ জুল = ১ নিউটনХ ১ মিটার। শক্তি একটি অদিক রাশি

শক্তির রূপ

শক্তির বিভিন্ন রূপ আছে। মোটামুটিভাবে শক্তির নয়টি রূপ দিয়ে প্রাকৃতিক সব ঘটনার ব্যাখ্যা দেয়া হয়। শক্তির রূপগুলি হলঃ

শক্তির রূপগুলোকে সাধারণত সংশ্লিষ্ট বল অনুসারে অভিহিত করা হয়।

শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি

শক্তির যে কোন রূপকে অন্য যে কোন রূপে রূপান্তরিত করা যায়, কিন্তু মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি বা শক্তির নিত্যতা সূত্র বলা হয়। শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়ঃ

শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।[১]

শক্তি একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোনো​ ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোনো​ শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোন শক্তি ধ্বংসও হয়না। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এখনও ঠিক সেই পরিমাণ শক্তিই আছে।

কাজ-শক্তি উপপাদ্য

কোন বস্তুর উপর কৃত কাজ তার গতিশক্তির পরিবর্তনের সমান। অর্থাৎ যেহেতু কোন বস্তুর উপর কাজ করলে তা বস্তুকে গতি দেয়, আবার যেহেতু ঐ গতিকে কাজে রূপান্তর করা সম্ভব (তাকে থামিয়ে দিতে গিয়ে), সেহেতু আমরা বলি ঐ বস্তুতে (গতি)শক্তি এসেছে।

তথ্যসূত্র


বহিঃসংযোগ

  1. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত নবম ও দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান বই, পরিমার্জিত সংস্করণঃ ডিসেম্বর ২০০৮, পৃষ্ঠা নং ৮২