টর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পদার্থবিজ্ঞানে একটি নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে টর্ক (ইংরেজি: Torque) উপস্থিত থাকা বলতে বোঝায় সেই অক্ষের সাপেক্ষে কৌণিক ভরবেগের সময়-সাপেক্ষিক পরিবর্তনের উপস্থিতি। টর্কের ধারণা বলের ধারণার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এই দিক দিয়ে যে নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্রাণুসারে যেমন বাহ্যিক বলের কারণে একটি ধ্রুবক-ভর সিস্টেমের ভরবেগের পরিবর্তন ঘটে, তেমনি বাহ্যিক টর্কের কারণে একটি ধ্রুবক-ভর সিস্টেমের কৌণিক ভরবেগের পরিবর্তন ঘটে।

গাণিতিক সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

গাণিতিকভাবে, কোনো অক্ষের সাপেক্ষে বস্তুর উপর যে বিন্দুতে বল ক্রিয়াশীল ঐ বিন্দুর অবস্থান ভেক্টর ও প্রযুক্ত বলের গুণফলকে ঘূর্ণন বল বা টর্ক বলে ৷

টর্ককে সাধারনত গ্রিক অক্ষর τ (টাউ) দ্বারা সূচিত করা হয়। তবে যখন এটিকে ভ্রামক বা বলের ভ্রামক হিসেবে বর্ণনা করা হয় তখন এটিকে M দ্বারা সূচিত করা হয়ে থাকে।

টর্কের মান তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করেঃ প্রযুক্ত বল (F), ব্যসার্ধ ভেক্টর (r) এবং বলের দিক ও ব্যসার্ধ ভেক্টরের মধ্যবর্তী কোণ (θ)।

বল, টর্ক, রৈখিক ভরবেগ ও কৌণিক ভরবেগের সম্পর্ক। গাণিতিক ভাবেঃ

τ হল টর্ক বা বলের ভ্রামক,
r ঘূর্ণন অক্ষ থেকে বলের প্রয়োগবিন্দুর দূরত্ব বা ব্যাসার্ধ ভেক্টর,
F বস্তুর উপর ক্রিয়ারত বল,
P বস্তুর কৌণিক ভরবেগ;
× দ্বারা ভেক্টর গুণন বা ক্রস গুণফল প্রকাশ করা হয়েছে,
θ দ্বারা F এবং r এর মধ্যবর্তী কোণ।[১]

একক[সম্পাদনা]

  • CGS পদ্ধতিতে ডাইন-সেমি (আর্গ)
  • FPS পদ্ধতিতে পাউন্ডাল-ফুট
  • MKS ও SI পদ্ধতিতে নিউটন-মি (জুল)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]