বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কালপঞ্জি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় মার্চ ২৬, ১৯৭১ এবং শেষ হয় ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১। এই যুদ্ধের প্রধান ঘটনাগুলো নিচে কালানুক্রমে তালিকাবদ্ধ রয়েছে।
জানুয়ারি
[সম্পাদনা]- ০৪: আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএবৃন্দ রেসকোর্স ময়দানে জনতার সামনে শপথ গ্রহণ করেন। এসময় শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে ৬-দফা ও ১১-দফা প্রশ্নে কোন আপোস হবেনা তবে পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দের সাহায্য চাওয়া হবে।
- ১৫: ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস পালনের জন্য পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ঐদিন পূর্ণ দিবস হরতাল পালনের আহবান করে।
- ৩১: আওয়ামী লীগের সাথে ৩ দিনের আলোচনা শেষে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় পাকিস্তান টাইম্স-কে দেয় এক বিবৃতিতে বলেন যে দু'দলের আলোচনা সাপেক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়ন করা হবে।
ফেব্রুয়ারি
[সম্পাদনা]- ০৫: লাহোরে ভারতীয় বিমান অপহরণ এবং ধ্বংসের প্রেক্ষাপটে শেখ মুজিব বিবৃতি দেন যে অচিরেই এর সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
- ০৯: জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানে বিলম্ব হওয়ায় শেখ মুজিব বলেন যে, এটি নিজেদের সরকার থেকে তার জনগণকে বঞ্চিত করার আরেকটি ষড়যন্ত্র।
- ১৪: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন।
- ১৫: ভুট্টো বলেন যে, তার দল পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেনা। তবে তিনি একটি শর্তারোপ করেন। শেখ মুজিব এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দেন।
- ১৬: পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নুরুল আমিন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সকলকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
- ২১: বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলা ছাত্রলীগ ভাষা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে বিশেষ বিবৃতি দেয়। বাংলা ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন তার ১৪-দফা দাবী পেশ করে।
- ২৫: তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনা করে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি একটি বিশেষ প্রস্তাব করে।
- ২৮: শেখ মুজিব ভুট্টোকে অধিবেশনে যোগদানের আহ্বান জানান এবং বলেন যে ৬-দফা কারো উপর চাপিয়ে দেয়া হবেনা।
মার্চ
[সম্পাদনা]- মার্চ ১: ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদ-এর অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে ৩রা মার্চ দেশের সব জায়গায় হরতাল আহ্বান করেন।গভর্নর আহসানকে পদচ্যুত করে লে: জেনারেল সাহেবজাদা ইয়াকুব খানকে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব দেয়া হয়।[১]
- মার্চ ২: শেখ মুজিবুর রহমান সংসদ স্থগিতের সিদ্ধান্ত না মানার ঘোষণা দিয়ে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে গণ জমায়েতের আহ্বান জানান।ঢাকায় হরতাল পালিত হয় পূর্ব ঘোষণা অনুসারে।ঢাকা বিমানবন্দরে সামরিক বাহিনীর প্রবেশকে বাধা দেয়ার সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে দু'জন নিহত হন।৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ দেশব্যাপী হরতালের কর্মসূচী অপরিবর্তিত রাখা হয়।অপরদিকে সামরিক জান্তা সংবাদপত্রের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে নতুন আদেশ জারি করে।[২]
- মার্চ ৩: সারা দেশে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। চট্টগ্রামে বহু লোক সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায়।বঙ্গবন্ধু দেশব্যাপী অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন।অন্যদিকে সামরিক সরকার কার্ফু্ জারি করে।প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ১০ মার্চ জাতীয় পরিষদের নেতাদের বৈঠক আহ্বান করেন । শেখ মুজিব একে প্রত্যাখ্যান করেন।[৩]
- মার্চ ৪: সেনাবাহিনীর সাথে জনসাধারণের সংঘর্ষে শতাধিক লোক হতাহত হন যার ফলশ্রুতিতে ঢাকাসহ পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান প্রধান শহরে কার্ফু জারি করা হয়।নুরুল আমিন ইয়াহিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। সামরিক বাহিনী ব্যারাকে ফিরে না গেলে তাদের প্রতিহত করা হবে বলে শেখ মুজিব ঘোষণা দেন। স্টেট ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক হরতালের সময় শুধু বেতন দেয়ার জন্য দু'ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।[৩]
- মার্চ ৫: ইয়াহিয়ার সঙ্গে ভুট্টোর আলোচনা চলে।অন্যদিকে ঢাকা ও টঙ্গীতে বিক্ষুব্ধ জনতার উপর গুলিবর্ষণে শতাধিক লোক নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন।[৩]
- মার্চ ৬: ইয়াহিয়া বেতার ভাষণে ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।ভুট্টোর পিপলস পার্টি অধিবেশনে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।অন্যদিকে সামরিক জান্তা পূর্ব পাকিস্তানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করছে বলে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করে।ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার ভেঙ্গে কয়েদিরা পালানোর সময় রক্ষীদের গুলিতে ৭ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়।এদিকে জেনারেল টিক্কা খানকে একই সাথে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়।[৩]
- মার্চ ৭: সাতই মার্চের ভাষণ - শেখ মুজিবুর রহমান - নির্বাচনে সদ্য জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ এর নেতা, রেসকোর্স ময়দানে ঘোষণা করেন , "এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম"[৪]
সেই ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি নিম্নলিখিত চারটি শর্ত প্রদান করেন--
- সামরিক আইন প্রত্যাহার করা
- জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা
- সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং
- গণহত্যা সম্পর্কে তদন্ত করা।
শর্ত চারটি পূরণ করা হলে আওয়ামী লীগ অধিবেশনে যোগ দেবে কি দেবে না তা বিবেচনা করবে বলে তিনি জানান।অন্যদিকে ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিক্কা খানের শপথ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।[৫]
- মার্চ ৮: দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন নতুন উদ্যমে শুরু হয়।জায়গায় জায়গায় কালো পতাকা উত্তোলন আর সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হয়।সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।[৫]
- মার্চ ৯: পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা স্বীকার করে নেয়ার জন্য মওলানা ভাসানী উদাত্ত আহ্বান জানান।তিনি ১৪ দফার ভিত্তিতে আন্দোলনের ডাক দেন।সামরিক বাহিনীর পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসারদের পরিবারবর্গকে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠানো শুরু হয়।[৫]
- মার্চ ১০: সরকারের এক ঘোষণায় জানায় যে, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়।[৫]
- মার্চ ১১: সাড়ে সাত কোটি মানুষের মানবিক অধিকার আদায়ের সপক্ষে সমর্থন দান করার জন্য শেখ মুজিব জাতিসংঘের মহাসচিব উথান্টের কাছে আহ্বান জানান। [৫]
- মার্চ ১২: শেখ মুজিবের সাথে আলোচনা শেষ করে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আজগর খান করাচিতে বলেন যে, শেখ মুজিব হচ্ছেন পূর্ব আর পশ্চিমের ক্ষীয়মাণ সম্পর্কের শেষ সংলাপ।তিনি ঢাকায় কোনো পাকিস্তানের পতাকা দেখেননি বলে জানান।[৫]
- মার্চ ১৩: মওলানা ভাসানী রাজবন্দীদের মুক্ত করার জন্য 'জেল ভাঙ্গা' নামে এক আন্দোলনের ডাক দেন।ইয়াহিয়া লাহোরে সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করেন।কিন্তু ঢাকায় বৈঠক হলে তাতে যোগ দেবেন বলে শেখ মুজিব সম্মতি প্রদান করেন।[৬]
- মার্চ ১৪: সামরিক আইন লঙ্ঘন করে মিছিল সভা চলতে থাকে। বেসামরিক প্রশাসন পশ্চিম পাকিস্তানি নীতি অনুযায়ী কাজ করা থেকে বিরত থাকে।[৬]
- মার্চ ১৫: শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবিতে বাংলাদেশের শাসন নিজ হাতে নেয়ার ঘোষণা দেন এবং কাজ-কর্ম পরিচালনার জন্য ৩৫ টি বিধি জারি করেন। মাত্র দুটি ব্যাংকে সরকারকে দেয় কর প্রদানের নির্দেশ দেন।সামরিক প্রহরায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঢাকায় আসেন।জাতির উদ্দেশ্যে ২৩ মার্চ ভাষণ প্রদানের ঘোষণা দেন।[৬]
- মার্চ ১৬: প্রথম দফায় শেখ মুজিবের সাথে ইয়াহিয়ার আড়াই ঘণ্টা বৈঠক হয়।চট্টগ্রাম বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা চীন থেকে আমদানি করা সমরাস্ত্রবাহী জাহাজের মাল খালাসে অস্বীকৃতি জানায়।স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার দাবি করে।[৬]
- মার্চ ১৭: মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক দ্বিতীয় দফায় চলে । বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করার জন্য কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে ২ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত সামরিক বাহিনী তলব করা হয়েছিল, সে সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য সামরিক কর্তৃপক্ষের কমিশন নিয়োগ করা হয়।[৬]
যুদ্ধের ঘটনাবলি
[সম্পাদনা]মার্চ
[সম্পাদনা]- ১৯: জয়দেবপুরের রাজবাড়িতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নকে নীরস্ত্র করার পশ্চিম পাকিস্তানি প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় বাঙালি সৈন্যরা।
- ২০: উপদেষ্টাসহ মুজিব-ইয়াহিয়া চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
- ২১: ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভুট্টো ঢাকায় আসেন।
- ২২: ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।
- ২৩: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালিত হয়।
- ২৫: পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সমগ্র ঘুমন্ত ও নীরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায় যা অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে পরিচিত।
- ২৬: কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়।[৭][৮][৯][১০][১১]
২৫ মার্চ,১৯৭১ রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টায় শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হবার পূর্বে মধ্যরাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং এ ঘোষণা ওয়ারলেস যোগে চট্রগ্রামে প্রেরণ করেন।২৬ মার্চ,১৯৭১ দুপুরে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হান্নান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। [১২][১৩]
- মার্চ ২৭: মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সকাল ১১টায়[১৩] স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণাপত্রটির ভাষ্য নিম্নরুপ:
আমি,মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির প্রাদেশিক কমাণ্ডার-ইন-চিফ, শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের অধীনে একটি সার্বভৌম ও আইনসিদ্ধ সরকার গঠন করেছি যা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার একটি সার্বভৌম ও আইনসম্মত সরকার এৰং বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাবার দাবিদার।
- মার্চ ৩০: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের গণহত্যা রোধে এগিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘ এ বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি মেজর জিয়াউর রহমান আহ্বান জানান।
- মার্চ ৩১: কুষ্টিয়া প্রতিরোধ শুরু[১৪]
এপ্রিল
[সম্পাদনা]- এপ্রিল ২: জিঞ্জিরা গণহত্যা
- এপ্রিল ৬: ব্লাড টেলিগ্রাম
- এপ্রিল ১১: নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের রেডিও ভাষণ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]।
- এপ্রিল ১০: মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়।
- এপ্রিল ১২: এম এ জি ওসমানী মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হন .
- এপ্রিল ১৭: অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে বৈদ্যনাথতলায় (যা এখন মুজিবনগর নামে পরিচিত) ।
- এপ্রিল ১৮: দরুইনের যুদ্ধে সিপাহী মোস্তফা কামাল শহীদ হন।[১৫]
- এপ্রিল ২০: রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে মহালছড়িগামী পাকিস্তানি কমান্ডো ব্যাটালিয়নের সৈনিকদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ শহীদ হন। শহীদ হওয়ার আগে তিনি পাকিস্তানিদের দুটি লঞ্চ ও একটি স্পিডবোট ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন।[১৬]
- এপ্রিল ২৪: অনাবাসী বাংলাদেশীরা যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি-তে বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১৭]
- এপ্রিল ২৮: বিশ্ববাসীর কাছে তাজউদ্দিনের অস্ত্র সাহায্য প্রার্থনা[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
মে
[সম্পাদনা]- মে ৫: গোপালপুর গণহত্যা[১৮]
- মে ১৫: মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা শুরু।[১৯].
- মে ২০: খুলনায় চুকনগর গণহত্যা সংঘটিত হয়, যেখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রায় ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করে।
- মে ২৪: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কলকাতায় কাজ শুরু করে।
জুন
[সম্পাদনা]- জুন ৯: ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে ক্র্যাক প্লাটুনের গেরিলারা প্রথম সফল আক্রমণ পরিচালনা করেন। ঘটনাস্থল ছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল। [২০]
জুলাই
[সম্পাদনা]- জুলাই ১১-১৭: কলকাতায় সেক্টর কমান্ডারদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে ১১টি সেক্টরের সীমানা ও কমান্ডার নির্ধারনসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের প্রথম ব্রিগেড জেড ফোর্স গঠিত হয়।[২১][২২]
আগস্ট
[সম্পাদনা]- আগস্ট ১: নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনে দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ, জর্জ হ্যারিসন এবং তার বন্ধুদের অংশগ্রহণে।
- আগস্ট ৭: অপারেশন ফার্মগেট চেকপয়েন্ট[২৩]
- আগস্ট ১৬: অপারেশন জ্যাকপট, বাংলাদেশি নৌ-কমান্ডো অভিযানে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি জাহাজ ধ্বংস হয়।
- আগস্ট ২০: ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান একটি যুদ্ধবিমান দখল করে পাকিস্তান ত্যাগের ব্যর্থ চেষ্টা করেন।
- আগস্ট ৩০: ঢাকায় গেরিলাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়। কয়েকজন গেরিলা ধরা পড়েন। [২৪].
সেপ্টেম্বর
[সম্পাদনা]- সেপ্টেম্বর ৫: গোয়াহাটির যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ শহীদ হন। [২৫]
- সেপ্টেম্বর ২৮: বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জন্মলাভ করে ভারতের ডিমাপুরে। সম্বল ছিল দুটি বেসামরিক বিমান (ড্যাকোটা ও অটার) এবং একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার।
অক্টোবর
[সম্পাদনা]- অক্টোবর ১১: চিলমারী রেইড[২৬]
- অক্টোবর ১৩: ঢাকার গেরিলা যোদ্ধারা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আব্দুল মোনেম খানকে হত্যা করেন। [২৭]
- অক্টোবর ২৮: শ্রীমঙ্গলে ধলাই সীমান্ত চৌকির যুদ্ধ, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান শহীদ হন। [২৮]
- অক্টোবর ৩১ থেকে নভেম্বর ৩: ধলাইয়ের যুদ্ধ: পাকিস্তানের সীমান্ত হতে শেলিং বন্ধ করতে ত্রিপুরা হতে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণ।
নভেম্বর
[সম্পাদনা]- নভেম্বর ৯: ছয়টি ছোট যুদ্ধ জাহাজের সমন্বয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম যুদ্ধবহর যাত্রা শুরু করে।
- নভেম্বর ১৬: আজমিরিগঞ্জ যুদ্ধ, মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে ১৮ ঘণ্টাব্যাপী যুদ্ধ। খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাস এ যুদ্ধে শহীদ হন।
- নভেম্বর ২০ থেকে নভেম্বর ২১: গরিবপুরের যুদ্ধ : বয়রায় ভারতীয় হামলা বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। ভয়াবহ লড়াই সংঘটিত হয়।
- নভেম্বর ২১: মিত্রবাহিনী, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ বাহিনী গঠিত হয়।
ডিসেম্বর
[সম্পাদনা]- ডিসেম্বর ৩: ভারতের ওপর পাকিস্তানের বিমান হামলা, যার ফলে ভারত পাকিস্তানের ওপর যুদ্ধ ঘোষণা করে।
- ডিসেম্বর ৪-৬: বসন্তরের যুদ্ধ। ভারত জয়সলমিরে পাকিস্তানের হামলা প্রতিরোধ করে।
- ডিসেম্বর ৫-৬ : লঙ্গেওয়ালার যুদ্ধ। ভারতীয়রা জম্মু সংলগ্ন পাকিস্তানি ভূখণ্ড আক্রমণ করে দখলে নেয়।
- ডিসেম্বর ৪: অপারেশন ট্রাইডেন্ট (ইন্দো-পাকিস্তান যুদ্ধ)। করাচিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর হামলা।
- ডিসেম্বর ৬: ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান।(ভারত দ্বিতীয়) স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বাংলাদেশ বেতার হিসেবে সম্প্রচার শুরু।
- ডিসেম্বর ৭: যশোর, সিলেট ও মৌলভীবাজার মুক্ত হয়।
- ডিসেম্বর ৮ : অপারেশন পাইথন: করাচীতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আক্রমণ।
- ডিসেম্বর ৯: কুষ্টিয়ার যুদ্ধ: পশ্চিমবঙ্গ থেকে পূর্ব পাকিস্তানে ভারতের আক্রমণ। চাঁদপুর ও দাউদকান্দি স্বাধীন।
- ডিসেম্বর ১০: লাকসাম স্বাধীন হয়। ভারতীয় হামলায় দুটি বাংলাদেশি জাহাজ ভুলবশত নিমজ্জিত হয়।
- ডিসেম্বর ১১: হিলি, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া ও নোয়াখালী স্বাধীন হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীকে ভীতি প্রদর্শনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ বঙ্গোপসাগরে নিয়োজিত।
- ডিসেম্বর ১৩: সোভিয়েত নৌবাহিনী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজকে প্রতিহত করার জন্য একবহর জাহাজ মোতায়েন করে।
- ডিসেম্বর ১৪: পাকিস্তান সেনাবাহিনী আলবদরদের সহযোগিতায় জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবীদের বাছাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বগুড়া স্বাধীন হয়।
- ডিসেম্বর ১৫: গাজীপুর হানাদার মুক্ত হয়।
- ডিসেম্বর ১৬: পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিত্র বাহিনীর প্রধান জগজিত সিং অরোরার নিকট আত্মসমর্পণ করে। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
- ডিসেম্বর ২২: প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সামছুল আরেফিন, এ. এস. এম. (১৯৯৫)। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান। ঢাকা: ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬০৮। আইএসবিএন 9789848942444।
- ↑ লেখকের নাম- এ. এস. এম. সামছুল আরেফিন (১৯৯৫)। বইয়ের নাম- মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান (১ম সংস্করণ)। ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬০৭ & ৬০৮। আইএসবিএন 9789848942444।
- ↑ ক খ গ ঘ লেখকের নাম- এ. এস. এম. সামছুল আরেফিন (১৯৯৫)। বইয়ের নাম- মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান (১ম সংস্করণ)। ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬০৮। আইএসবিএন 9789848942444।
- ↑ "সাতই মার্চের ভাষণ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-১০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ লেখকের নাম- এ. এস. এম. সামছুল আরেফিন (১৯৯৫)। বইয়ের নাম- মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান (১ম সংস্করণ সংস্করণ)। ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা ৬০৯। আইএসবিএন 9789848942444।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ লেখকের নাম- এ. এস. এম. সামছুল আরেফিন (১৯৯৫)। বইয়ের নাম- মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান (১ম সংস্করণ সংস্করণ)। ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা নম্বর–৬১০। আইএসবিএন 9789848942444।
- ↑ The Sheikh Mujib Declaration of Independence of Bangladesh : U.S. Government Records and Media Documentation (পিডিএফ)। Cbgr1971.org। পৃষ্ঠা ২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Swadhin Bangla Betar Kendro and Bangladesh's Declaration of Independence"। The Daily Star। মার্চ ২০০৮। ২২ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৮।
- ↑ "কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৬ মার্চ ২০১২। ২০১৮-০৬-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৮।
- ↑ Louis J Smith; Edward C Keefer (২০০৫)। Foreign relations of the United States, 1969-1976. Volume XI, South Asia crisis, 1971। Washington: Government of the United States Government Printing Office। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন 0160724015।
- ↑ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, তৃতীয় খণ্ড, দলিল নং ১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৯৮২। পৃষ্ঠা ১।
- ↑ JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT।
- ↑ ক খ মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম : কিছু স্মৃতি কিছু বিস্মৃতি[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://www.time.com/time/magazine/article/0,9171,905021-1,00.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে কুষ্টিয়া প্রতিরোধ
- ↑ "বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ "বীরশ্রেষ্ঠদের জানি: ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ (পর্ব ৬) - hello"। hello.bdnews24.com। ২০১৯-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১০।
- ↑ Locals still have nightmare about supreme sacrifices of Lt. Azim, ২০০ others ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে The New Nation, Internet Edition, মে ৮, ২০০৯
- ↑ A Tale of Millions, Islam, Major Rafiqul Bir Uttam, p ২১১
- ↑ https://m.bdnews24.com/amp/bn/detail/muktijoddha/1260990%7C"অপারেশন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল"
- ↑ Curator। "বিগ্রেড ফোর্স গঠন - জেড-ফোর্স - এস-ফোর্স -কে ফোর্স | সংগ্রামের নোটবুক" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ "১৯৭১- ভেতরে-বাইরে": এ কে খন্দকার; প্রথমা প্রকাশন (আগস্ট ২০১৪); পৃষ্ঠা ১১২-১১৬
- ↑ rflplastics.com › operation-farmgate বিজয়ের গল্প » অপারেশন ফার্মগেট ১৯৭১ - RFL Plastics
- ↑ Jahanara Imam, Ekatturer Dinguli
- ↑ "বীরশ্রেষ্ঠদের জানি: ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ (পর্ব ৭) - hello"। hello.bdnews24.com। ২০২২-০৩-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ https://www.anandabazar.com/bangladesh-news/east-pakistan-governor-monem-khan-was-murdered-on-the-gun-point-of-mozammel-haque-bng-dgtl-1.511377%7C"মোনায়েমের[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] হত্যাকারী দুঃসাহসী মোজাম্মেল হকের স্মৃতিচারণ"
- ↑ http://www.jhenaidah.gov.bd[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] › বীরশ্রেষ্ঠ-হামিদুর-রহমান - ঝিনাইদহ জেলা
- ↑ একাত্তরের দশমাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী
- ↑ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র - তথ্য মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার