উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী এবং অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেয়া এই কবি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি । নিম্নে তার রচিত সাহিত্য কর্মের একটি তালিকা দেয়া হলো:
গ্রন্থ
প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ)
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ)
বিষয়বস্তু
অগ্নিবীণা
কার্তিক ১৩২৯ বঙ্গাব্দ
২৫শে অক্টোবর ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ
এই গ্রন্থে মোট বারোটি কবিতা আছে। কবিতাগুলি হচ্ছে - ‘প্রলয়োল্লাস ’, ‘বিদ্রোহী ’, ‘রক্তাম্বর-ধারিণী মা’, ‘আগমণী’, ‘ধূমকেতু’, কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার ‘রণভেরী’, ‘শাত-ইল-আরব’, খেয়াপারের তরণী’, কোরবানী’ ও মোহররম’। এছাড়া গ্রন্থটির সর্বাগ্রে বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে উৎসর্গ করে লেখা একটি উৎসর্গ কবিতাও আছে।
সাম্যবাদী
পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ
২০শে ডিসেম্বর ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ
বইটিতে মোট ১১ টি কবিতা রয়েছে । সবগুলোতেই মানুষের সমতা নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে ।
ঝিঙে ফুল
চৈত্র ১৩৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই এপ্রিল ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ
ছোটদের কবিতা
সিন্ধু হিন্দোল
১৩৩৪ বঙ্গাব্দ
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ
এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
চক্রবাক
ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ,
১২ই আগস্ট ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ
এই কাব্যে নজরুল বেদনার ছবি তুুুলে ধরেছেন; এতে রয়েছে প্রেমের অনুুুভূতি এবং অতীত সুুখের স্মৃতিচারণা।
নতুন চাঁদ
চৈত্র ১৩৫১ বঙ্গাব্দ
মার্চ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ।
এতে রয়েছে নজরুলের ১৯টি কবিতা।
মরুভাস্কর
১৩৫৭ বঙ্গাব্দ
১৯৫১ খ্রিস্টাব্দ
হজরত মোহাম্মদ সঃ এর জীবনী নিয়ে চারটি সর্গে ১৮ টি খণ্ড-কবিতা নিয়ে এই কাব্যগ্রন্থ।
নজরুল ইসলাম: ইসলামী কবিতা
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ
নজরুল ইসলামের ইসলামী কবিতা সংকলন
গ্রন্থ
প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ)
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ)
বিষয়বস্তু
দোলন-চাঁপা
আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দ
অক্টোবর ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ
প্রথম সংস্করণ এই কাব্যগ্রন্থে ১৯টি কবিতা ছিল। সূচিপত্রের আগে মুখবন্ধরূপে সংযোজিত কবিতা "আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে" ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দ) জ্যৈষ্ঠ মাসের কল্লোল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থের পরবর্তী সংস্করণে ৫০ টি কবিতা সংকলিত হয়।
বিষের বাঁশি
শ্রাবণ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ
১০ই আগস্ট ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই গ্রন্থে ২৭ টি কবিতা রয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের বাজেয়াপ্ত ৫টি গ্রন্থের মধ্যে এটি অন্যতম।
ভাঙ্গার গান
শ্রাবণ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ
আগস্ট ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিদ্রোহাত্মক কাব্যগ্রন্থ। ১১ নভেম্বর ১৯২৪ তারিখে তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার গ্রন্থটি বাজেয়াফত করে ও নিষিদ্ধ করে। ব্রিটিশ সরকার কখনো এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেননি।
চিত্তনামা
শ্রাবণ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ
আগস্ট ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ
ছায়ানট
আশ্বিন ১৩৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে সেপ্টেম্বর ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ
এতে রয়েছে নজরুলের ৫০টি কবিতা।
পুবের হাওয়া
মাঘ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ
৩০শে জানুয়ারি ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ
এই গ্রন্থে ২০ টি কবিতা রয়েছে।
সর্বহারা
আশ্বিন ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ
২৫শে অক্টোবর ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দ
সর্বহারা কাব্যগ্রন্থে ১০ টি কবিতা রয়েছে
ফণী-মনসা
শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ
২৯শে জুলাই ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ
জিঞ্জীর কাব্যগ্রন্থে ১৬টি কবিতা রয়েছে
সঞ্চিতা
আশ্বিন ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ,
১৪ই অক্টোবর ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ
আটাত্তরটি কবিতা ও সতেরোটি গান মিলে একটি কাব্য-সংকলন।
জিঞ্জীর
কার্তিক ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ, ।
১৫ই নভেম্বর ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দ
সন্ধ্যা
ভাদ্র ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ
১২ই আগস্ট ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ
২৪টি কবিতা আর গান নিয়েই এই গ্রন্থ। বাংলাদেশের রণসংগীত “চল চল চল, উর্ধ গগণে বাঝে মাদল” এই বই থেকে নেয়া হয়েছে।
প্রলয় শিখা
অগ্রহায়ণ ১৩৩৭ বঙ্গাব্দ
আগস্ট ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ
নির্ঝর
মাঘ ১৩৪৫ বঙ্গাব্দ
২৩শে জানুয়ারি ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দ
এই গ্রন্থে মোট কবিতার সংখ্যা ২৫টি। নজরুল ইসলামের নির্ঝর বইকে অনেক সমালোচকের কাছে একটি ভাগ্যবিড়ম্বিত বই বলে মনে হয়েছে।
সঞ্চয়ন
১৩৬২ বঙ্গাব্দ
১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দ
শেষ সওগাত
বৈশাখ ১৩৬৫ বঙ্গাব্দ
১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দ
ঝড়
মাঘ ১৩৬৭ বঙ্গাব্দ
জানুয়ারি ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দ
এতে রয়েছে নজরুলের ২৪টি কবিতা।
গ্রন্থ
প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ)
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ)
বিষয়বস্তু
ব্যথার দান
ফাল্গুন ১৩২৮ বঙ্গাব্দ
১লা মার্চ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ
এটি নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। এই গ্রন্থের গল্পগুলোর ভাষা আবেগাশ্রয়ী, বক্তব্য নরনারীর প্রেমকেন্দ্রিক।
রিক্তের বেদন
পৌষ ১৩৩১ বঙ্গাব্দ
১২ই জানুয়ারি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ
মোট ৮টি গল্প আছে এতে। উল্লেখযোগ্য - রাক্ষুসী
শিউলি মালা
কার্তিক ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ
১৬ই অক্টোবর ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ
এই গ্রন্থে মোট ৪টি গল্প আছে। উল্লেখযোগ্য - পদ্ম-গোখরো, জিনের বাদ্শা
হক সাহেবের হাসির গল্প
হাসির গল্প
সাপুড়ে
আখ্যান
উপন্যাস
প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ)
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ)
বিষয়বস্তু
বাঁধন হারা
শ্রাবণ ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ,
আগস্ট ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ
এটি একটি পত্রোপন্যাস। বাঁধন হারা নজরুল রচিত প্রথম উপন্যাস। করাচিতে থাকাকালীন তিনি 'বাঁধন হারা' উপন্যাস রচনা শুরু করেন।
মৃত্যুক্ষুধা
মাঘ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ
জানুয়ারি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ
লেখক এতে তুলে ধরেছেন তৎকালিন দারিদ্র্য, ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সপরিবার মেজ-বৌয়ের মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ। নারী জীবনের দুবির্ষহ অন্ধকার এবং সমাজের বাস্তবচিত্র এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়।
কুহেলিকা
শ্রাবণ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ
২১শে জুলাই ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ।
এই উপন্যাসের মধ্য দিয়ে নজরুলের রাজনৈতিক আদর্শ ও মতবাদ প্রতিফলিত হয়েছে।
ঝিলিমিলি (নাট্যগ্রন্থ) ১৯৩০
আলেয়া (গীতিনাট্য) ১৯৩১[ ৩]
পুতুলের বিয়ে (কিশোর নাটক) ১৯৩৩
মধুমালা (গীতিনাট্য) ১৯৬০
ঝড় (কিশোর কাব্য-নাটক) ১৯৬০
পিলে পটকা পুতুলের বিয়ে (কিশোর কাব্য-নাটক) ১৯৬৪
যুগবানী ১৯২২
ঝিঙ্গে ফুল ১৯২৬
দুর্দিনের যাত্রী ১৯২৬
রুদ্র মঙ্গল ১৯২৭
ধূমকেতু ১৯৬১
রাজবন্দির জবানবন্দি
রাজবন্দীর জবানবন্দী (প্রবন্ধ) ১৯২৩
দিওয়ানে হাফিজ (অনুবাদ) ১৯৩০
কাব্যে আমপারা (অনুবাদ) ১৯৩৩
মক্তব সাহিত্য (মক্তবের পাঠ্যবই) ১৯৩৫
রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম (অনুবাদ) ১৯৫৮
নজরুল রচনাবলী (ভলিউম ১-৪, বাংলা একাডেমী) ১৯৯৩
নজরুল সঙ্গীতের স্বরলিপি গ্রন্থের প্রচ্ছদ চিত্র। নজরুল নিজেই স্বরলিপি করেছিলেন।
বুলবুল (১ম খন্ড-১৯২৮, ২য় খন্ড-১৯৫২)
চোখের চাতক (১৯২৯)
চন্দ্রবিন্দু (১৯৪৬)
নজরুল গীতিকা (১৯৩০)
নজরুল স্বরলিপি (১৯৩১)
সুরসাকী (১৯৩১)
জুলফিকার (১৯৩২)
বনগীতি (১৯৩২)
গুলবাগিচা (১৯৩৩)
গীতিশতদল (১৯৩৪)
সুরলিপি (১৯৩৪)
সুর-মুকুর (১৯৩৪)
গানের মালা (১৯৩৪)
জীবন
সৃষ্টিকর্ম
কবিতা
কবিতা ও সংগীত
ছোট গল্প
উপন্যাস
নাটক
প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও সম্পাদিত পত্রিকা
অনুবাদ এবং বিবিধ
পরিচালিত চলচ্চিত্র
ধূপছায়া
বিদ্যাপতি(১৯৩৭) - কাহিনীকার
সাপুড়ে (১৯৩৯) - কাহিনীকার
সঙ্গীত পরিচালনা ও গীতিকার
জামাই ষষ্ঠী (১৯৩১)
পাতালপুরী (১৯৩৫)
গৃহদাহ (১৯৩৬)
গ্রহেরফের (১৯৩৭)
বিদ্যাপতি(১৯৩৭)
গোরা (১৯৩৮)
হাল বাংলা (১৯৩৮)
সাপুড়ে (১৯৩৯)
রজতজয়ন্তী (১৯৩৯)
নন্দিনী (১৯৪১)
অভিনয় (১৯৪১)
দিকশূল (১৯৪১)
মদিনা (১৯৪১)
চৌরঙ্গী (১৯৪২)
দিলরুবা (১৯৪২)
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ঠতা
‘জ্যোৎস্নার রাত’ (১৯৩১)
‘প্রহ্লাদ’ (১৯৩১)
‘ঋষির প্রেম’ (১৯৩১)
‘বিষ্ণুমায়া’ (১৯৩২)
‘চিরকুমারী’ (১৯৩২)
‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৯৩২)
‘কলঙ্ক ভঞ্জন‘ (১৯৩২)
‘ধ্রুব‘ (১৯৩৩)
‘রাধাকৃষ্ণ’ (১৯৩৩)
‘জয়দেব’ (১৯৩৩)
অভিযোজন স্থান পরিবার স্মারক পুরস্কার